somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বিএনপির কাছে খোলা চিঠি

১২ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:২০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


মাননীয় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী পার্টির ঊর্ধ্বতন নেতৃবৃন্দ,

প্রথমেই আমি আপনাদের ধৈর্য্য সহকারে আমার যুক্তিগুলো পড়তে বলব। পড়ার পরে যদি মন থেকে মনে করেন আমার যুক্তিগুলো আপনাদের জন্য খাটে না, তাহলে আমার আর কিছু বলার নেই। আপনাদের কাছে আর এমন লিখবও না। আগেই বলে রাখছি, আমি লিখছি আপনাদের ভালোর জন্যই। যদি নিজেদের ভালো চান, তাহলে যুক্তিগুলো একটু হৃদয়ঙ্গম করে বোঝার চেষ্টা করবেন আশা রাখি।

শাহবাগ আন্দোলন শুরু হয়েছে মাসখানেক হয়েছে। এর মাঝে বিএনপির বিভিন্ন নেতৃস্থাণীয় ব্যক্তিবর্গ নানারকম বিবৃতি দিয়েছেন আন্দোলন বা গণজোয়ারের পক্ষে-বিপক্ষে, যদিও পরবর্তীতে আপনাদের দলীয় চেয়ারপার্সন এটিকে সরকারদলীয়দের সাজানো নাটক বলে এ আন্দোলন থেকে নিজেদের গুটিয়ে নিয়েছেন। আপনারা নিজেরা প্রত্যেকে নিজের অন্তরে হাত দিয়ে বলেন তো আসলেই কি শাহবাগের আন্দোলন সরকারের পরিচালনায় হচ্ছে? আসলেই কি আপনারা চান না ১৯৭১ সালে আমাদের এতো এতো বুদ্ধিজীবীদের যারা নির্মমভাবে হত্যা করেছে তাদের বিচার করা উচিত নয়? এতো এতো মা-বোনদের যারা ধর্ষণ করলো বা পাকিস্তানীদের কাছে তুলে দিয়েছিলো, তাদের শাস্তি মৃত্যুদন্ড ভিন্ন অন্য কিছু কি আপনারা মেনে নিতে পারবেন? আপনাদের দলে না সবচেয়ে বেশী মুক্তিযোদ্ধাদের যার মধ্যে জিয়াউর রহমান নিজেও একজন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন তাদের অবস্থাণ, তাহলে তারাও কি মেনে নিবে যদি এইসব যুদ্ধাপরাধীরা ফাঁসী ভিন্ন অন্য কোনো রায় পায়? সেইসব লাখো শহীদদের রক্ত কি তাহলে বৃথা যাবে?

এই দাবীটি নিয়েই তো রাস্তায় নেমেছিলো ব্লগার, অনলাইন এ্যাক্টিভিস্টরা। তাহলে কেন প্রথম থেকেই বিএনপি তাদের সাথে যোগ দিয়ে গলায় গলা মিলিয়ে আওয়াজ তুললো না সরকারের এই ট্রাইবুনালের বিরুদ্ধে যা কিনা কাদের মোল্লার মতো চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেয় ফাঁসীর বদলে? কেন বিএনপি এই বিষয়টি বুঝলো না যে ব্লগাররা যারা রাস্তায় নেমেছে তারা মূলত সরকারের আর জামাতের মধ্যে এক গোপন আঁতার আন্দাজ করতে পেরেই প্রতিবাদে শাহবাগে জড়ো হয়েছিলো? কেন তখন বিএনপি নিজেদেরকে জামাত বা যুদ্ধাপরাধীদের সেই দলের থেকে নিজেদের দূরে না সরিয়ে এতো এতো মানুষের বিপক্ষে অবস্থাণকে বেছে নেয়?

