somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমার দেখা নিউইয়র্ক!

১১ ই অক্টোবর, ২০০৬ সকাল ১০:৩৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বন্ধুরা, আমেরিকার মাটিতে পা রেখেছি, খুব বেশী দিন হয়নি, এরই মধ্যে নিউইয়র্কের বেশ কিছু প্রসিদ্ধ স্থান ঘুরে দেখার মতো সময় হয়েছিলো আমার। আমেরিকার অন্যতম ব্যস্ত নগরী নিউইয়র্ক, অনেক সময় নিউইয়র্ককে পৃথিবীর রাজধানীও বলা হয়ে থাকে। সত্যি কথা বলতে কি, বিগত মাস খানেক সময় এখানে অবস্থান করে আমারও মনে হয়েছে, নিউইয়র্ক সত্যি খুব ব্যস্ত একটা নগরী। এখানে জীবন কখনোই থেমে থাকেনা, শেষ রাতেও রাস্তায় বের হলে দেখতে পাওয়া যায় শত শত গাড়ি সাই সাই করে ছুটছে, কেউ হয়তো জীবিকার প্রয়োজনে, কেউবা ঘুরতে বের হন।

রাস্তায়ও দেখতে পাবেন, লোকজন হেটে যাচ্ছে তার আপন গন্তব্যে। তবে এটাও সত্যি যে, নিউইয়র্ক-এ অনেক লোক বসবাস করেন, তবে এদের খুব কম সংখ্যক লোকই এই নগরীর স্থায়ী অধিবাসী। এখানে আপনি পৃথিবীর প্রায় প্রত্যেকটা দেশেরই লোকজন দেখতে পাবেন। সমস্ত পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এখানে লোকজন আসেন, কেউ জীবিকার সন্ধানে, কেউবা ঘুরতে। কারণ যাইহোক, এখানে রাস্তায় বের হলেই আপনি দেখতে পাবেন চাইনিজ, ভারতীয়, বাংলাদেশী, ইউরোপীয়ান ছাড়াও বিভিন্ন দেশের মানুষ। বিশেষ করে এখানে চাইনিজ সম্প্রদায়ের লোকজনের বেশ ভালো প্রভাব আছে। প্রতিবেশী দেশ মেক্রিকো থেকেও বিশাল সংখ্যক লোকজন এখানে আসেন কাজ করার জন্য।

ইট, পাথরের নগরী হলেও এখানকার মানুষগুলো অসম্ভব আমোদ প্রিয়। আনন্দ, আড্ডা, এ্যালকোহল আর মেয়ে মানুষদের জন্যে এরা দু'হাতে টাকা ওড়াতে পারে অবলীলায়। বিশেষ করে সপ্তাহান্তে আপনি বুঝতে পারবেন এরা কতটা আমোদ প্রিয়, সে সময় দিনের বেলার চেয়ে রাতে বেশী লোকজন চোখে পড়ে, শেষ রাএিতেও আপনি দেখতে পাবেন এদের আনন্দ আড্ডার কোন কমতি নেই। সাই সাই করে গাড়ি ছুটিয়ে, হাই ভলিউমে গান বাজিয়ে, বন্ধু-বান্ধবদের নিয়ে এরা আড্ডায় মেতে থাকে। অন্যান্য দিনগুলোর তুলনায় সপ্তাহান্তের রাতে বিভিন্ন দোকানে বিয়ার, মদ কেনার জন্যে এদের লম্বা লাইন লেগে থাকে।

তবে একটা ব্যাপার না বললেই নয়, এখানে আইন বেশ কড়াকড়ি, যে যার মতো আনন্দ বা মজা করলেও তেমন কেউই আইন ভঙ্গ করেন না। তবে বিছিন্ন কিছু ঘটনা যে একেবারেই ঘটেনা তা কিন্তু নয়। এখানে সবচেয়ে বড় অপরাধ কারো গায়ে হাত তোলা, অপরাধ যারই হোক আপনি গায়ে হাত তুললেন তো সব দোষ আপনার কাঁধেই বর্তাবে। এখানকার পুলিশ প্রশাসন সব সময়ই বেশ কড়া, বিশেষ করে জনগনের স্বার্থে তারা অনেকটাই নিবেদিত প্রান বলতে হবে। এক্ষেএে বরাবরই আমার বাংলাদেশের পুলিশ প্রশাসনের কথা মনে পড়েছে, আর ধিক্কার জেগেছে মনে।

