
নেট থেকে
ইউক্রেনে সামরিক দুই বাহিনীর গোলাগুলি এতেই বিশ্ব কত ধরণের পদক্ষেপ ও নিষেধাজ্ঞা হয় হুল্লোড় করে পৃথিবীকে নাড়িয়ে দিচ্ছে অপরদিকে - মিয়ানমারে মুসুলিম নিধন, ফিলিস্তিনে সামরিক বাহিনীর জনসাধারণের উপর গুলিবর্ষণ এগুলির বিষয়ে কারো কোনো মাথাব্যাথা নেই ,
যুদ্ধ কাকে বলে (!?)
১৯৭১ এ ২৫ মার্চ
[[কাপুরুষের মতো ‘অপারেশন সার্চলাইট’ নামে অত্যাধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে নিরস্ত্র মানুষের উপর (বাঙালিদের) মধ্য রাতে ঝাঁপিয়ে পরা , এবং ৬০০০০ সাধারণ মানুষকে হত্যা করা ও ইতিহাসের নৃশংসতম গণহত্যায় মেতে উঠে ছিল। (আজকের মোড়লরা তখন সামরিক বাহিনীর(হয়না) পক্ষে ছিল, আজ বিশ্ব তার স্বীকৃতি দেয় না )
তখন,পরের দিন ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ
প্রতিশোধ নিতে খালি হাতে (ছিনিয়ে নেয়া ভাঙা রাইফেল হাতে )মায়ের আঁচল ,বোনের ভালোবাসা ,স্ত্রীর স্নিগ্ধতা ছেড়ে অনিশ্চিত গন্তব্যে যখন বেরিয়ে পরে একটাই সংকল্প নিয়ে স্বাধীনতা চাই ,পেতে হবে ,আদায় করতে হবে ,
তাকেই যুদ্ধ বলে।
এই দিনে আত্মোৎসর্গকারীদের রক্ত বাঙালিদের অস্ত্র ধারণ করে স্বাধীনতা অর্জন না করা পর্যন্ত যুদ্ধ চালিয়ে যেতে অনুপ্রাণিত করেছিল।
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে সেনা অভিযানের শুরুতেই হানাদার বাহিনী বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে তাঁর ধানমন্ডির বাসভবন থেকে গ্রেপ্তার করে। এদিন মধ্যরাতে ট্যাংক নিয়ে ঢাকার পিলখানা, রাজারবাগ, নীলক্ষেত আক্রমণ করে, হায়েনাদের কাছ থেকে রক্ষা পাননি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হলের ছাত্রীরাও। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের নয়জন শিক্ষককে সেদিন নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করা হয়। জগন্নাথ হলে চলে নৃশংসতম হত্যাকাণ্ড।
৯মাসের যুদ্ধে ৩০ লক্ষ শহীদ ,২ লক্ষ বীরাঙ্গনা ত্যাগে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেমন্বর স্বাধীনতা দিয়ে যার সমাপ্তি হয় ,তাকে যুদ্ধ জয় বলে। ৯৬ হাজার হায়নাকে হত্যা না করে ,পাছায় লাঠি দিয়ে দেশ থেকে বার করে দেয়াকে স্বাধীনতার মহানুভবতা বলে।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে মার্চ, ২০২২ দুপুর ১:৫৮

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




