somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

রেসিপি পোস্ট: করলার হালুয়া, সাথে নিম পাতার স্যুপ!:P

২৩ শে এপ্রিল, ২০০৮ রাত ১০:১৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

করলার হালুয়া: (চার সদস্যের পরিবারের জন্য।)

উপকরন: ৫ টা টাটকা বড় সাইজের করলা। পানি, পাতিল, নাড়ার জন্য চামচ। চিনি, কিসমিস, লবন, তেজপাতা, গরম মসল্লা।


প্রনালী: করলা গুলোকে (করলা যত তিতা হবে, হালুয়া তত মজাদার হবে) ছোট ছোট করে কেটে গরম পানিতে সিদ্ধ করতে হবে। ২০/২২ মিনিট পর একটা হাড়িতে লবন, তেজপাতা-গরম মসলা ইত্যাদি দিয়ে নাড়তে হবে পুরো মিহি না হওয়া পর্যন্ত। পানি যতটা পারা যায় শুকিয়ে ফেলতে হবে। যারা করলার হালুয়া খেয়ে অভ্যস্ত নয়, তাদের জন্য ২ চা চামচ চিনি দেয়া যেতে পারে। এবার হালুয়ার লেই হয়ে গেলে কয়েকটা কিসমিস দানা দিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন। ও হ্যা, করলার তিতকুটে গন্ধ দূর করার জন্য হালুয়ার উপরে কয়েকফোটাঁ "গরুর তেল" [(অ)গাণিতিক ভাই'র রিসেন্ট পোস্ট দ্রষ্টব্য] ছিটিয়ে দিতে পারেন। :)


এবার তাহলে সেকেন্ড মেনুর দিকে নজর দেয়া যেতে পারে।

নিমপাতার স্যুপ: (চার সদস্যের পরিবারের জন্য। )

উপকরন: ৫ কেজি টাটকা নিমপাতা। (গাঢ় সবুজ রংয়ের হলে ভাল হয়। না পাওয়া গেলে কাঁঠাল পাতা দিয়েও ব্লগের ছাগুদের কাজ চলবে।)
আধাকেজি ভূষি, পেয়াজ-মরিচ, পাতিল , পানি এই সমস্ত হাবি জাবি।

প্রনালী: প্রথমেই পেয়াজ-মরিচের সাথে ভূষি চুলায় চড়িয়ে দিতে হবে। ১৫ মিনিট পর ভূষিতে বলক আসলে সবগুলো নিমপাতা কুচি কুচি করে কেটে সেখানে দিয়ে দিতে হবে। পরের ১০ মিনিটের মধ্যে স্যুপ তৈরী হয়ে যাবে। স্যুপ যত ঘন হবে, খেতে তত স্বাদ লাগবে। ব্যাস, হয়ে গেল। এবার হালুয়ার সাথে স্যুপটি গরম গরম পরিবেশন করুন।
যাদের এই স্যুপ খেয়ে অভ্যাস নেই, তাদেরকে জোর করে খাওয়ানো যেতে পারে। প্রথম প্রথম একটু কষ্ট লাগলেও, পরে অভ্যাস হয়ে যাবে। আর হ্যা, এই দুইটা মেনুই "বিশেষ একটি রোগে" আক্রান্ত রোগীর জন্য খুবই ফলদায়ক।


(পুনশ্চ: এই মেনু দুটি পরিবেশনের পরের কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা অথবা দুর্ঘটনার জন্য রেসিপির সেফ দায়ী নন। নিজ দায়িত্বে রান্না এবং পরিবেশন করুন। ধন্যবাদ।)






(ভাবছিলাম ফ্লাডিং বইলা সবগুলারে আটকামু।
পারলাম না। উল্টা এখন নিজেই আটকায়া গেলাম।:()
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে এপ্রিল, ২০০৮ রাত ৮:১০
২৮টি মন্তব্য ২৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ঝিনুক ফোটা সাগর বেলায় কারো হাত না ধরে (ছবি ব্লগ)

লিখেছেন জুন, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:০৯

ঐ নীল নীলান্তে দূর দুরান্তে কিছু জানতে না জানতে শান্ত শান্ত মন অশান্ত হয়ে যায়। ১৯২৯ সালে রবার্ট মোস নামে এক ব্যাক্তি লং আইল্যান্ড এর বিস্তীর্ণ সমুদ্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

মামুনুলের মুক্তির খবরে কাল বৃষ্টি নেমেছিল

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৯:৪৯


হেফাজত নেতা মামুনুল হক কারামুক্ত হওয়ায় তার অনুসারীদের মধ্যে খুশির জোয়ার বয়ে যাচ্ছে। কেউ কেউ তো বলল, তার মুক্তির খবরে কাল রাতে বৃষ্টি নেমেছিল। কিন্তু পিছিয়ে যাওয়ায় আজ গাজীপুরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'

লিখেছেন এমজেডএফ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ

লিখেছেন নীলসাধু, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২২

আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ অপেক্ষা

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২৩



গরমের সময় ক্লাশ গুলো বেশ লম্বা মনে হয়, তার উপর সানোয়ার স্যারের ক্লাশ এমনিতেই লম্বা হয় । তার একটা মুদ্রা দোষ আছে প্যারা প্রতি একটা শব্দ তিনি করেন, ব্যাস... ...বাকিটুকু পড়ুন

×