জনগণ তো এমনিতেই বর্তমান সরকারের নানা কর্মকান্ডে ক্ষিপ্ত ছিলো। হলমার্ক কেলেংকারী, শেয়ার বাজার সমস্যা, সাগর-রুনীর হত্যা, বিশ্বজিৎকে কুপিয়ে হত্যা ইত্যাদি নানা ইস্যুতে এমনিতেই সরকারের পায়ের নিচে মাটি ছিলো না। তার উপর কাদের মোল্লাকে ফাঁসীর বদলে যাবজ্জীবন দেওয়াতে মানুষজন আরো বেশী ক্ষোভে ফেটে পড়ে সরকারের বিরুদ্ধে। এসব কিছু না বিবেচনা করে বিএনপি কি করে সরকারকে এমন একটা 'ফ্রী হিট' দিয়ে দিলো? সুষ্ঠু ভোট যদি হতো, তাহলে এমনিতেই মানুষজন আওয়ামী লীগকে ভোট দিতো না সামনের নির্বাচনে। কিন্তু শাহবাগ গণজাগরণ মঞ্চের বিপক্ষে অবস্থাণের ফলে জনগণ তো এখন বিএনপিকেও সঠিক বিকল্প মনে করতে পারছে না।

আর সাম্প্রতিককালে যেসব ঘটনাগুলো ঘটলো তা নিয়ে একটু বলি। আপনারা কি আসলেই মনে করেন হরতাল দিয়ে আপনারা জনগণের কল্যাণের কিছু করছেন? হ্যাঁ, আপনারা হয়ত বলবেন, আওয়ামী লীগ যখন বিরোধী দলে যাবে তখন তারা আবার হরতাল দেবে। কিন্তু তখন তো অন্তত আপনারা বলতে পারতেন, আপনারা হরতাল দেন নাই যত কিছুই ঘটুক না কেন। তাতে জনগণ তখন আপনাদের আর বর্তমান সরকারী দলের মধ্যে পার্থক্য সুস্পষ্টভাবে বুঝতে পারতো। সেই সুযোগটা হাতছাড়া তো করলেনই বরং উপরন্তু নিজেদেরকে জামাতের অংশ হিসেবে নিয়ে আপনারা নিজেদেরকেও কলুষিত করছেন। কি হবে যদি জামাত আপনাদের জোটে না থাকে? কতখানি আরো কুকর্ম করলে জামাতকে আপনারা ছাড়বেন জোট থেকে? জামাতকে বাদ দিয়েও যে আপনারা ভোটে জিততে পারেন সেটা কখনো চিন্তা করেছেন? জামাতের মতো যুদ্ধাপরাধীদের দল যখন আপনাদের মতো মুক্তিযোদ্ধাদের দলে আসেন তখন কি নিজেদের মুক্তিযোদ্ধা বলতে লজ্জা লাগে না?

হরতালের ফলে কি হচ্ছে? আপনারা হয়ত বলবেন গণতান্ত্রিক কর্মকান্ড আপনারা করতে পারছেন। কিন্তু একটা এস.এস.সি পরীক্ষার্থী জানে তার কতটুকু ক্ষতি হয়েছে। একজন ব্যবসায়ী জানেন তার ব্যবসায় কতটুকু ক্ষতি হয়েছে। একজন রিক্সাচালক জানেন তার আয় কতটুকু কমেছে। একজন দিনমজুর জানে তার ছেলের স্কুলের ফিস দিতে তাকে কতটা বেগ পেতে হবে এই হরতালগুলোর কারণে। এইসব দিকগুলো কি একবারও ভেবে দেখেন আপনারা? নাকি নিজেদের ভোটে জেতা নিয়েই শুধু মাথা ঘামান? কই যখন শহীদ মিনার ভাঙা হলো সিলেটে আপনারা হরতাল দিলেন না? যখন জাতীয় পতাকা পোড়ানো হলো, কিছুই বললেন না, হরতাল দিলেন না? জাতীয় মসজিদ, বায়তুল মোকাররমে যখন ওরা আগুন দিলো তখন তো প্রতিবাদ করলেন না একজন মুসলিম হিসেবেই? হরতালও দিলেন না?

