স্বপ্নের শহর ঢাকা। বেশিরভাগ মানুষ মনে করে যদি কোন রকম ঢাকায় যাওয়া যায় তাহলে অল্প সময়ে অনেক টাকার মালিক বনা যাবে। পূরন করা যাবে দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন। তুলনামূলক ভালো জীবন-যাপন, শিক্ষা এবং চাকুরীর জন্য দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ ছুটে আসে রাজধানী ঢাকায়। শুরুতেই তাদের দরকার পড়ে একটি আশ্রয়। কেউ আত্মীয়ের বাসায় কারও আশ্রয় মেসে। কিছুদিন যাওয়ার পর ব্যাচেলররা মেসের খোজে বের হন। সমস্যার শুরু এখানেই। অনেক বাসার মালিক ব্যাচেলরদের ভাড়া দিতে চাইনা। তারা ব্যাচেলরদের ঝামেলা মনে করে। বাড়ির মালিকের কাছে বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দিতে হয় তাদের। যেমন- বিবাহিত নাকি অবিবাহিত, ছাত্র না পেশাজীবী, কোন পেশায় জড়িত ইত্যাদি প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়। অনেক খোঁজার পর বাসা পেয়ে গেলে শুরু হয় পরবর্তী সমস্যা। বাড়ির মালিক ব্যাচেলরদের বাড়ির উপর তলায় যেখানে গ্রীষ্মকালে অত্যধিক গরম অথবা নিচ তলায় যেখানে বর্ষাকালে স্যাঁতস্যাঁতে থাকে, গুটগুটে অন্ধকার ছাড়াও রয়েছে আলো-বাতাস শুণ্য। আর ব্যাচেলরদের ভাড়া দিতে হয় অনেক বেশি ফ্যামিলি বাসার তুলনায়। রয়েছে বাড়ির মালিকের কিছু শর্ত- কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপ ব্যাবহার করলে দিতে হবে অতিরিক্ত বিদ্যুত বিল। মাঝেমাঝে বাড়ির মালিকেরা ব্যাচেলর ফ্ল্যাট চার্জ করে নিজের প্রয়োজনে কোনরকম নোটিশ ছাড়া। যা ব্যাচেলরদের জন্য খুবই পীড়াদায়ক। বাড়িওয়ালারা মনে করে তারা সমাজের সম্মানিত লোক আর ব্যাচেলররা তাদের অধীনস্ত। সবকিছু যেন ব্যাচেলরদের মুখ বুঝে সহ্য করতে হবে। অন্যদিকে বাড়ির মালিক ব্যাচেলরদের দেয়না বাড়ি ভাড়ার বিল। যদি কেউ চায় তাহলে দেয়া হয় বাড়ি ছাড়ার হুমকি-ধামকি। আর কাজের বুয়ার সমস্যার কথা না হয় আরেকদিন বলবো...!!!
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৫:৩০