somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

প্রদীপ হালদার
আমি জাতিস্মর। সপ্তমবার মানব জন্ম। অষ্টমবার মানব জন্ম নিয়ে আবার পৃথিবীর বুকে ফিরবো। সীতারাম নন্দী(১ম), কৃষ্ণকান্ত নন্দী(২য়),কাশিমবাজার রাজা কৃষ্ণনাথ রায়(৩য়),বিজয়কৃষ্ণদুলাল পাল(৪র্থ),হরিদাস মুখার্জী(৫ম),রমেশ সাহা(৬ষ্ঠ),প্রদীপ হালদার(৭ম)।

ভগবান শিব সাধনা

১৪ ই অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১২:৫৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

তোমরা আমার আঁধার রাতের আলো
তোমরা আমার ভূত ভবিষ্যৎ বলো।
তোমরা আছো দলে দলে চতুর্দিকে
আমরা তিনজন ঘুরছি জঙ্গলে।
আমরা তিনজন মানুষ
নইকো আমরা তোমাদের মতোন অমানুষ।
আমাদের একজনের মুখে ওঠে রক্ত
কি হয়েছে তার বোঝার ক্ষমতা নাই অতো।
কে বা কারা নখের আঁচড় দিয়ে যায়
কাউকে এ ক্যামেরায় বন্দী নাহি করা যায়।
মাঝে মাঝে দেখি আগুনের গোলা
কি এগুলো বোঝা হলো না।
চতুর্দিকে বিশ্রী রকমের চীৎকার
মনে হয় এতো মানুষেরই কণ্ঠস্বর।
গাছ ভাঙার মড়মড় শব্দ, ভয় দেখানোর হিড়িক
মাঝে মাঝে ছায়ামূর্তি, ভূত না দানব আছে চতুর্দিক।
পোড়া জঙ্গলে ভূতের ভয়াবহতা
আমাদের তিনজনের সাহসিকতা।
সমতার সাথে আছি আমরা
ভয় সাহস দুটোর দরকার থাকা।
ভূতের সাথে লড়াই করা
এ কাজ মানুষের সাজে না।
ভূতের কাছে মানুষের পরাজয়
অদৃশ্য শক্তি তারা ছোটো ভাবা উচিত নয়।
দেখা যায় সাদা ভূত, ভূত সাদা নয়
মনে হয় সাদা কাপড়ে মোড়া, কাপড় কিন্তু নয়।
সাদা কালো মিলেমিশে আছে কত ভূত
অদৃশ্য শক্তি তারা ঘুরে বেড়ায় চতুর্দিক।
কখনো কান্নার আওয়াজ, কখনো বিড়াল কুকুরের ডাক
এতো মানুষ নয়, যতসব অসভ্য শয়তান।
পোড়া জঙ্গলে ভূতপ্রেতের অভিজ্ঞতা
সাহসের ওপর ভর করে আমাদের যাত্রা।
সব শয়তানের একসাথে হুঙ্কার
গায়ে কাঁটা দিয়ে ওঠে এমনই তার শিহরণ।
পোড়া জঙ্গলে একাকী যাওয়া
কোনো মানুষের পক্ষে সম্ভব না।
ভূত শয়তান ভগবান তাদের সাথে লড়াই করা
আমাদের তিনজনের পক্ষে সম্ভব না।
ভয়ে ভীত আমরা, মুখে কিছু বলি না
মুখে কিছু পাঠ করি নইলে ভয় কাটে না।
কিছুক্ষণ আগে হয়ে গিয়েছে বৃষ্টি
পথঘাট এখনো ভিজে তার চিহ্ন দেখতে পাচ্ছি।
আমরা এসেছি ভূত শিকারে
টর্চ লাইট আর ক্যামেরা নিয়ে।
ভূত কি ধরবো আমরা, ধরেছি কিছু ছবি
তাই নিয়ে আমরা পোড়া জঙ্গলে এগিয়ে চলেছি।
গাছে কত ফল, কি ফল নাম জানি না
অজানা গাছের ফল খাওয়া ঠিক হবে না।
কে বলে ভূত নাই, শুনেছো কি তাদের চীৎকার
নাকি ভাবছো তোমরা, মানুষ করছে অভিনয়।
কত মানুষ বোকা আছে ভেবে পাই না আমরা
ভয় আর বিভীষিকার মাঝে অভিনয় কখনো চলে না।
কাঁকড়া থাকে মাটিতে, সেখানে দেখছি কাঁকড়া আছে গাছে
তাহলে কি কাঁকড়া তার প্রাণ বাঁচাতে উঠে পড়েছে গাছে।
একি দেখছি আমরা এসব কি আগুনের গোলা
একবার ওপরে ওঠে আবার নীচে নামে এসব কারা?
পরক্ষণে মিলিয়ে যায়, আগুনের গোলা আর নাই
রাতের নিস্তব্ধতা ভেঙে এসব কাদের চীৎকার?
চোখের পলক ফেলতে না ফেলতেই কোথায় চলে যায়
একি আগুনের গোলা নাকি শয়তানের কারসাজি হয়।
হঠাৎ হঠাৎ করে আগুনের দেখা, কি করে ওঠে জ্বলে বুঝতে পারি না
তারি মাঝে কিসের চীৎকার ভয়ে গায়ের লোম হয়ে যায় খাড়া।
