বাংলা সাহিত্যের জনপ্রিয় লেখক হুমায়ুন আহমেদের জনপ্রিয় উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত এই চলচ্চিত্র ১৯৯৯ সালে মুক্তি পায়। হুমায়ুন আহমেদ এই চলচ্চিত্রে আবহমান বাংলার গ্রামীন সংস্কৃতিকে খুব সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন। অন্যতম লক্ষ্যনীয় বিষয় হলো, এই ছবিতে সর্বমোটা ন'টি গান যুক্ত করা হয়েছে। সম্প্রতি প্রকাশনীতে গানগুলোর লিরিকস সংরক্ষণ করতে গিয়ে বেশ আবেগ আপ্লুত হতে হলো যা আমার জন্য অস্বাভাবিক ব্যাপার।
ন'টি গানের মধ্যে চারটি গান রচনা করেছেন বিখ্যাত বাউল সাধক উকিল মুন্সী, আর অন্য একটি গান "মানুষ ধরো মানুষ ভঁজো" রচনা করেছেন আরেকজন বাউল সাধক রশিদ উদ্দিন। হুমায়ুন আহমেদ স্যার লিখেছেন চারটি গান। খুব সম্ভবত এই গানগুলোর মাধ্যমেই স্যার গীতিকার হিসেবেও আত্মপ্রকাশ করেন। তবে ঘুরে-ফিরে আমি বারবারই ফিরে গিয়েছি বাউল সাধকদের এই অসাধারণ সৃষ্টির রহস্য খুঁজে বের করতে। আমার মতো নিতান্ত ক্ষুদ্র মানুষের পক্ষে যদিও এটা অসম্ভব প্রায় কাজ, তবুও বার বার করে পড়েছি তাদের কথাগুলো। মনে হয়েছে, প্রায় শতবছর পরেও তারা কোন না কোনভাবে এমন কিছু সৃষ্টি করে গেছেন যা আমাদের চলে যাওয়ার বহুদিন পরেও মানুষ পড়বে, বোঝার চেষ্টা করবে। কন্ঠশিল্পী হিসেবে বারী সিদ্দিকী তার অনবদ্য প্রতিভার বিরল স্বাক্ষর রেখে গেছেন এই গানগুলো গেয়ে। এই অসাধারণ প্রতিভাধর গুণী মানুষগুলোর প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই। তাদের কাজ বেঁচে থাকুক বাংলা সাহিত্যের অমূল্য সম্পদ হয়ে, এটাই প্রত্যাশা থাকছে।
শ্রাবণ মেঘের দিন চলচ্চিত্রের সবগুলো গানের লিরিকস সংরক্ষণ করার কাজ শেষ হলো। ধন্যবাদ।
ছবি কপিরাইটঃ উইকিপিডিয়া
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২১ সকাল ৭:৩৪