আমি একজন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের হিসেবে জানতে চাই, প্রতিবার কোনো রাজনৈতিক ঝামেলা হলেই কেন সংখ্যালঘুরা নির্যাতিত হয়? বাড়ি-ঘরহারা হয়? ধর্ষিত হয়? লুটপাট হয়? ব্যবসা-বাণিজ্য ভাঙচুর হয়? সেই ১৯৭১ সালেও এমনটি হয়েছে। '৯০ এর দশকে স্বৈরাচারী পতনের সময়ও একই চিত্র। '৯২ সনে বাবরী মসজিদ-রাম মন্দির দাঙ্গা (যেটি আবার অন্য দেশের ঘটনা) সেসময়ও সেই সংখ্যালঘুরাই নির্যাতিত। ২০০১ সালে নির্বাচন পরবর্তী আবারও একই হাল। এখন ২০১৩ সালেও আবার। আর কত? আরো কত হিন্দু মন্দির ভাঙলে আপনাদের টনক নড়বে যে জামাতকে নিষিদ্ধ করা বাংলাদেশী হিসেবে আপনাদের নৈতিক দায়িত্ব? এমনকি দেশের ধর্মীয় প্রধান দশজন আলেমদেরকে টার্গেট করেছে জামাত-শিবির - এমনটিই জানিয়েছে ব্লগার রাজীবের হত্যায় পাঁচজন আসামী। আপনারাও কি চান প্রকৃত শান্তির ধর্ম ইসলাম যারা মানুষদের বোঝায় তারা হত্যা হোক যুদ্ধাপরাধীদের দ্বারা?

সবশেষ ঘটনা হলো আপনাদের নয়াপল্টনের কার্যালয়ে সরকার/প্রশাসনের (পুলিশের) raid। তার আগে বলতে চাই, কেন আপনাদের জনসমাবেশের কাছে ককটেল বিস্ফোরণের সঙ্গে সঙ্গেই আপনাদের নেতৃবৃন্দ "হরতাল, হরতাল" বলে আওয়াজ তুলে? এ বিষয়ে আরেকটা জিনিসও তুলে ধরতে চাই। একটা বোমা/ককটেলেও কোনো মানুষের কিছু হলো না। অথচ ২১শে আগষ্ট বোমা হামলা, উদীচীর অনুষ্ঠানে বোমা হামলা, শাহ এস.এম.এস. কিবরিয়াকে বোমায় হত্যা, আহসানউল্লাহ মাষ্টারকে হামলা - ইত্যাদির উদাহরণ থেকে আমরা জনগণ দেখেছি মরেছে সাধারণ মানুষ, আওয়ামী নেতা-নেত্রীরা। আমি বলছি না বিএনপির কেউ মরলো না কেন। তবু প্রশ্ন কিন্তু একটা থেকেই যায় ... এসবকিছু কি পূর্বপরিকল্পিত? মানুষজন টিভিতে দেখেছে। ফলে অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই আপনাদের। এটা কি এই ইঙ্গিতই দেয় না যে এই হরতাল পূর্বপরিকল্পিত ছিলো? কে বা কাহারা আপনাদের অফিসে ককটেল/বোমা রাখে? একটা গণতান্ত্রিক দেশের গণতান্ত্রিক দলের কার্যালয়ে কি করে বোমা পাওয়া যায়? তার কি ব্যাখ্যা দিবেন আপনারা? আবার বলছি মানুষজন টিভিতে দেখেছে। ফলে এসব বিষয় অস্বীকার করা মানে আপনাদের ডাহা মিথ্যা বলা হবে। যদি ধরে নেই এটি বিএনপির কেউ করেনি, তাহলে কি বলব, এটি জামাত-শিবিরের কর্মীরা রেখে গেছে?

ছাত্রদলের এক প্রথম সারির নেতা (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) বলেছেন, বর্তমানে বিএনপিতে, কমপক্ষে গত পরসুর সমাবেশে, ৮০% ছিলো জামাত-শিবিরের লোকজন আর ২০% বিএনপির নেতাকর্মীরা। সেই ব্যক্তি এমনও বলেছেন, "জামাতকে কোনমতেই বিএনপির ঘাড়ে বন্দুক রেখে দেশকে অস্থিতিশীল করতে দেয়া হবে না। নয়তো এর দায় বিএনপির ঘাড়েই আসবে।" তাহলে বুঝুন আপনাদের দলের মধ্যে নেতাকর্মীদের মনোভাব জামাত সম্পর্কে। অথচ দলের শীর্ষস্থাণীয় নেতৃবৃন্দ সাধারণ নেতাকর্মীদের চাওয়া কতটুকু বুঝতে পারছে - সে তো বোঝাই যাচ্ছে।

