somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আজ ও আমরা পরাধীন কেন??? জিন্নাহ যতটা দায়ী,মহাত্মা তার চেয়ে কম না। পার্ট-১

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:২০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


ভারতবর্ষে ধর্মীয় উগ্রবাদী সৃষ্টি আজকের না।পাকিস্তান,হিন্দুস্তান এ দুটি দেশের জন্ম হয়েছিলো ধর্মের মানদণ্ডের ভিত্তিতে।আর এখান থেকে রসদ যোগান পেয়েছিল তৎকালীন ধর্মীয় উগ্রবাদীরা।আর এটাই চেয়েছিল তৎকালীন শাসক ইংরেজরা।
তাদের স্বার্থসিদ্ধি হয়েছে এবং হয়ে চলছে। Divide and rule. মানুষকে ধর্মীয় ভিত্তিতে সহজে যতটা আলাদা করা যায়, অন্য ভিত্তিতে অতটা সহজ নয়। আমি এটা পরবর্তী পর্বে আলোচনা করবো।
ঐ সময়ের বিজ্ঞ মুসলিম নেতা জিন্নাহ ক্ষমতা চেয়েছিল, পেয়েছিল বটে কিন্তু দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। জিন্নাহ চতুর ছিলেন কিন্তু ভাবতেই পারেনি সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসতে পারে।অন্ধকার নামবে।আর এ অন্ধকার অনেকটা দীর্ঘস্থায়ী।
ধর্মীয় বিভাজনের জন্য যদি শুধু জিন্নাহকে দায়ী করি তাহলে ইতিহাস অপূর্ন হবে।এর জন্য বেশি দায়ী ছিল মহাত্মা।কারন তিনি জাতীয়তাবাদের সুর তুলেছিলেন ঠিকই কিন্তু জোরালো ভাবে তুলে ধরেন নি। অর্থাৎ পরোক্ষভাবে জিন্নাহকে সমর্থন করেছিলেন।
সুতরাং আজকের ধর্মীয় বিভাজনের জন্য মহাত্মাই বেশি দায়ী।যদি কেউ ওজর আপত্তি তুলেন যে,কংগ্রেস মুসুলমানদের অবহেলিত ভাবতো;তাহলে আমি তাদেরকে বলবো,শুধু মুসলিমরা নয় তৎকালীন ভারতের নিম্নবর্ণের হিন্দুরাও মুসুলমানদের চেয়ে বেশি অবহেলিত ছিল।সুভাস চন্দ্র বোস এই বিভাজনের বিপক্ষে ছিলেন, সুতরাং জিন্নাহর উদ্দেশ্য ক্ষমতালাভ না হতো তবে তিনি সুভাসকে সমর্থন দিতে পারতেন।আর তিনি যদি অর্থনীতিকে বিভাজনের মানদণ্ড হিসাবে উপস্থাপন করতেন,তাহলে জিন্নাহ হতেন স্মরনীয় এবং বরণীয়।
উগ্রবাদীতা জন্মগত,কিন্তু যখন এটা জিন্নাহর সংস্পর্শ এবং মহাত্মার নিরবতা পেল তখন এটি ভয়ঙ্কর রূপ ধারন করল।আর এই অতিসংবেদনশীল ধর্ম চেতনাকে পুঁজি করেই পাকিস্তান ও হিন্দুস্তান এর জন্ম হল।শুধু দুই দেশের জন্ম অবধি থাকলে ও হতো, কিন্তু পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ পৃথক হওয়ার পর ও সেই ধারা পরিবর্তন হয়নি,পরিবর্তনের চেষ্টা ও কেউ করেনি বরং সস্তা জনপ্রিয়তা পাওয়ার জন্য এই চেতনাকে কাজে লাগিয়েছিল,যা এখনো অব্যাহতি রয়েছে এবং দিন দিন বেড়েই চলছে।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:২০
৭টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

লিখেছেন নতুন নকিব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৬

হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

শহীদ ওসমান বিন হাদি, ছবি অন্তর্জাল থেকে নেওয়া।

হ্যাঁ, সত্যিই, হাদির চিরবিদায় নিয়ে চলে যাওয়ার এই মুহূর্তটিতেই তার খুনি কিন্তু হেসে যাচ্ছে ভারতে। ক্রমাগত হাসি।... ...বাকিটুকু পড়ুন

'জুলাই যোদ্ধারা' কার বিপক্ষে যুদ্ধ করলো, হ্তাহতের পরিমাণ কত?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৫১



সর্বশেষ আমেরিকান ক্যু'কে অনেক ব্লগার "জুলাই বিপ্লব" ও তাতে যারা যুদ্ধ করেছে, তাদেরকে "জুলাই যোদ্ধা" ডাকছে; জুলাই যোদ্ধাদের প্রতিপক্ষ ছিলো পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি, ছাত্রলীগ; জুলাই বিপ্লবে টোটেল হতাহতের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?

লিখেছেন এ আর ১৫, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:০৩

হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?


হাদিকে মারল জামাত/শিবির, খুনি নাকি ছাত্রলীগের লুংগির নীচে থাকা শিবির ক্যাডার, ডাকাতি করছিল ছেড়ে আনলো জামাতি আইনজীবি , কয়েকদিন হাদির সাথে... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদির হত্যাকান্ড ও সরকারের পরবর্তি করণীয়!

লিখেছেন আহলান, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:৫১

হাদির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা। সে দেশকে ভালোবেসে, দেশের মানুষকে ইনসাফের জীবন এনে দিতে সংগ্রাম করেছে। তাকে বাঁচতে দিলো না খুনিরা। অনেক দিন ধরেই তাকে ফোনে জীবন নাশের হুমকি দিয়ে এসেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জঙ্গি শক্তির ছায়া, আগুন ও ব্লাসফেমি: হেরে যাচ্ছে বাংলাদেশ?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:৫২


ময়মনসিংহে হিন্দু সম্প্রদায়ের একজন মানুষকে ধর্মীয় কটূক্তির অভিযোগে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। মধ্যযুগীয় এই ঘটনা এই বার্তা দেয় যে, জঙ্গিরা মবতন্ত্রের মাধ্যমে ব্লাসফেমি ও শরিয়া কার্যকর করে ফেলেছে। এখন তারই... ...বাকিটুকু পড়ুন

×