২.আরেক শরতের আগে
রুহুল মাহফুজ জয়
যতটা নীল দেখ, আকাশ তত নীল নয়। ধূসর কিছু কষ্ট আছে, কালো কালো দহন নিয়ে মেঘমল্লার। তোমাদের এই নগরে আকাশ দেখা পাপ, সুন্দরের দিকে তাকানো অন্যায়। বালিকারা তবু ফ্রক ছাড়ার আগেই শয্যা চিনে নিচ্ছে। দেয়ালে দেয়ালে দিন বদল অর্কেস্ট্রার সিম্ফনির গোঙানি। লাগ ভেলকি লাগ যাদুতে নাগরদোলা সাজাল যে অরণ্যের ডাকপিয়ন, তারও কিছু দালানের শখ ছিল। রঙের সার্কাসে চড়ে সেও তুলেছিল ভ্রু – যদিও তার সমস্ত স্মৃতিরা ঘুমিয়ে বাঁশের বাঁশিতে।
ইস্কুল পালিয়ে প্রথম চুম্বনের শিহরণ নিয়ে ফেইসবুক স্ট্যাটাসের দাবি ছিল না। কাশবনের কামবন হবার কষ্টে ক’টা ছবিও দেয়নি বালিকা। গোপন সে প্রেম গোপনে হারাতে দেখে দেখে এবার শরত ফুরোবার আগেই শ্রীমতি কুয়াশারাণীর বাহুডোরে বন্দী হবে কাশবন। স্বল্পদৈর্ঘ্য এসব প্রেমচিত্রে শুধু নায়িকার খুঁত খুঁজো না– রাবণ সীতাহরণ করেই যাচ্ছে। অরণ্য নয়, আমাদের এই নগরে!
০৮.০৮.১২
মাছরাঙা টেলিভিশন ভবন
বনানী, ঢাকা।
বি:দ্র: দু' সপ্তাহ আগে কবিতাটি দৈনিক যুগান্তরে প্রকাশিত।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



