
আসল ঘটনা চেপে রাখা যায়না ,থলের বিড়াল বেরিয়ে পরে ....
যুদ্ধ হচ্ছে ইউক্রেন ও তার অভ্যান্তরের স্বাধীনতাকামী দুটি দেশ দোনেৎস্ক এবং লুগানস্কের মধ্যে এবং অস্বীকার করার উপায় নেই যে স্বাধীনতাকামীদের পক্ষে রাশিয়া অশ্র হাতে সম্মুখ সারিতে।
পশ্চিমাদের কাছে ঘটনাটি হলো ;-
রাশিয়ার আক্রমণে বিপর্যস্ত ইউক্রেনের বিভিন্ন এলাকার জনজীবন। আক্রান্ত শহরগুলোর সাধারণ বাসিন্দারাও রেহাই পাচ্ছে না। ইউক্রেনকে অস্র ও সামরিক সরঞ্জাম দিয়ে সহায়তার জন্য চাঁদা তোলা হচ্ছে। রাশিয়া গণহত্যা চালাচ্ছে ইত্যাদি ইত্যাদি।
এবার দেখি দুই ভারের আকস্মিক নিরাপদ ভ্রমণে কি প্রমান হলো। আমরা দেখেছি ,
যুদ্ধাবস্থার মধ্যেই কিয়েভ সফরে গেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।
আকস্মিক এই ভ্রমণে কিয়েভের রাস্তায় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সাথে ঘুরে বেরিয়েছেন বরিস জনসন। এসময় পথচারীদের সাথে কথাও বলেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।
এখানেই কি প্রমান হলো না যে -
রাশিয়া বলেছে যে তারা কিয়েভ আক্রমণ করবেনা এবং দুজনের ভ্রমণে কোথাও কোনো যুদ্ধের চিন্হ দেখা যায়নি
রাশিয়া বলেছে তারা নাগরিকদের উপর জুলুম করছেনা এবং পাবলিক প্লেস নিরাপদ। বোরিসের ট্রেনে ছোড়ে কিয়েভে আসা কি প্রমান করেন ,পাবলিক প্লেস,রেললাইন ইত্যাদিতে কোনো হামলা করেনি রাশিয়া ?
রাশিয়া বলেছে - প্রতিরোধ না পেলে তারা ইউক্রেনের সেনাদের আঘাত করবেনা। কিয়েভের সেনাদের ফুরফুরে মেজাজে কি প্রমান হয়না প্রতিরোধ না করলে তারা নিরাপদ ?
মূল কথা -মানবতা মানবতা খেলা একতরফা প্রচার করে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে বিশ্বকে। ইউক্রেনের উপর আক্রমণ হচ্ছে ,এটা যেমন সত্য ,ইউক্রেনীয়রা যে দোনেৎস্ক এবং লুগানস্কের বিরুদ্ধে গণহত্যা করেছে সেটাও সত্য। একপেশে নয় ,দুই ঘটনাকেই মেনে নিয়ে সমাধানে না আসলে সবার অবস্থায় করুন হবে।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১:২১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




