
ইউক্রেনে সেনা পাঠানোর পর রাশিয়ার ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্রসহ এর মিত্ররা। কিন্তু বিদ্যুৎ উৎপাদনে রুশ জ্বালানির ওপর ব্যাপক নির্ভরতা রয়েছে ইউরোপের। ফলে রাশিয়ার জ্বালানি খাতের ওপর তেমন কোনো নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়নি। এ নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অভ্যন্তরে মতবিরোধও রয়েছে।
পুতিন স্পষ্ট বার্তায় জানিয়েছেন, ‘জ্বালানি চাইলে আমাদের মুদ্রায় কিনুন’। তবে ইতোমধ্যে সই হয়ে যাওয়া যেসব চুক্তিতে ইউরোতে মূল্য পরিশোধের কথা বলা আছে সেসব চুক্তি বদলানোর ক্ষমতা এককভাবে রাশিয়ার রয়েছে কিনা তা এখন পর্যন্ত স্পষ্ট নয় বলে জানায় রয়টার্স।
ইউরোপের মোট জ্বালানি চাহিদার প্রায় ৪০ শতাংশের যোগান দেয় রাশিয়া। চলতি বছর ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) প্রতিদিন রাশিয়া থেকে ২০ থেকে ৮০ কোটি ডলারের গ্যাস আমদানি করেছে।
বুধবার রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, ‘রাশিয়া নিশ্চিতভাবে পরিমাণ এবং মূল্যের সঙ্গে সমন্বয় করে প্রাকৃতিক সরবরাহ অব্যাহত রাখবে। আগে শেষ হওয়া চুক্তি অনুযায়ী।’ ‘পরিবর্তন শুধু হবে মূল্য পরিশোধের মুদ্রায়, যা রুশ রুবলে পরিশোধ করতে হবে।’
যদিও, জার্মান অর্থমন্ত্রী রবার্ট হাবেক বলেছেন, পুতিনের দাবি চুক্তির লঙ্ঘন। রুশ জ্বালানির অন্য ক্রেতারাও একই মনোভাব প্রকাশ করেছেন।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে মার্চ, ২০২২ দুপুর ১:৫৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




