somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পাকিস্তানী বিমানের বোমা নিক্ষেপ এবং স্প্রিন্টারে আহত রফিকুল মওলানা

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ৯:২৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


আমার দেখা মুক্তিযুদ্ধ
পাকিস্তানী বিমানের বোমা নিক্ষেপ এবং স্প্রিন্টারে আহত রফিকুল মওলানা
১৯৭১ সালের নভেম্বর মাস। চারিদিকে মুক্তিযোদ্ধাদের তুমুল আক্রমণে ভীত সন্ত্রস্ত পাক সেনারা। ফুলছড়ি থানার চর অঞ্চল মুক্তিযোদ্ধাদের দখলে। চারদিকে নদী বেষ্টিত চর এলাকা হওয়ায় যোগাযোগ ব্যাবস্থার অপ্রতুলতা এবং আক্রমণের মুখে নিজেকে বাঁচিয়ে চর থেকে দ্রুত পালিয়ে আসার সুযোগ না থাকায় এই সব চরে পাকসেনারা যাওয়ার সাহস পায় না। তাছ্ড়াা ফুলছড়ি থানার গলনার চর, কালাসোনার চর, রতনপুর চর এবং মোল্লার চরে মুক্তিযোদ্ধারা শক্ত ঘাঁটি গেড়ে বসেছে। চরের লোকজন তাদের সাধ্যমত খাবার সহ বিভিন্ন রকম সাহায্য সহযোগিতা করে মুক্তিযোদ্ধাদের আরো সাহসী এবং শক্তিশালি হওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে। মুক্তিযোদ্ধারা সারাদিন চর এলাকায় অবস্থান করলেও রাত হলেই তারা নদী পার হয়ে কায়েম এলাকায় এসে পাকসেনাদের বিভিন্ন ঘাঁটিতে আক্রমণ করে থাকে। তাদের গেরিলা আক্রমণে নাস্তানাবুদ পাকসেনারা মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে কুলোতে না পেরে বিমান বাহিনীর সহায়তা চেয়ে বসে। তাদের ধারনা চর এলাকার মুক্তিযোদ্ধাদের ঘাঁটি ধ্বংস করতে পারলে হয়তো তারা নিরাপদে থাকবে। সেই কারণে পাক সেনাদের সহযোগিতা করার জন্যই সম্ভাবত নভেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময় হঠাৎ করেই দু’টি পাকিস্থানী বিমান চর এলাকার উপর দিয়ে টহল শুরু করে দেয়। চর এলাকা আমাদের গ্রামের পাশে হওয়ায় টহল দেয়ার সময় আমাদের গ্রামের উপর দিয়েও এক চক্কর দেয়। এমনিতেই পাকসেনাদের ভয়ে মানুষ তটস্থ তরোপর হাঠাৎ জঙ্গি বিমান দেখে পুরো এলাকায় আতঙ্ক সৃস্টি হয়ে যায়। বিমান আক্রমণের হাত থেকে বাঁচার জন্য আমাদের পরিবারের সবাই গাছের নিচে আ¯্রয় নিয়েছি। জীবন বাঁচাতে মুক্তিযোদ্ধাদের শেখানো আত্মরক্ষার কৌশল হিসাবে বাড়ির সামনের বড় আমগাছের নিচে উপর হয়ে শুয়ে আছি। বিমান দু’টি চরের উপর দিয়ে দুই তিনবার চক্কর দিয়েই হঠাৎ বোম্বিং করে বসে। উপর হয়ে শোয়া অবস্থায় বম্বিংয়ের বিকট শব্দে কানের পর্দা ফেটে যাওয়ার অবস্থা। বিকট আওয়াজ শুনে মনে হলো মাথার কাছেই হয়তো বোমা ফেটেছে। শব্দ শুনে মা আমার ছোট ভাইকে বুকে জড়িয়ে ধরে আল্লাহ আল্লাহ করতে করতে কান্না করছে। পর পর ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় আরো দু’টি বম্বিং করার পর আকাশে এলোমেলো আরো দু’টি চক্কর দিয়ে বিমান চলে গেল।
