somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

শিক্ষার্থীদের শারীরিক শাস্তি নিষিদ্ধ........

০৯ ই আগস্ট, ২০১০ রাত ৯:৩৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


আমি আশির দশকের মাঝামাঝি থেকে নব্বই দশকের মাঝামাঝি পর্যন্ত স্কুল পর্যায়ের ছাত্র ছিলাম। তখনকার অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি শিক্ষকরা শারীরিক শাস্তি দিতেন তাতে কিন্তু আখেরে আমাদেরই ভালো হয়েছে। একাবিংশ শতাব্দির আগ পর্যন্ত বলতে পারি শিক্ষকদের কাছে মার খাইনি এরকম ছাত্র লাখে একটা পাওয়া যাবে কিনা সন্দেহ। কিন্তু তারপরও শিক্ষকদের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধার ঘাটতি কখনো কারো মধ্যে লক্ষ করিনি। সেই শ্রদ্ধা শুধু স্কুলের মধ্যে সিমাবদ্ধ ছিল তা না। বরং যেখানেই শিক্ষকদের সাথে দেখা হয়েছে সেখানেই ছাত্র এবং শিক্ষকের মধ্যে একটা শ্রদ্ধা এবং স্নেহের একটা সম্পর্ক বজায় থাকতো। এমনকি পড়াশোনা ঠিকমত না করার কারনে যে ছাত্রটি প্রতিদিন মার খেত সেই ছাত্রও কখনো শিক্ষকের সম্পর্কে অশ্রদ্ধার কথা বলেনি।
শিক্ষক কর্তৃক শারিরীক নির্যাতন এই জাতীয় বাক্য তখন কিন্তু আবিস্কার হয়নি। কিন্তু তারপর কিসের যেন একটা পরিবর্তনের ঢেউ সারাদেশে আছড়ে পড়লো। ফাটল ধরলো ছাত্র এবং শিক্ষকের মধ্যে শ্রদ্ধা এবং স্নেহের সেই সুমহান সম্পর্কের মধ্যে। এখন তো ছাত্র শিক্ষক একসাথে ধুমপার করতে দেখা যায়। তারই ধারাবাহিকতায় আবিষ্কার হল শিক্ষক কর্তৃক শারিরীক নির্যাতন জাতীয় বাক্য। যা এখন নিষিদ্ধ করা হলো আইন করে।
দেশের আইন আদালত যত কিছুই বলুক না কেন আমি গভীর শ্রদ্ধার সাথে এখনো স্মরন করি সেইসব শিক্ষকদের যাদের কঠিন কঠোর এবং একই সাথে কোমল শাসনের কারনে আজকে মানুষ হতে পেরেছি। আমি আশির দশকের মাঝামাঝি থেকে নব্বই দশকের মাঝামাঝি পর্যন্ত স্কুল পর্যায়ের ছাত্র ছিলাম। তখনকার অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি শিক্ষকরা শারীরিক শাস্তি দিতেন তাতে কিন্তু আখেরে আমাদেরই ভালো হয়েছে। একাবিংশ শতাব্দির আগ পর্যন্ত বলতে পারি শিক্ষকদের কাছে মার খাইনি এরকম ছাত্র লাখে একটা পাওয়া যাবে কিনা সন্দেহ। কিন্তু তারপরও শিক্ষকদের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধার ঘাটতি কখনো কারো মধ্যে লক্ষ করিনি। সেই শ্রদ্ধা শুধু স্কুলের মধ্যে সিমাবদ্ধ ছিল তা না। বরং যেখানেই শিক্ষকদের সাথে দেখা হয়েছে সেখানেই ছাত্র এবং শিক্ষকের মধ্যে একটা শ্রদ্ধা এবং স্নেহের একটা সম্পর্ক বজায় থাকতো। এমনকি পড়াশোনা ঠিকমত না করার কারনে যে ছাত্রটি প্রতিদিন মার খেত সেই ছাত্রও কখনো শিক্ষকের সম্পর্কে অশ্রদ্ধার কথা বলেনি।
শিক্ষক কর্তৃক শারিরীক নির্যাতন এই জাতীয় বাক্য তখন কিন্তু আবিস্কার হয়নি। কিন্তু তারপর কিসের যেন একটা পরিবর্তনের ঢেউ সারাদেশে আছড়ে পড়লো। ফাটল ধরলো ছাত্র এবং শিক্ষকের মধ্যে শ্রদ্ধা এবং স্নেহের সেই সুমহান সম্পর্কের মধ্যে। এখন তো ছাত্র শিক্ষক একসাথে ধুমপার করতে দেখা যায়। তারই ধারাবাহিকতায় আবিষ্কার হল শিক্ষক কর্তৃক শারিরীক নির্যাতন জাতীয় বাক্য। যা এখন নিষিদ্ধ করা হলো আইন করে।
দেশের আইন আদালত যত কিছুই বলুক না কেন আমি গভীর শ্রদ্ধার সাথে এখনো স্মরন করি সেইসব শিক্ষকদের যাদের কঠিন কঠোর এবং একই সাথে কোমল শাসনের কারনে আজকে মানুষ হতে পেরেছি।
৩টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ওহাবী-সালাফি-মওদুদীবাদ থেকে বাঁচতে আরেকজন নিজাম উদ্দীন আউলিয়া দরকার

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৬ ই জুন, ২০২৪ দুপুর ২:৩৩

১.০
ঐতিহাসিক জিয়া উদ্দীন বারানী তার তারিখ-ই-ফিরোজশাহী বইতে শায়েখ নিজাম উদ্দীনের প্রভাবে এই উপমহাদেশে জনজীবনে যে পরিবর্তন এসেছিল তা বর্ণনা করেছেন। তার আকর্ষণে মানুষ দলে দলে পাপ থেকে পূণ্যের পথে যোগ... ...বাকিটুকু পড়ুন

এই ৩০ জন ব্লগারের ভাবনার জগত ও লেখা নিয়ে মোটামুটি ধারণা হয়ে গেছে?

লিখেছেন সোনাগাজী, ১৬ ই জুন, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৯



গড়ে ৩০ জনের মতো ব্লগার এখন ব্লগে আসেন, এঁদের মাঝে কার পোষ্ট নিয়ে আপনার ধারণা নেই, কার কমেন্টের সুর, নম্রতা, রুক্ষতা, ভাবনা, গঠন ও আকার ইত্যাদি আপনার জন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

আর্তনাদ

লিখেছেন বিষাদ সময়, ১৬ ই জুন, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২১

গতকাল রাত থেকে চোখে ঘুম নাই। মাথার ব্যাথায় মনে হচ্ছে মাথার রগগুলো ছিঁড়ে যাবে। এমনিতেই ভাল ঘুম হয়না। তার উপর গতকাল রাত থেকে শুরু হয়েছে উচ্চস্বরে এক ছাগলের আর্তনাদ।... ...বাকিটুকু পড়ুন

মন তার আকাশের বলাকা || নিজের গলায় পুরোনো গান || সেই সাথে শায়মা আপুর আবদারে এ-আই আপুর কণ্ঠেও গানটি শুনতে পাবেন :)

লিখেছেন সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই, ১৬ ই জুন, ২০২৪ রাত ১০:০০

ব্লগার নিবর্হণ নির্ঘোষ একটা অসাধারণ গল্প লিখেছিলেন - সোনাবীজের গান এবং একটি অকেজো ম্যান্ডোলিন - এই শিরোনামে। গল্পে তিনি আমার 'মন তার আকাশের বলাকা' গানটির কথা উল্লেখ করেছেন। এবং এ... ...বাকিটুকু পড়ুন

×