1947 সালে পাকিস্তান সরকার তারদেশের রাষ্ট্র ভাষা হিসেবে উর্দুকে সংবিধানে অন্তভূক্ত করার সিদ্ধান্ত গ্রহন করে কিন্তু এটি ছিল পূরপুরী অযোক্তিক কারন উদু পাকিস্তানের কোন অঞ্চলেরই ভাষা ছিল না পাকিস্তানের মোট 6% লোক উদুতে কথা বলত ৷ এমন কি খোদ জিন্নাহর ও মাতৃ ভাষা না জিন্নাহর মাতৃভাষা ছিল গুজরাটী ৷
পক্ষান্তরে বাংলাদেশের 95% লোকের ধর্ম ইসলাম ৷ বাংলাদেশের রাষ্ট্রের জনক একজন খাটি মুসলিম ছিলেন ৷ তিনি তরুন বয়সে পাকিস্তান আন্দোলনের কর্মী হয়েছিলেন তিনি সস্বং তিনি তার জীবনি গ্রন্থে লিখেছেন যে তিনি মনে করতেন পাকিস্তান না হলে মুসলিদের আধিকার প্রতিষ্ঠা হতো না ৷ কিন্তু পাকিস্তানের শাসক গোষ্ঠী বাঙ্গালী দের সাথে বেইমানি করে ৷
1956 সালে নির্বাচনের সময় আওয়ামী লীগ যখন প্রথম ক্ষমতায় আসে তারা কোন কোরান সুন্নাহ্ বিরোধী আইন করবেনা তার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ছিল এরপর 2016 পযর্ন্ত সময় যত বার তারা ক্ষমতাই এসেছে তত বার এই প্রতিশ্রুতি ছিল এমন কি বাংলাদেশের প্রথমসরকার মুজিবনগর সরকারের স্বাধীনতার ঘোষনপত্রও ছিল একই রকম ৷ এই মুক্তিযোদ্ধা সরকারের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমেদ তার মুসলিম চেতনা থেকেই তিনি মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ইহুদীবাদী রাষ্ট্র ইসরাইলের পাঠানো বিপুল পরিমান সাহায্য গ্রহন করেননি তিনি তা ফেরত পাঠান ৷ বঙ্গবন্ধুর 7 মার্চের ভাষনে তিনি পরিচয় দিয়ে ছিলেন তিনি একজন মুসলিম ৷ তিনি পাকিস্তানের করাগারে থাকতে বলেছিলেন মুসলমান একবার মরে, দুইবার মরে না ৷ তিনি বাংলাদেশের সংবিধান পাশ করেছিলেন শবে কদর এর রাত থেকে তিনি সেই সংবিধানে জুয়া , মদ , অপচয় ইত্যদি অপকর্ম নিষিদ্ধ করেছিলেন ৷ এই সময় সরকারের সমাজ কল্যান শ্রম সংকৃতি ক্রীড় মন্ত্রী ইউসুফ আলী ঘোষনা ইসলামের শিক্ষা ও আদর্শের প্রতি বাংলাদেশ আস্থাশীল ৷ 1973 সালে বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধু তার ইসলামী চেতনা ও মুসলিম শান্তিকামী জনগনের প্রতি দায়িত্ববোধ থেকেই আরব-ইসরাইল যুদ্ধের সময় সম্পর্ক 5000 জন মুজাহিদ একটি চিকিৎসকদের একটি দল ও এক লক্ষ পাউন্ড চা প্রেরন করেন ৷ এরপর তিনি 1974 সালে বঙ্গবন্ধু বিভিন্ন ইসলাম বিদ্বেষী মহলের চাপ উপেক্ষা করে ইসলামি সম্মেলনে যোগদান করেন ৷ এই সকল বিষয় কি প্রমান করে না কি ইসলাম হচ্ছে বাংলাদেশের সংবিধানের সাথে অবিচ্ছেদ্য অংশ ৷ তাই ইসলাম বাংলাদেশের এক মাত্র রাষ্ট্র ধর্ম ৷