কোথায় বম্বিং হলো তৎক্ষনাত কোন খবর পাওয়া গেল না। কারণ তখন পাকসেনাদের আতঙ্কে এমনিতেই গ্রামের মানুষ এলাকা ছেড়ে ভারত গিয়ে আ¯্রয় গ্রহণ করায় লোকজন কম তারোপর চর এলাকার খবর নেয়া আরো দূরহ ব্যাপার। বিকালের দিকে খবর পাওয়া গেল আমাদের গ্রামের পূর্ব পাশের ডাকুমারি গ্রামের নূরুল পন্ডিতের বড় ছেলে সামচুল এবং নাতি রফিকুল বোমার আঘাতে মরণাপন্ন অবস্থা। খবর শুনে বিকালেই আমরা দেখতে গেলাম। কিন্তু গিয়ে দেখা পেলাম না। কারণ তখনও তারা চর থেকে এসে পৌঁছতে পারে নাই।
যেভাবে রফিকুল বম্বিংয়ে আহত হলো---
রফিকুলের বয়স তখন চার পাঁচ বছর। তারা দুই ভাই। রফিকুল বড়। খান সেনাদের ভয়ে নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য রফিকুলের মা বাবা সন্তানদের নিয়ে তাদের নিজ গ্রাম ডাকুমারি থেকে খোলাবাড়ির চরে গিয়েছিল। এই চরে রফিকুলের নানার বাড়ি। নানার বাড়ি কিছুদিন কাটিয়ে বাবা মাসহ নিজের বাড়িতে ফেরার পথেই পাক বিমানের টার্গেটের শিকার হয়।
খোলাবাড়ির চর যমুনা নদীর পূর্বাংশে হওয়ায় নৌকা ছাড়া অন্য কোন যোগাযোগ ব্যবস্থা ছিল না। নানার বাড়ি থেকে রফিকুলের বাবা মাসহ ছোট ভাইকে নিয়ে নৌকাযোগে বাড়ি ফিরছিল। তখন কোন ইঞ্জিন চালিত নৌকা ছিল না। লগি, বৈঠা, পাল এবং গুন টেনে নৌকা চলাচল করতো। পাক সেনাদের ভয়ে তখন কেউ নৌকায় পাল খাটাতো না। খোলাবাড়ি থেকে ডাকুমারি আসতে কয়েক ঘন্টা লেগে যেত কারণ ডাকুমারি ছিল নদীর পশ্চিম পাড়।
দাড় টানা নৌকায় প্রথমে নদী পার হয়ে পশ্চিম পাশের খাটিয়া মারির চরে এসে আবার কিছুটা উজানে যেতে হয় এরপর খাটিয়ামারি চরের উজানে গিয়ে শাখা নদী ধরে পশ্চিম দিকে ¯্রােতের ভাটিতে নদীর পশ্চিম পাড় ডাকুমারি গ্রামে আসতে হয়। যমুনা নদীতে তখন প্রবল স্রোত থাকায় গুন টেনে নৌকা উজানে নেয়ার সময় পাকিস্থানী বিমান নৌকায় বম্বিং করে বসে। নৌকার উপর বম্বিং করলেও লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে বম্বিং হয় নৌকা থেকে কিছুটা দূরে ডাঙ্গায়। ডাঙ্গায় বম্বিং হয়ে সেই বোমার কিছু স্পিন্টার এসে নৌকার তলায় লেগে সাথে সাথেই নৌকার তলা খুলে যায়। নৌকাটি নদীর কাছারের কাছাকাছি থাকায় নৌকা তলা খুলে গেলেও পুরোপুরি না তলিয়ে অল্প পানিতে আটকে যায়। ঐ বম্বিংয়ের একটি স্প্রিন্টার এসে লাগে রফিকুলের বাম উরুতে এবং আরেকটি স্প্রিন্টার লাগে রফিকুলের বাবার বাম পাঁজরে। স্প্রিন্টার লাগার সাথে সাথেই রুফিকুলের বাম পায়ের হাড্ডি ভেঙে উরুর কিছু মাংস উড়ে যায়। আর রফিকুলের বাবা শামছুল আলমের বাম পাঁজরে স্প্রিণ্টার ঢুকে বুকের ভিতর আটকে যায়। এখানে উল্লেখ করার মতো যে-- চর এলাকার নদীর কাছারের উপরে যেখানে বম্বিং হয়েছিল সেই জায়গাটি বিশাল একটি গর্তে পরিণত হয়েছিল, বোমার আঘাতে চরের বালু মাটি কোথায় উড়ে গিয়েছে তা বোঝার মত ছিল না। যদি বম্বিং লক্ষ্যভ্রষ্ট না হয়ে নৌকায় হতো তা হলে নৌকাসহ রফিকুলের পুরোপরিবার ছিন্নভিন্ন হয়ে হাওয়ায় উড়ে যেত এবং তার পুরো পরিবারের লাশটিও খুঁজে পাওয়া যেত না।

