নেতা এবং কর্মী'র মধ্যে পার্থক্য কেবল শব্দগত নয়। নেতাকে কিছু রেসপনসিবিলিটি নিতে হয়। সংগঠনের স্বার্থে কিছু নিয়মের মধ্যে নিজেকে বাঁধতে হয়। নেতার এটিচ্যুড, তার বলা কথা কিংবা লেখা কর্মীবাহিনী অনুসরণ করে। তাৎক্ষণিক আবেগের স্থূল প্রকাশ কর্মীর কাছে প্রত্যাশিত হতে পারে নেতার কাছে নয়। ইনফ্যাক্ট নেতাও একজন সাধারণ মানুষই বটে। তবে তাকে এসব হজম করতে হয় পরিস্থিতি বিবেচনায়, বৃহত্তর লক্ষ্যকে এচিভ করার জন্য।
একজন ভাল নেতাকে আরেকটি দিক অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে - বক্তব্যকে প্রিসাইজ করতে হবে। কোনোধরণের অস্পষ্টতা কর্মীদের কাছে কাম্য হতে পারে না।
নেতাকে অবশ্যই তথ্য - উপাত্ত ও যুক্তির অস্ত্র প্রয়োগ করতে হবে, ছেলেমানুষি ইমোশনের প্রকাশ অবশ্যই নয়।
রাগ, ক্ষোভ, অভিমান, কষ্ট, যন্ত্রণা প্রদর্শনের বেলায় মনে রাখতে হবে এ থেকে শত্রুপক্ষ অহেতুক ফায়দা হাসিল করতে যেনো না পারে।
নেতাকে দশজনের মধ্যে একজন হওয়ার দরকার নেই। তার ভেতরে দশজনের উপস্থিতি থাকলেই চলবে।
উপরের কথাগুলো বিশেষ করে ছাত্রনেতাদের উদ্দেশ্যে লিখিত হলো। চিন্তা, মত ও বাক স্বাধীনতার জন্য আমাদের লড়াই চলবে। অন্যের শারীরিক কিংবা বৈষয়িক ক্ষতি হতে পারে এমন বক্তব্যের বাইরে যেকোনো কথা বলা বা লেখার অধিকার অবশ্যই মানুষকে দিতে হবে। সেকারণে আইসিটি এক্টের ৫৭ ধারা অবিলম্বে বাতিল করতে হবে।
রাজশাহী ইউনিভার্সিটির বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রীর নেতা দিলীপ রায়ের মুক্তি চাই। যা ইচ্ছে তা-ই বলার ও লেখার পরিবেশ চাই।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৫৮