বুবু,
সময় কত দ্রুত চলে যায়! ২৬ শে আগস্ট, রাত আনুমানিক ১২ টায় মিমি আপুর ফেইসবুক স্ট্যাটাস দেখে জানতে পারি তুই মা হয়েছিস। সুখানুভূতি সেদিন সত্যিই সীমানা ছাড়িয়েছিল। জন্মের পর জার্ভির ছবি দেখে মনে হয়েছিলো, আল্লাহ তোদের ঘরে একজন দেবতা পাঠিয়েছেন! যতো দিন যাচ্ছে, আমাদের জার্ভি যেনো ফুল হয়ে ফুটছে। দেখতে দেখতে এক বছর হয়ে গেলো! বাবাটা এখন মাম্মী, ড্যাডি ডাকতে পারে। ফোকলা দাঁতে হাসতে হাসতে ঘরময় ঘুরে বেড়াতে পারে। বেবি চ্যানেল দেখে আনন্দে গড়াগড়ি খেতে পারে! আহ! জীবন কতো সুন্দর! প্রশ্নটা হচ্ছে, অস্থির এই পৃ্থিবীতে আমাদের অ্যাঞ্জেল্টা কী ঠিকমতো বেড়ে উঠতে পারবে?
আমি জানি, তুই অসাধারণ একজন মা। বাবা হিসেবে আমিন ভাইও তুলনাহীন। তাই খুব বেশি ভাবি না। তবু মাঝেমাঝে মনে হয়, জার্ভি তো একটা যান্ত্রিক সময়ের প্রতিনিধি। ওকেও কী যান্ত্রিকতা গ্রাস করবে, নাকী অনেকখানি মানবিক হয়ে উঠবে ওর ভাবনার জগৎ? আমি ভীষণ আশাবাদি, ও অসাধারণ একজন মানুষ হবে। ও ভবিষ্যতে কী করবে, তা আমরা কেউ জানি না। তবে আমার কেন যেনো মনে হয়, জার্ভি অনেক বড় মানুষ হবে। দুনিয়াব্যাপি নাম হবে ওর। ও যা হতে চায়, তাই যেনো হতে পারে। তো্রা কখনো যেনো জো্র করে ওর ওপর কিছু চাপিয়ে দিস না। খেলো্যাড়, বিজ্ঞানী, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, শিল্পী, লেখক, চিত্রপরিচালক যাই হতে চাক সাপোর্ট দিস। শুধু এই ব্যাপারটা খেয়াল রাখিস, ও যা করছে ঠিকমতো করছে কী না। আর সবচে বড় যে বিষয়, কাজের জন্য জার্ভির নাম উচ্চারিত হলে যেনো বাংলাদেশের নাম উচ্চারণ হয়।
বাবাটাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা।
ইতি,
জার্ভির মামা (যদিও অনেক দূরের একজন)

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