বম্বিংয়ে ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় তারা বাপ বেটা দুইজন ক্ষতবিক্ষত হলেও রফিকুলের মাসহ নৌকার মাঝি এবং গুন টানা দুইজনের কোন ক্ষতি হয় নাই, কারণ রফিকুলের মা ছিলেন নৌকার ছইয়ের ভিতরে মাঝি ছিলেন নৌকার পিছনে এবং গুন টানা মাল্লা দুইজন ছিল নৌকা থেকে অনেক দূরে। তবে তারা বোমার বিকট শব্দে কানে তালি লেগে স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল। এমতো অবস্থায় চরের লোকজন এগিয়ে এলে তাদের এই অবস্থা দেখে দ্রুত আরেকটি নৌকার ব্যাবস্থা করে দেয়দ। সেই নৌকায় বাড়ি পৌছে বিকালের পরে বাড়ি পৌছে। রফিকুল এবং রফিকুলের বাবা আহত অবস্থায় বাড়ি এলেও চিকিৎসার কোন ব্যবস্থা না থাকায় দু’দিন অপেক্ষার পর তাদের আত্মিয় একজন মুক্তিযোদ্ধ্রা সহযোগিতায় ভারতের মাইনকার চর নিয়ে গেলে সেখানকার ডাক্তাররা তাকে সুচিকিৎসার জন্য আসাম রাজ্যের তুরা হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়। তুরা হাসপাতালে রফিকুলের বাবার স্প্রিন্টার অপারেশন করে বের করলেও রফিকুলের সুচিকিৎসার কোন ব্যবস্থা না থাকায় তুরা হাসপাতাল থেকে তাকে গৌহাটিতে রেফার করে। পাকসেনাদের অত্যাচার আর হত্যাযজ্ঞের ভয়ে সেই সময় পালিয়ে বেড়ানো মানুষ জনের আয় রোজগার ছিল না। সন্তান নিয়ে গৌহাটিতে যাওয়ার কথা বলায় রফিকুলের বাবা দুশ্চিন্তায় পড়ে গেলেন। তার কাছে তখন গৌহাটি যাওয়ার মত পকেটে টাকা পয়সা না থাকায় ছেলের আসন্ন মৃত্যু চিন্তা করে কেঁদে ফেলেন। তার কান্না দেখে এগিয়ে আসেন একজন মহিলা। তিনি আর কেউ নন তুরা হাসপাতালের সার্জেন্টের স্ত্রী। কোন কারণে হাসপাতালে বেড়াতে এসেছিলেন। রফিকুলের বাবার কান্নার কারণ জানতে পেরে মহিলা তার সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন। পরিচয় নিয়ে যখন জানতে পারেন রফিকুলের বাবার বাড়ি ফুলছড়ি তখন তিনি আরো সহযোগিতার হাত প্রশস্ত করে দেন, কারণ ডাক্তারের স্ত্রী ঐ মহিলার বাবার বাড়ি ছিল বগুড়া এলাকায়। হয়তো ফুলছড়ি তার বাবার বাড়ির কাছাকাছি হওয়ায় তিনি রফিকুলের বাবার জন্য আরো আপন হয়ে যান। ঐ মহিলা তখন তার স্বামিকে অনুরোধ করে বলেন, তুমিও তো অনেক অপারেশন করো এই বাচ্চাটাকে কেন গৌহাটিতে পাঠাচ্ছো। এরা আমার বাবার বাড়ির কাছের লোক। যেভাবেই হোক এই বাচ্চাটির তুমি চিকিৎসা কর। তার এই কথায় ডাক্তার অবশেষে অপারেশন করতে রাজি হয় এবং বাম পায়ে অপারেশন করে হাড় জোড়া লাগিয়ে ব্যান্ডেজ করে দেয়।
অপারেশন হলেও সুস্থ্য এবং চিকিৎসার কারণে তুরা হাসপাতালেই রফিকুলকে আরো দুইমাস থাকতে হয়। হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালে ঐ মহিলা অনেক সাহায্য সহযোগিতা করেছে। মাঝে মাঝেই সেই মহিলা বাসা থেকে খাবার তৈরী করে এনে রফিকুলকে খাইয়ে গেছে। হিন্দু মুসলিমের পার্থক্য না করে বাঙালি হিসাবে বাঙালিদের মাঝে যে মমত্ববোধ এবং টান তা মৃত্যু পথযাত্রি রফিকুলের চিকিৎসার ব্যাবস্থা করে এই মহিলা প্রমাণ করে গেছেন। হয়তো আজ তিনি বেঁচে নেই তারপরেও তার সহযোগিতার জন্য তাকে শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করি।
