আরাকানে যে বৌদ্ধ নারী ধর্ষণের কাহিনীকে কেন্দ্র করে দাঙ্গা শুরু হয়েছে বলে দাবি করা হয়, তা কতটুকু যৌক্তিক? একটি গোটা জাতিকে নিশ্চিহ্নকরণ বা এথনিক ক্লিনসিংয়ের যে সাম্প্রদায়িক বর্ণবাদী শিক্ষা, সেটাই মূলত আরাকানের সাম্প্রতিক দাঙ্গার জন্য দায়ী। ঈশপের ঝর্ণার ওপরের নেকড়ে এবং নিচের ভেড়াটির গল্প আমরা সবাই জানি। নেকড়েটি বলে, তুই ছয়মাস আগে আমাকে গালি দিয়েছিস! ভেড়াটি বলে, আমার বয়স মাত্র চারমাস। তখন নেকড়েটি বলে, তুই না দিলেও তোর বাপ দিয়েছে, এই বলে ভেড়াটির ওপর ঝাপিয়ে পড়ে।
রোহিঙ্গারাও বর্তমানে সেরূপ মেষশাবকের মতোই অসহায় এবং দুর্বল। একটি ইস্যু দরকার ছিল তাদের নির্মূল অভিযান পরিচালনার, সেটিই তারা নারী ধর্ষণের ঘটনাকে বানিয়েছে। তারা রোহিঙ্গাদের নির্যাতন করে আসছে দেশবিভাগেরও আগে থেকে।
তবে আমাদের দেশে হিন্দুদের দেখা যায় পান থেকে চুন খসলেই সাম্প্রদায়িকতার অভিযোগ তুলতে। তারাই বরঞ্চ মুসলমানদের তটস্থ রাখে। কারণ তাদের শিকড় দিল্লীতে প্রোথিত।
কিন্তু আশরাফ কেন রাখাইন বৌদ্ধদের মত সাম্প্রদায়িক বক্তব্য দিতে গেল। একটি গোটা সম্প্রদায়কে ধর্ষক, সন্ত্রাসী বলার ধৃষ্টতা সে কোত্থেকে পেল? এই সাম্প্রদায়িক জীবাণু তার শরীরে আসল কোত্থেকে? সম্ভবত তার গুজরাটি ব্রাহ্মণ ওয়াইফের কাছ থেকে।
তবে তার বাবা মা কি সন্ত্রাসী ছিল?(রাজাকাররা বলতে পারে, যেহেতু তার বাবা মুক্তিযুদ্ধের সাথে জড়িত ছিলেন)
তার বাবা মা কি মুসলমান ছিলেন না?