আগস্টের ৩ তারিখ আমি বাসা থেকে বের হয়ে প্রগতি স্মরণী গিয়ে আন্দোলনে শরিক হই। সন্ধ্যের নাগাদ পরিবারকে নিয়ে আমার শ্বশুর বাড়ি রেখে এসে পরদিনই দুপুরের মধ্যেই রওনা হয়ে যাই। আগস্টের ৪ তারিখ বিকেলে বাসায় ফিরে এসেই আবার প্রগতি স্মরণীতে ছাত্রদের সাথে গিয়ে দাঁড়াই। তখনো জানতাম না নাফিজের কথা। শহীদ নাফিজের কথা বলছি যার নিথর দেহ নিয়ে রিকশাওয়ালা নুরু ভাইয়ের ছবি দেখেছি আরো পরে।
ছবিটা যতবার দেখেছি ততবারই চোখের কোন জল এসেছে। কোন এক অজানা কারনেই ছেলেটার জন্য আমার ভীষণ খারাপ লাগে। একটা সন্তানকে লালন-পালন করে এতটা বড় করার পর এভাবে অন্যায়ভাবে হারানোর বেদনা কেবল সন্তানের মা-বাবাই ভালো বুঝতে পারবেন। আরো পরে জেনেছি, ছবিটা তুলেছেন মানবজমিনের ফটোসাংবাদিক জীবন আহমেদ।
বিগত সেপ্টেম্বরের ৫ তারিখ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যখন "শহীদী মার্চ"-এ যোগ দেই, তখনও জীবন ভাইয়ের সাথে দেখা হয়েছে। মার্চ শুরু হয়ে যাওয়াতে তার সাথে অবশ্য দু'তিন মিনিটের বেশী কথা বলার সুযোগ হয় নি। আরো পরে জেনেছি এই ছবিটিও তারই তোলা। আগে জানলে তাকে একটা ধন্যবাদ অবশ্যই জানাতাম। যদিও তিনি তখন তার দায়িত্ব পালন করছিলেন তদুপরি, তাকে এই ধন্যবাদ জানাতে চাই। জীবন ভাই আপনি যেখানেই থাকুন, ভালো থাকুন আর সুস্থ থাকুন। ধন্যবাদ।
ছবি কপিরাইট: মানবজমিন।