সাবেক সেনাবাহিনী প্রধান ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লে: জে: (অব) মাহবুবুর রহমান, খালেদা জিয়া সম্পর্কে আইএসপিআরের সব অভিযোগকে মিথ্যা বানোয়াট ও উদ্দেশ্যে মূলক দাবি করে বলেছেন, সরকার রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে আইএসপিআরকে ব্যবহার করে খালেদা জিয়ার চরিত্রহরণের জন্য নানা ধরনের মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে । সোমবার দুপুরে গুলশান কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাবেক সেনাবাহিনী প্রধান এ অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, মইনুল রোডের বাড়ির সঙ্গে সশস্ত্র বাহিনীর কোন সম্পৃক্ততা নেই । তারপরও সরকার অসৎ উদ্দেশ্য সাধনে সশস্ত্র বাহিনীকে ব্যবহার করছে। যা সশস্ত্র বাহিনীর মান মর্যাদা ক্ষুণ্ন হচ্ছে। সেনাকর্মকর্তাদের সাথে খালেদা জিয়ার দুর্ব্যবহার ও হুমকি-ধমকি দেয়ার অভিযোগ তিনি বানোয়াট ও ভিত্তিহীন বলে মন্তব্য করেন। পূর্ব পরিকল্পিতভাবে মইনুল রোডের বাড়িতে সাংবাদিকদের ডেকে নিয়ে যেসব জিনিসপত্র দেখানো হয়েছে তা বেগম খালেদা জিয়ার নয় বলেও সাংবাদিক সম্মেলনে সাবেক এই সেনা প্রধান দাবি করেন। মাহবুবুর রহমান বলেন, প্রতিরক্ষা বাহিনীর একটি উইংকে ব্যবহার করে এ ধরনের কুৎসিত অপপ্রচারের দায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপর বর্তায়।
মইনুল রোডের বাড়িতে খালেদা জিয়ার দামি জিনিসপত্র, সেনাকর্মকর্তাদের সাথে দুর্ব্যবহার ও হুমকি দেয়াসহ আইএসপিআরের দেয়া বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানাতেই এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এ সময় ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আসম হান্নান শাহ, মেজর জেনারেল (অব.) রুহুল আলম চৌধুরী, এয়ারভাইস মার্শাল (অব.)আলতাফ হোসেন চৌধুরীসহ,সেনা নৌ ও বিমান বাহিনীর সাবেক বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
সাবেক সেনা প্রধান বলেন, সরকার তাদের রাজনৈতিক অসৎ উদ্দেশ্য সাধনের জন্য সেনাবাহিনীকে জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করানোর অপচেষ্টা করছে। যেদিন বাড়িটি থেকে খালেদা জিয়াকে উচ্ছেদ করা হল সেদিন সাংবাদিক, আইনজীবী কাউকেই সেখানে যেতে দেয়া হয়নি। অথচ তার পর সাংবাদিকদের দাওয়াত দিয়ে নিয়ে গিয়ে নানা ধরনের বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য প্রচার করা হচ্ছে।
হান্নান শাহ বলেন, ওয়ান-ইলেভেনের সময় খালেদা জিয়ার মইনুল রোডের বাড়িতে যৌথবাহিনী অনেক তল্লাশি করেছে তখন তো কিছু পায়নি। এটা পরিকল্পিতভাবে অসৎ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে চরিত্র হরণের জন্য করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, খালেদা জিয়া সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের সাথে দুর্ব্যবহার ও হুমকি দিয়েছেন বলে রোববার সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন আইএসপিআর পরিচালক।
এছাড়া ওইদিন বেশ কয়েকজন সাংবাদিককে মইনুল রোডের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়।
(শীর্ষ নিউজ ডটকম/আইএম/এএইচ/২.০০ঘ)