আজকে প্রথম অন্ধকার পত্রিকায় মুহম্মদ জাফর ইকবাল এর "বিএনপি যদি জামায়াতকে পরিত্যাগ না করে..." শিরোনামে লেখটি পড়ে আমিতো বিনোদিত হইছিই............স্বয়ং শয়তান তার হাসি থামাইয়া রাখতে পারছে কি না আমার সন্দেহ!
রণতরীর দর্শন
কারো জন্য অপেক্ষা করার সময়- সময় ও স্রোতের নেই। থেমে নেই মহাকালের অংশ রণতরীর জীবনও। রণতরীর মাথায় একেক সময় একেক ভূত চাপে। এবার সাংবাদিকতার ভূত চেপেছে রণতরীর মগজে। এই সময়ে রণতরী টুকটাক সাংবাদিকতার চেষ্টা করায় সংবাদ ও সংবাদপত্রের ভূতটা মনে হয় এবার ধরাশায়ী করে ফেলেছে। সেই কারণে তার আনাগোনা বেড়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচি ও নানাবিধ সামাজিক অনুষ্ঠানে। সাংস্কৃতিক পাড়ার চলাফেরা তার স্থিমিত হয়নি। বাংলাদেশের প্রচলিত রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল , বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ , বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী , জাতীয় পার্টি হলেও প্রথম তিনটি দলের কর্মসূচিতেই রণতরীর যাতায়াত বেশি। দেশের ফ্রিল্যান্স বুদ্ধিজীবী থেকে শুরু করে তথকথিত সকল বুদ্ধি-পরজীবীরা রাজনৈতিক ব্যক্তিদেরকে দেশ গড়ার অগ্রসৈনিক মনে করে। কিন্তু রণতরীর সেই রাজনৈতিক ব্যক্তিদের রাজনৈতিক শিষ্টাচার দেখা, নিজের মনের অজান্তেই তার হঠাৎ লাভ করা বেপারি মার্কা হাসিচলে আসে। সেই হাসিটা যে তিরস্কারের হাসি রণতরীর ব্যাখা করার প্রয়োজন মনে করে না। বিএনপি, আওয়ামীলীগ মানে হঠাৎ হঠাৎ কিছু নবাগত রাজনৈতিক নায়ক জন্ম দেয়া। নবাগত নায়কদের মতো আওয়ামীলীগের কিছু নেতা-মন্ত্রীদের বক্তব্য শুনলে যে কোন সুস্থ মানুষকে অসুস্থ করতে বেশি সময় লাগার কথা নয়। তাদের চেহারার সাথে মুখের কথার অদ্ভুত মিল। ইদানীং রণতরীর খুব ক্ষোভ আওয়ামীলীগ ও নবাগত নায়িকার চরিত্রের মতো কিছু দালাল মিডিয়ার উপর। যদিও সে জানে কিছু করার ক্ষমতা নেই। হরতাল শব্দটা আমাদের স্বনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীর কানে ইস্রারাফীলের শিঙ্গার ফু’র মতো লাগে। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হরতালবিরোধী বক্তব্য শুনে স্বয়ং শয়তান তার হাসি থামাতে পারে কিনা রণতরীর সন্দেহ হয়। ২০০৫ সালে এই বর্তমান সরকার ছিল বিরোধী দল। রণতরী তখন এইচএসসি পরীক্ষার্থী। এই আওয়ামীলীগ তখন লাগাতার হরতাল দিয়েছিল। হরতালের কারণে রণতরীর দু’টি পরীক্ষায় পিছিয়ে যায়। ভাগ্য আরও খারাপ যে, পিছিয়ে যাওয়া পরীক্ষা দু’টিতেই তুলনামূলক খারাপ ফলাফল করে রণতরী। তখন মাননীয় শেখ হাসিনার মগজ কোথাও বেড়াতে গিয়েছিল কিনা রণতরীর জানা নেই। রণতরীর চাপা ক্ষোভ সরকারের পা-চাটা কিছু মিডিয়ার প্রতিও কম নয়। তারা কখনো ব্যারিস্টার মওদূদকে বানিয়ে দেয় বিএনপির মহাসচিব, আবার কখনো ব্যারিস্টার রফিক উল হককে বানিয়ে দেয় বিএনপি সরকারের ভাবি রাষ্ট্রপ্রতি। রণতরী চিৎকার দিয়ে বলেও; হে সরকার! তোমার পেটোয়া বাহিনী, দালাল মিডিয়াকে একবার রাজপথে রেখে যাও, জনতার জোর কত বুঝতে পারবে। বাকশাল টিকে থাকতে পারেনি, তোমরাতো চুনোপুটি। আর দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বে বিশ্বাসী সকল মতকে রণতরী হুঁশিয়ার করে দেয়; এখন যার সুযোগ, তাকে তার সুযোগ গ্রহণ করতে দাও। কিন্তু মনে রেখো যখন তোমার সুযোগ আসবে- তখন সুযোগ কাজে লাগাতে যেন ভুল না হয়।
ও, হ্যাঁ ! রণতরী শিগগিরই নতুন জীবনে পা রাখছে। তার নতুন জীবন যেন বঙ্গোপসাগরের মতো হয়।