আবার দূরে জ্বলে উঠেছে আগুন, কাছে গিয়ে দেখি কিছু নাই
কি করে হঠাৎ হঠাৎ করে জ্বলে ওঠে আগুন বোঝার ক্ষমতা নাই।
আমরা তিনজন একসাথে আছি পোড়া জঙ্গলে
কত কি ভৌতিক কর্মকাণ্ড যার ব্যাখ্যা নাই আমাদের কাছে।
শুধু জানি এ জঙ্গল ভূত প্রেতে ভরা, মানুষ করবে কি বিশ্বাস
মানুষ তো বুদ্ধিমান তাই তারা আমাদের করে অবিশ্বাস।
কে ভাঙে গাছের ডাল, কে করে এতো চীৎকার
কিছুই তো দেখা যায় না তাইতো আমরা অসহায়।
আগুনের গোলা নাকি লাল সূর্যের দেখা পাই
কি দেখলাম আমরা এই গভীর রাতের বেলায়।
একি দেখছি আমরা, ছুটে ছুটে চলে আগুনের গোলা
কি এসব কিছুতেই পারছি না দিতে এসবের ব্যাখ্যা।
বাতাসের গতিতে কারা এরা দৌড়াদৌড়ি করে
চোখের পলক ফেলতে না ফেলতেই মিলিয়ে যায় শেষে।
হাওয়া নাই বাতাস নাই গাছ দোলে কি করে
কত কি ধরনের ঘটনা ঘটছে আমাদের চোখের সামনে।
হঠাৎ চীৎকারে আমাদের বুক কেঁপে ওঠে
কারা এরা ঘিরে ধরেছে আমাদেরকে চতুর্দিক থেকে।
অদৃশ্য শক্তি ঢুকেছে আমাদের একজনের মধ্যে
তারপর সে অস্বাভাবিকতা প্রদর্শন করে।
আমরা বাকি দুই জন তাকে ডাকাডাকি করি
তার হাতের ঘুষিতে একজন ছিটকে মাটিতে করে গড়াগড়ি।
কিছুক্ষণ বাদে অদৃশ্য শক্তির প্রকোপ থেকে মুক্তি পায়
পোড়া জঙ্গলে এমন বিভীষিকাময় অভিজ্ঞতা হয়।
এরা মানুষ নয়, এরা ভূত প্রেত শয়তান
এদের এসেছি আমরা দেখতে ক্ষমা করো ভগবান।
এরপর আমাদের একজন হঠাৎ চিৎ হয়ে পড়ে যায়
কি হয়েছে তার আমাদের বোঝার ক্ষমতা নাই।
তাকে ধরে তুলি আমরা, জিজ্ঞাসা করি কি হয়েছে
সে বলে, পুরো একটা দেহ ধাক্কা দিয়েছে তাকে।
পোড়া জঙ্গলে আমাদের এমনই অভিজ্ঞতা
এক বর্ণ মিথ্যা নয়, সবই সত্য জানিবে তোমরা।
মুহূর্তের মধ্যে আমাদের একজন নিখোঁজ হয়
চীৎকার করে ডাকি তাকে তার যে নাম হয়।
আমাদের চারিপাশে কোথাও নাই, কি ব্যাপার
হঠাৎ সামনে জ্বলে ওঠে আগুন, ছুটে যাই সেথায়।
গাছের মধ্যে আটকে আছে আমাদের নিখোঁজ সাথী
পা দুটি তার ওপরে, মাথা আছে নীচে, আমরা একি দেখছি।
টর্চ মোবাইল ক্যামেরা নিয়ে ভূত প্রেত কি ধরা যায়
শুধু দৌড়াদৌড়ি সার হয়, ভূত আমাদের ধরে নিয়ে যায়।
পোড়া জঙ্গলের অভিজ্ঞতা ভুলিবার নয়
যতটুকু পেরেছি তুলে ধরেছি এর বেশি আজ নয়।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১২:৫৩
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। গানডুদের গল্প

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:২৮




তীব্র দাবদাহের কারণে দুবছর আগে আকাশে ড্রোন পাঠিয়ে চীন কৃত্রিম বৃষ্টি নামিয়েছিলো। চীনের খরা কবলিত শিচুয়ান প্রদেশে এই বৃষ্টিপাত চলেছিলো টানা ৪ ঘন্টাব্যাপী। চীনে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর প্রক্রিয়া সেবারই প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

জামায়াত শিবির রাজাকারদের ফাসির প্রতিশোধ নিতে সামু ব্লগকে ব্লগার ও পাঠক শূন্য করার ষড়যন্ত্র করতে পারে।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৪৯


সামু ব্লগের সাথে রাজাকার এর সম্পর্ক বেজি আর সাপের মধ্যে। সামু ব্লগে রাজাকার জামায়াত শিবির নিষিদ্ধ। তাদের ছাগু নামকরণ করা হয় এই ব্লগ থেকেই। শুধু তাই নয় জারজ বেজন্মা... ...বাকিটুকু পড়ুন

×