১৬ই ডিসেম্বর যখন দেশ স্বাধিন হয় তখনও রফিকুল ঐ হাসপাতালের বেডে শোয়া। স্বাধীন দেশ হিসাবে বিজয় হওয়ার কি আনন্দ সেটা তার ভাগ্যে জোটে নাই। দেশ স্বাধীন হওয়ার অনেক পরে সে বাংলাদেশে ফিরে আসে। রফিকুল যখন ভারত থেকে বাংলাদেশে তার নিজ গ্রামে ফিরে আসে তখন আমরা তাকে দেখতে গিয়েছিলাম। কারণ রফিকুলের দাদা আমাদের দূর সম্পর্কের ভগ্নিপতি হওয়ায় আমরা রফিকুলের দাদা নুরুল পন্ডিতকে খুব সমাদর করতাম। সেই সুবাদে তাদের বাড়ি আমাদের যাতায়ত ছিল। আমি গিয়ে দেখি তখন রফিকুল হাঁটতে পারে। কমোর থেকে পায়ের পাতা পর্যন্ত গজ ব্যান্ডেজ দিয়ে প্যালেস্টার করা। ঐ অবস্থায় সে উঠানে ভাঙা পা নিয়ে খুড়িয়ে খুড়িয়ে হাঁটিহাটি করছে। দেশ স্বাধিন হলেও সেই সময় দেশে কোন হাসপাতাল বা ডাক্তার খানা চালু হয় নাই। যে কারণে পায়ের ব্যান্ডেজ কাটার জন্য আবার তাকে তুরা হাসপাতালে যেতে হয়েছিল।
পাক বিমানের বম্বিংয়ের স্প্রিন্টার খেয়েও মরতে মরতে বেঁচে যাওয়া সন্তানকে তার বাবা হয়তো সেই সময়ই আল্লার রাস্তায় সপোর্দ করে দিয়েছিল, যে কারণে দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে তাকে স্কুলে না পড়িয়ে মাদ্রাসায় পড়তে দেয়। আজ সে একজন মওলানা এবং একটি মাদ্রাসার সুপারের দায়িত্ব পালন করছে। এখন তাকে রফিকুল মওলানা নামে সবাই চেনে।
আমাদের গ্রামসহ ডাকুমারি গ্রামটি অনেক আগেই নদীতে বিলীন হয়ে যাওয়ায় তার সাথে দীর্ঘ দিন যোগাযোগ ছিল না। কিছুদিন আগে নদীর পাড়ে সিংড়িয়া মসজিদে জুমার নামায পড়তে গেলে রফিকুল মওলানার সাথে দেখা হয়। ঐ মসজিদের সে ইমাম। বিজয়ের মাস হওয়ায় তাকে দেখা মাত্রই একাত্তর সালের সেই ঘটনাটি আমার মনে পড়ে গেল। নামায শেষে যখন রফিকুল মওলানাকে জিজ্ঞেস করলাম, বিমানের বম্বিংয়ের স্প্রিন্টার লেগে তোমার পায়ের যে মাংস উড়ে গিয়ে ক্ষত সৃস্টি হয়েছিল সেই জায়গাটি এখন কি অবস্থায় আছে, আমার প্রশ্ন শুনে রফিকুল মওলানা হাসতে হাসতে বলল, দাদা, বোমার আঘাতে উড়ে যাওয়া মাংস এখনও পুরোপুরি পুরণ হয় নাই। আমার বাম রানের অসমতল জায়গাটিতে হাত দিলে এখনও সেই বম্বিংয়ের বিভৎস দৃশ্য চোখে পড়ে। এখনো আমি ঐ দৃশ্য স্মরণ করে আৎকে উঠি। আল্লাহর কাছে হাজার শুকরিয়া সেই সময় আমার বাবা মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগিতা না নিলে আমি হয়তো বাংলার মাটিতে একাত্তর সালেই সমাহিত হয়ে যেতাম। ডাক্তারের স্ত্রী ঐ মহিলাকে দেখার খুব ইচ্ছা থাকা সত্বেও দুই দেশের বর্ডারের কারণে দেখা করা সম্ভব হলো না। তারপরো তার জন্য সবসময় দোয়া করে যাই আল্লাহ যেন তাকে সুখে শান্তিতে রাখে। মহিলার প্রতি তার কৃতজ্ঞতা শুনে চোখে পানিই চলে এলো।
আজকের প্রজন্ম মুক্তি যুদ্ধে কার কি অবদান হয়তো অনেকে কিছুই জানেন না। বই পুস্তক পড়ে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানলেও ঘরের পাশের লোকটির কি ভ’মিকা ছিল তা হয়তো জানে না। তাই চেষ্টা করতেছি আমার দেখা মুক্তিযুদ্ধের যতটুকু ঘটনা দেখেছি, শুনেছি এবং জানি তা লিখে রেখে যেতে চাই। সবাই দোয়া করবেন।
{সদ্য লেখাটি আনএডিট থাকায় ভুল ত্রুটি থাকতে পারে বলে দুঃখ প্রকাশ করছি।}



সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১১:১০
১৫টি মন্তব্য ৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অহমিকা পাগলা

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১৪


এক আবেগ অনুভূতি আর
উপলব্ধির গন্ধ নিলো না
কি পাষাণ ধর্মলয় মানুষ;
আশপাশ কবর দেখে না
কি মাটির প্রণয় ভাবে না-
এই হলো বাস্তবতা আর
আবেগ, তাই না শুধু বাতাস
গায়ে লাগে না, মন জুড়ায় না;
বলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩




তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×