সবশেষে বলব, এখনও কিছুই শেষ হয়ে যায় নাই। এখনও আত্মশুদ্ধির সময় আছে। গণজাগরণ মঞ্চে গিয়ে আপনারাও আওয়াজ তুলুন 'যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই', 'জামাতকে নিষিদ্ধ করতে চাই', 'ধর্ম যার যার, দেশ সবার'। তারপর দেখুন আপনাদের সমর্থন কতটুকু বাড়ে। আমি যদিও বাংলাদেশে নই, ফলে গণজাগরণ মঞ্চের সকল প্রধান ব্যক্তিদের আমি চিনি না ব্যক্তিগতভাবে, কিন্তু এতটুকু বলতে পারি তারা সাদরে গ্রহণ করে নেবে আপনাদের। এটুকু বলতে পারি এই কারণে যে, তারা কিন্তু গত সপ্তাহে আপনাদের ডাকা হরতাল প্রত্যাখ্যান করেনি। করেছে জামাতের ডাকা হরতালগুলো।

আশা করছি বিষয়গুলো সত্যিই একটু চিন্তা করে দেখবেন। লাভ যতটুকু হবে তা আপনাদেরই হবে। আর নির্বাচন নিয়ে ভাবছেন তো? সেটিও তখন আপনাদের দিকেই যাবে। আর তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে যে চিন্তা আপনাদের সেটি হোক বা না হোক, বিজয় তখন আপনাদেরই হবে। আর যদি বর্তমান যে অবস্থাণে পড়ে আছেন সেখানেই পড়ে থাকেন, তাহলে দেখবেন যা বলছেন আপনারা সেটি আপনাদের ক্ষেত্রেই হবে, অর্থাৎ, পায়ের নিচে মাটি আপনাদেরই থাকবে না।


শুভবুদ্ধির উদয় হোক। এই কামনায়...
---
এক প্রবাসী দেশপ্রেমী বাংলাদেশী


মূলপোস্ট
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বাংলাদেশের লোকসংস্কৃতিঃ ব্যাঙের বিয়েতে নামবে বৃষ্টি ...

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:০০



অনেক দিন আগে একটা গল্প পড়েছিলাম। গল্পটা ছিল অনেক এই রকম যে চারিদিকে প্রচন্ড গরম। বৃষ্টির নাম নিশানা নেই। ফসলের মাঠ পানি নেই খাল বিল শুকিয়ে যাচ্ছে। এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশি ভাবনা ও একটা সত্য ঘটনা

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:১৭


আমার জীবনের একাংশ জুড়ে আছে; আমি চলচ্চিত্রাভিনেতা। বাংলাদেশেই প্রায় ৩০০-র মত ছবিতে অভিনয় করেছি। আমি খুব বেছে বেছে ভাল গল্পের ভাল ছবিতে কাজ করার চেষ্টা করতাম। বাংলাদেশের প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাকি চাহিয়া লজ্জা দিবেন না ********************

লিখেছেন মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:৩৫

যখন প্রথম পড়তে শিখেছি তখন যেখানেই কোন লেখা পেতাম পড়ার চেষ্টা করতাম। সেই সময় দোকানে কোন কিছু কিনতে গেলে সেই দোকানের লেখাগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়তাম। সচরাচর দোকানে যে তিনটি বাক্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

=এই গরমে সবুজে রাখুন চোখ=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১

০১।



চোখ তোমার জ্বলে যায় রোদের আগুনে?
তুমি চোখ রাখো সবুজে এবেলা
আমায় নিয়ে ঘুরে আসো সবুজ অরণ্যে, সবুজ মাঠে;
না বলো না আজ, ফিরিয়ো না মুখ উল্টো।
====================================
এই গরমে একটু সবুজ ছবি দেয়ার চেষ্টা... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×