somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বৌ এর ভালবাসা অর্জন করার উপায় (শুধুমাত্র বিবাহিত ভাইদের জন্য)।

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ৭:২৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ভালবাসা জিনিষটা অনেক মূল্যবান। এটা পাওয়ার জন্য প্রয়োজন সাধনা। এখানে অধ্যাবসায় বা পরিশ্রম না বলে একবারে 'সাধনা' শব্দটাকেই উপযুক্ত মনে হলো। ধৈর্য্য ধরে সাধনা চালিয়ে গেলে সিদ্ধিলাভের সম্ভাবনা মোটামুটি নিশ্চিত।

বাস্তব অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে কিছু পরামর্শ দেয়া হলো। বাচ্চারা দূরে থাকো। শুধুমাত্র বিবাহিত ভাইদের জন্য এই পরামর্শগুলো।

করণীয়

১। সকালে ঘুম থেকে উঠামাত্রই গালে দুটো চুমু দিয়ে দিন নিসঙ্কোচে।

মনে রাখবেন, বউয়ের ভালবাসা অর্জনের প্রথম শর্ত হচ্ছে, আপনার নিজের ভেতরে, তার জন্য অকৃত্রিম ভালবাসা থাকা বা তৈরী করা। ধরে নিচ্ছি, আপনাদের সবারই নিজ নিজ বউয়ের প্রতি অকৃত্রিম ভালবাসা ইতিমধ্যে বিদ্যমান।

শুধু ভালবাসা মনে মনে থাকলেই তো চলবেনা। ভালবাসার বহিপ্রকাশ ছাড়া সেটা অর্থহীন।

দিনের শুরুটা যদি করা যায় এই রকম ভালবাসার রোমান্টিক বহিপ্রকাশ দিয়ে, তবে মোটামুটি নিশ্চিত থাকতে পারেন, দিনটি আপনার ভালই কাটবে।

২। বউ বিছানা ছেড়ে ওঠার আগেই সকালের হাল্কা নাস্তা (এক কাপ চা, সাথে দুটি বিস্কুট, বা পাউরুটি অথবা একটা ডিম পোচ) রেডী করে তাকে বিছানাতেই দিয়ে আসুন।

অনেকে মনে করেন, স্বামীদের সামনে সকালে নাস্তা নিয়ে হাজির হওয়াটা স্ত্রীদের দায়িত্ব। এইরকম মনোভাব থেকে বের হয়ে আসুন। ভালবাসায় কোন প্রতিষ্ঠিত নিয়ম বলে কিছু নাই। ইগো সমস্যা থেকে ১০০ হাত দূরে থাকুন।

আপনি যখন কাজে বেরুবেন (যদি তিনি কর্মজীবি না হন), তখন আপনার সারাদিনের খাবার-দাবারের ব্যবস্থা, ছেলে-মেয়েদের গোছানো কিন্তু তাকেই করতে হবে। সকাল বেলাটা অন্তঃত তাকে যথাসম্ভব সাহায্য করুন। তিনি কর্মজীবি হলেও সবকিছুতে বুয়ার আশায় বসে না থেকে নিযে তার জন্য নাস্তা বানিয়ে খাওয়ান। প্রথম প্রথম একটু কষ্ট হবে, কিন্তু ঐ যে বললাম, বিনা সাধনায় ভালবাসা পাওয়া দুস্কর।

৩। অফিসের ব্রেক টাইমে ফোনে খোঁজ নিন, সব ঠিকঠাক আছে কি না। তিনি খেয়েছেন কিনা। কোন কিছু বাজার থেকে আনতে হবে কি না। তার কিছু লাগবে কি না।

৪। বাড়িতে আসার সময় প্রতিদিন কিছু না কিছু তার জন্য নিয়ে আসুন। হতে পারে দুটো চকলেট, আইসক্রীম, অথবা একটা ফুল।

৫। বিকালে চা বা নাস্তা খেতে খেতে কিছু সময় কাটান একসাথে।

পারলে দু একদিন পর পর বিকেলে বাইরে থেকে বেড়িয়ে আসুন কাছেই কোথাও। এই সময় টা সংসারের গুরুত্বপূর্ণ আলোচনাগুলো সেরে নিতে পারেন। কোথাও কোন সমস্যা থাকলে তা নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করে নিন। এজন্য বাইরের উম্মুক্ত পরিবেশই সবচেয়ে ভালো।

৬। নিজের জন্য একা কিছু সময় রেখে দিন। এ সময়টাতে আপনার প্রিয় কোন গান, অথবা প্রিয় কোন কাজ করবেন, বন্ধু-বান্ধবদের সাথেও কাটাতে পারেন। এ ব্যবস্থাটা সাধনাতে যেন একঘেয়েমী না চলে আসে, এই জন্য।