সবশেষে বলবো, নিউইয়র্ক সত্যিই সুন্দর একটা নগরী, তবে সবকিছুর মতোই এর অনেক অসুন্দর কিছু দৃশ্যও আমার চোখে পড়েছে, যেমন গৃহহীন লোকজন, ভিক্ষাবৃত্তি, বৃদ্ধবয়সের একাকীত্ব এসব নিয়ে লিখার ইচ্ছে আছে, তবে তা কেবলই নির্ভর করছে আপনাদের মন্তব্যের উপর।

টাইম স্কয়ার, এমপায়ার স্টেট বিলডিং, সাবওয়ে, রিভারসাইড পার্ক, ম্যকডোনালডস, ইউএন হেডকোয়ার্টার ছাড়া এখানে দেখার মতো অনেক কিছুই আছে। এসবের অনেক কিছুই আমার দেখা হয়েছে ইতিমধ্যে। আমার অভিজ্ঞতা আর কিছু ছবি দিয়ে এসব স্থানগুলো নিয়ে বিভিন্ন কিস্তিতে লিখার আশা রাখছি। তবে এ ব্যাপারে আপনাদের সমর্থন পেলে অবশ্যই আমি তা গুরুত্বসহকারে লিখবো।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০
১৬টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

প্রকৌশলী এবং অসততা

লিখেছেন ফাহমিদা বারী, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:৫৭


যখন নব্বইয়ের দশকে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার সিদ্ধান্ত নিলাম এবং পছন্দ করলাম পুরকৌশল, তখন পরিচিত অপরিচিত অনেকেই অনেকরকম জ্ঞান দিলেন। জানেন তো, বাঙালির ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ডাক্তারিতে পিএইচডি করা আছে। জেনারেল পিএইচডি। সবাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইউনুসের উচিৎ ভারতকে আক্রমন করা , বিডিআর হত্যাকান্ডের জন্য

লিখেছেন এ আর ১৫, ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৩৭


ইউনুসের উচিৎ ভারতকে আক্রমন করা , বিডিআর হত্যাকান্ডের জন্য

পহেল গাঁয়ে পাকিস্থানি মদদে হত্যাকান্ডের জন্য ভারত পাকিস্থানে আক্রমন করে গুড়িয়ে দেয় , আফগানিস্থান তেহেরিক তালেবানদের মদদ দেওয়ার জন্য, পাকিস্থান... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি ভারতকে যাহা দিয়াছি, ভারত উহা সারা জীবন মনে রাখিবে… :) =p~

লিখেছেন নতুন নকিব, ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১:১৫

আমি ভারতকে যাহা দিয়াছি, ভারত উহা সারা জীবন মনে রাখিবে… :) =p~

ছবি, এআই জেনারেটেড।

ইহা আর মানিয়া নেওয়া যাইতেছে না। একের পর এক মামলায় তাহাকে সাজা দেওয়া... ...বাকিটুকু পড়ুন

এমন রাজনীতি কে কবে দেখেছে?

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:২০


জেনজিরা আওয়ামী লীগের ১৬ বছরের শাসনামল দেখেছে। মোটামুটি বীতশ্রদ্ধ তারা। হওয়াটাও স্বাভাবিক। এক দল আর কত? টানা ১৬ বছর এক জিনিস দেখতে কার ভালো লাগে? ভালো জিনিসও একসময় বিরক্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযুদ্ধের কবিতাঃ আমি বীরাঙ্গনা বলছি

লিখেছেন ইসিয়াক, ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:১৫


এখনো রক্তের দাগ লেগে আছে আমার অত্যাচারিত সারা শরীরে।
এখনো চামড়া পোড়া কটু গন্ধের ক্ষতে মাছিরা বসে মাঝে মাঝে।

এখনো চামড়ার বেল্টের বিভৎস কারুকাজ খচিত দাগ
আমার তীব্র কষ্টের দিনগুলোর কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

×