আজকে সকালে উঠে ওয়াশ রুমে গেলাম। গুমরা মুখে ব্রাশ টাশ করে মুখটা ধোয়ার জন্য নুয়ে গেলাম। চোখ ধুতে ধুতে একটি বিজ্ঞাপনের পৃষ্ঠা দেখলাম সামনে দেয়ালটায় লাগানো। নতুন একটি বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি কোচিং সেন্টারের বিজ্ঞাপন সেটি। একে বারেই নতুন নামটাও চমকপ্রদ ‘‘ ওংকার’’ আকর্ষণ করল আমায়। তাই একটু মনোযোগ দিয়েই দেখলাম তাদের বিজ্ঞাপনের কথা গুলি। প্রথমেই দেখলাম তাদের এ ভর্তি কোচিং এ ভর্তির যোগ্যতা হিসেবে উল্লেখ করেছে জিপি এ উল্লেখ করেছে এ মুহুর্তে ঠিক কত তা মনে নেই তবে ৪.০০ এর উপরে চেয়েছে এসএসসি ও এইচএসসি। খুবই অবাক হলাম বিষয়টি দেখে। কোচিং এ ভর্তি হতেও জিপিএ। অবাক কান্ড এরপর কী তাহলে কোচিং ব্যবসায়ীরা কোচিং এ ভর্তির জন্য ‘‘কোচিং এ ভর্তির কোচিং’’ খুলে বসবেন। যেহেতু কোচিং এ পয়েন্ট দেখে জিপিএ দেখে, কলেজ দেখে, ভর্তি করাচ্ছে। আবার তাদের আবাসন ব্যবস্থায় শিক্ষার্থীদের আকর্ষণ করার জন্য একটি বিজ্ঞাপন দিয়েছে। এক্ষেত্রে একটি ডায়ালগ ব্যবহার করেছে এরকম
শিক্ষক: এই ছেলে তোমার এত দেরি হল কেন?
শিক্ষার্থী: স্যার রাস্তায় প্রচন্ড জ্যাম ছিল।
এবার তারা বলছে‘‘ আমাদের কোচিং এ শিক্ষকদের দেরী হবে শিক্ষার্থীদের নয়। কারণ আমাদের আছে শিক্ষার্থীদের জন্য আবাসনের সুব্যবস্থা। কী হাস্যকর কথা। এটা বোধ হয় কোচিং এর তথাকথিত ব্রিলিয়ান্ট ইমুক স্যার, তমুক স্যারেরা বুঝতেই পারেন নি। এক দু’জন শিক্ষার্থীর দেরি হলে সেটা ব্যক্তিগত ক্ষতি হবে। কিন্ত একজন শিক্ষকের দেরী হলে তো পুরো কোচিং এর শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। মনের অজান্তেই তারা তাদের শিক্ষকদের ফাকিবাজিটা প্রকাশ করল। শিক্ষকরা ফাকিবাজি করুক না করুক তারা শিক্ষার্থীদের ভাল কোচিং করবে কীনা তার সংশয় আছে।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা জুন, ২০১৪ দুপুর ১:৫৪