৭। রাতের খাবার পরিবারের সবাইকে নিয়ে একসাথে খেতে বসুন। এসময় হালকা মুডে থাকুন। কোন হাসির গল্প বলুন। অথবা কোন মজার অভিজ্ঞতা শেয়ার করুন। সিরিয়াস কোন ব্যাপার নিয়ে আলোচনা গুলো সন্ধ্যার অবকাশে করে নেয়াই ভালো।

৮। রাতে বিছানায় যাবার পর নিজেদের মত করে, সময়টা আনন্দে ভরে তুলুন। এটা হতে পারে মজার কোন গল্প করা, তার কোন মজার অভিজ্ঞতা, হতে পারে তাকে কোন কবিতা শোনানো, অথবা দু'জনে মিলে গান-গান খেলা।


৯। গল্প করতে করতেই তাকে কাছে টেনে নিন। অন্তরঙ্গ হবার আগে শুনে নিন তার শরীর ভাল আছে কিনা। হারিয়ে যান অনাবিল আনন্দের মাঝে।

পরিশেষে,

যখনই কোন উপলক্ষ্য পাবেন, আপনার চোখে সে কতটা সুন্দর, তাকে বুঝিয়ে দিন। তাকে প্রতিদিন বলুন, আপনি তাকে কতটা ভালবাসেন। বারবার বলতে তো কোন আপত্তি নেই। তার কাজের প্রশংসা করুন, তার রূপের প্রশংসা করুন, তার রান্নার প্রশংসা করুন, সংসারের প্রতি তার অবদানের কথা স্বীকার করুন। প্রশংসা করুন তার রুচির, তার কথার।

অকৃত্রিম প্রশংসা, ভালবাসা প্রকাশের অন্যতম মাধ্যম।

প্রশংসার ছলেই তার ভুলগুলিও বুঝিয়ে দিন। যেমনঃ "আমি জানি তুমি আমার মা কে খুব ভালবাস। কিন্তু মা মনে হয় কাল তোমার কথায় একটু কষ্ট পেয়েছেন না বুঝে। তুমি মা কে বুঝিয়ে বলে দিও। "

তার আবেগ কে মূল্য দিন।

এভাবে প্রতিদিন চর্চা করতে হবে ভালবাসার বহিপ্রকাশের উপকরণগুলি। ভালবাসার চর্চা করতে করতে আপনার এবং তার হৃদয়ে তৈরী হবে মহামূল্যবান ভালবাসার অঙ্কুর। তার হাত ধরেই হাসিমুখে কাটিয়ে দিতে পারবেন সারাটি জীবন।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ৭:২৬
৪৪টি মন্তব্য ৪৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সবুজ চোখের মানুষের ধাঁধা

লিখেছেন করুণাধারা, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৯



এই ধাঁধার নাম সবুজ চোখের মানুষের ধাঁধা; নিচের লিংকে এটার ভিডিও আছে।

স্বৈরশাসকের বন্দী

এই ধাঁধাটি আমার ভালো লেগেছিল, তাই অনেক আগে আমার একটা পোস্টে এই ধাঁধাটি দিয়েছিলাম। কিন্তু সেই পোস্টে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বৃদ্ধাশ্রম।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১৬



আগে ভিডিওটি দেখে নিন।

মনে করেন, এক দেশে এক মহিলা ছিলো। একটি সন্তান জন্ম দেবার পর তার স্বামী মারা যায়। পরে সেই মহিলা পরের বাসায় কাজ করে সন্তান কে... ...বাকিটুকু পড়ুন

টের পেলে

লিখেছেন সাইফুলসাইফসাই, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৫৭

টের পেলে
সাইফুল ইসলাম সাঈফ

টের পেলে গুটিয়ে যায় লজ্জাবতী/ পরিপূর্ণ যৌবনে যুবতীর নিখুঁত অনুভূতি। আমার চাওয়া, ইচ্ছে, স্বপ্ন! আমার পছন্দ বুঝদার, সুন্দর হৃদয়ের রূপ! সৌন্দর্য সুন্দর যা চিরন্তন সত্য। কিন্তু সেটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইসলামের চার খলিফার ধারাবাহিকতা কে নির্ধারণ করেছেন?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:৩৭




সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ২৬ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৬। বল হে সার্বভৈৗম শক্তির (রাজত্বের) মালিক আল্লাহ! তুমি যাকে ইচ্ছা ক্ষমতা (রাজত্ব) প্রদান কর এবং যার থেকে ইচ্ছা ক্ষমতা (রাজত্ব)... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রতিদিন একটি করে গল্প তৈরি হয়-৩৭

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৫১




ছবি-মেয়ে ও পাশের জন আমার ভাই এর ছোট ছেলে। আমার মেয়ে যেখাবে যাবে যা করবে ভাইপোরও তাই করতে হবে।


এখন সবখানে শুধু গাছ নিয়ে আলোচনা। ট্রেনিং আসছি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×