ইন্টেলের ৮ম প্রজন্মের সিপিউ দিয়ে ২০১৮ সালে আমার ব্যক্তিগত ওয়ার্কস্টেশন কম্পিউটারটি তৈরী করেছিলাম। মাঝে ৯ম প্রজন্মের সিপিউও ব্যবহার করেছি প্রায় একই প্রজন্মের মাদারবোর্ড দিয়ে। নিজের ব্যক্তিগত কাজ এবং অফিসের কাজ দুটোই এই পিসিতে করা হয়। ব্যাকআপ হিসেবে ডেলের অপটিপ্লেক্স ৩০৮০ মাইক্রো কম্পিউটার রেখেছি। ঐ পিসিতে অবশ্য ১০ম প্রজন্মের প্রসেসর রয়েছে। ওটাতেই মূলত ডেস্কটপ হ্যাকিন্টশ ব্যবহার করা হচ্ছিলো।
সম্প্রতি সিদ্ধান্ত নিয়েছি ইন্টেলের আই৭-১২৭০০ সিপিইউ দিয়ে একটি নতুন কম্পিউটার বানানোর। এই সিপিইউ কেনার পেছনে আমার যথেষ্ট সময় ব্যয় করতে হয়েছে মূলত কিছু বিষয় স্টাডি করার জন্য। বর্তমানে ইন্টেলের ১৩তম প্রজন্মের প্রসেসর বাজারে থাকালেও এর দাম তুলনামূলকভাবে বেশী হওয়ায় এবং অনেক বেশী বিদ্যুৎ ব্যবহার করায় ওটা বাদ দিতে হয়েছে।
আমি ওভারক্লকিং করি না, রংচং লাইট আমার পছন্দ নয় তাই মাদারবোর্ড পছন্দ করতে গিয়ে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়েছে। সবচেয়ে বড় সমস্যা ছিলাে আমার কেসিং এর সাইজ। ওটাকে মাথায় রেখে মাদারবোর্ড হিসেবে বেছে নিয়েছি এম.এস.আই এর একটি এইচ৬১০এম বোর্ড। এর যে বৈশিষ্ট্যটা আমার সবচেয়ে ভালো লেগেছে সেটা হলো ওয়াই-ফাই কার্ডটি মাদারবোর্ডে সরাসরি বসানো যাবে। ওটার জন্য বর্তমানে একটি আলাদা এ্যাডাপ্টার ব্যবহার করতে হচ্ছে, সেটার আর প্রয়োজন হবে না।
আমার সিপিইউটি ৬৫ টিডিপির, বুস্ট বন্ধ থাকবে আর পাশাপাশি আমার কেসিং এর ডেপথ বেশী না থাকায় লো প্রোফাইল কুলার কিনতে বাধ্য হলাম। বর্তমানে আই৭-৯৭০০ সিপিইউর সাথে নকটুয়া এনএইচ-এল৯আই কুলারটি ব্যবহার করছি, এটা দিয়ে এলজিএ ১১৫এক্স বা ১২০০ সকেটের সিপিইউ ব্যবহার করা যায়। কিন্তু আই৭-১২৭০০ সিপিইউ সাইজে বেশ বড় হওয়ায় নকটুয়ার এনএইচ-এল৯আই-১৭এক্সএক্স কুলারটিও কিনতে হলো। সবকিছু কালো রংয়ের হওয়াতে কুলাটিও কালো নিয়েছি।
মেমরি হিসেবে বর্তমানে ক্রুশাল ব্র্যান্ডের ৩২ গি.বাইটের ২৬৬৬ মেগাহার্টজের মডিউল ব্যবহার করলেও নতুন প্রসেসর এর সাথে ব্যবহারের জন্য ৩২ গি.বাইটের ৩২০০ মেগাহার্টজের মডিউল কেনা হয়েছে। মডিউলটি মেটাল প্লেট দিয়ে ঘিরে রাখার কারণে মেমরির তাপ কিছুটা কম থাকবে বলে আমার ধারনা। তবে ব্যবহারের পরেই মূলত বোঝা যাবে।
এই প্রথম আমি কাস্টম সিপিইউ কন্টাক্ট ফ্রেম ব্যবহার করতে যাচ্ছি। প্রথাগত সিপিইউ রিটেনশন মডিউল মাউন্ট বাদ দিয়ে এই ফ্রেম ব্যবহার করা হবে যা সিপিইউকে কয়েক ডিগ্রি বেশী ঠান্ডা রাখবে বলে জানতে পেরেছি। ফ্রেমটির একটি ছবি দিচ্ছি, অনেকেই হয়তো পার্থক্য বুঝতে পারবেন।
আরেকটি ব্যাপার এই প্রথম ঘটতে যাচ্ছে আর সেটা হলো, সিপিইউর উপরে এবার আর কোন থার্মাল পেস্ট দেয়া হচ্ছে না, বরং ইন্ডাস্ট্রিয়াল থার্মাল প্যাড ব্যবহার করা হবে। এতে সিপিইউর তাপ সহজে পরিবাহিত হয় বলে গবেষণা থেকে জেনেছি।
সবকিছু মিলিয়ে নতুন বিল্ড নিয়ে আমি বেশ আশাবাদী। বিল্ড শেষে হয়তো কিছু ছবি এবং স্ক্রীণশট শেয়ার করতে পারবো। ধন্যবাদ।
আপডেটঃ বিল্ড শেষ করে সপ্তাহ দু'য়েক ব্যবহারের পর যখন জানতে পারলাম খুব শীঘ্রই ১৪তম প্রজন্মের সিপিউ রিলিজ হতে যাচ্ছে তখন সবগুলো পার্টস এ্যামাজনে ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছি। নতুন প্রসেসর রিলিজ হওয়ার পরেই নতুন করে আবার বিল্ড হবে। ধন্যবাদ।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ৯:২৭