somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

একজন অভিভাবকের আকুতি- প্লিজ, সন্দ্বীপের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের রক্ষা করুন

১১ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

নিন্দুকেরা বলে, আগে পাস করা কঠিন ছিল আর এখন নাকি ফেল করা কঠিন। তবে নিন্দুকের কথা শতভাগ ভুল প্রমান করেছে সন্দ্বীপের শিক্ষার্থীরা। তারা দেখিয়ে দিয়েছে, আগে যেমন এখনও তেমন! সদ্য প্রকাশিত এসএসসি পরীক্ষায় তারা বরাবরের মতো এবারও ফলাফল বিপর্যয়ে বিপর্যস্ত।
তবে শিক্ষকদের কোচিং বাণিজ্যে কোনরকম বিপর্যয় ঘটেনি। প্রতি শিক্ষক স্কুলের নির্ধারিত বেতন ছাড়াও প্রায় ২০ হাজার টাকার বেশি আয় করছেন প্রতি মাসে। না, আমরা হিংসা করছিনা স্যার। আপনাদের হাসি খুশি বদনখানি দেখলে অভিভাবক হিসেবে আমাদের মনটা আনন্দে ভরে যায়। ভাবি, আমাদের সন্তানরাও পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করে আপনাদের মতো আমাদের মুখও উজ্জল করবে। আমরাও আপনাদের মতো করে হাসতে চাই। সুতরাং আপনাদের এই ইনকাম নিয়ে আমাদের কখনও খেদ নাই।
কিন্তু মনটা বিষাদে ভরে যায়, যখন দেখি আপনাদের ইনকাম যতটা দুরপাল্লার ক্ষেপনাস্ত্রের মতো উর্দ্ধমুখি অন্যদিকে আমাদের সন্তানদের পড়াশোনার মান ততটা নিম্নমুখি!
সকাল ৮.৩০ মিনিট থেকে ১০.৩০ মিনিট পর্যন্ত আপনারা কোচিং নিয়ে ব্যতিব্যস্ত থাকেন। তাও শুধু অংক আর ইংরেজি। বাকিগুলো গোল্লায় যাক। তাতে কার কী আসে যায়! তবুও মনকে প্রমোদ দিতে পারতাম যদি দেখতাম আমাদের সন্তানরা ঐ দুটি বিষয়ে আশানুরুপ রেজাল্ট করেছে। বরং এই দুটি বিষয়ে তারা যে ফলাফল করেছে তাতে নিজের ভাগ্যকে দোষ দেয়া ছাড়া আমাদের আর কীইবা করার আছে!
তো কোচিং শেষে আমাদের সম্মানিত স্যারেরা হয়ে যান বড্ড ক্লান্ত, পরিশ্রান্ত। একসময় চেয়ারে গা এলিয়ে ঘুমিয়ে হয়ে যান শান্ত। কোনরকম সময় অতিবাহিত করতে পারলেই যেন হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন। আর বর্ষায় ঠাডা, বৃষ্টি অথবা গ্রীষ্মে প্রখর রোদ কিংবা শীতের সময় একটু বেশি শীত তাদের জন্য যেন আশীর্বাদ হয়ে আসে! ‘ .... এই যা, আইজ্জা তোর গো ছুটি.... আকাশের অবস্থা বালা না....বাপরে বাপ, কী গরম হরছে... এ বছরেই মনে হ বেশি হিত হইরতেছে... ইত্যাদি...’ এধরনের ‘ভয়ঙ্কর অবস্থা’য় তারা শিক্ষার্থীদের নিয়ে ‘মহা চিন্তায়’ পড়ে যান। ‘শিক্ষার্থীদের কথা বিশেষ বিবেচনায় নিয়ে’ আমাদের মহানুভব শিক্ষকরা ৪টার স্থলে ২টায় স্কুল ছুটি দিয়ে দেন।
সাপ্তাহিক কিংবা মাসিক পরীক্ষা দুরে থাক বিজ্ঞানের শিক্ষক নাই বললেই চলে। যেকজন আছেন তারা বেশ খোশ মেজাজেই আছেন। উচ্চতর গণিত, কেমিস্ট্রি পড়ানো বাদ দিয়ে তারা সাধারণ গণিত নিয়ে পড়ে থাকেন।
ছাত্রীদের উপবৃত্তি দিচ্ছে সরকার। এই টাকার মুখ দেখার সৌভাগ্য কিংবা হিম্মত তাদের হয় না। কোচিং এর টাকা দিতেই যে গলদঘর্ম!
তবে এখন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও কোন অংশে কম যায় না। তারাও অগ্রজদের অনুসরন করছে। বলা যায়, কোচিংয়ের মহোৎসব চলছে সন্দ্বীপে।
তো, আসুন আমরা যদি ফলাফলের এই বিপর্যয় ঠেকাতে চাই তাহলে সব মহলের ( সংসদ সদস্য, উপজেলা চেয়ারম্যান, শিক্ষা অফিসার, অভিভাবক, শিক্ষক, স্কুল কমিটি) এখনই সচেতন হওয়ার সময়। আর যদি কেউ জেগে ঘুমের ভান করে শুয়ে থাকে, তাকে ঘুম থেকে তোলার সাধ্য কার....!?
আর নয় কালক্ষেপণ। আমাদের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের এই করুণ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য সকলের এগিয়ে আসা এখন সময়ের দাবি। বিশেষ করে শিক্ষা অফিসার মহোদয়ের প্রতিটি স্কুলে সরেজমিন পরিদর্শন একান্ত জরুরী হয়ে পড়েছে।




সর্বশেষ এডিট : ১১ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০১
৩টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্মৃতিপুড়া ঘরে

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৩০



বাড়ির সামনে লম্বা বাঁধ
তবু চোখের কান্না থামেনি
বালিশ ভেজা নীরব রাত;
ওরা বুঝতেই পারেনি-
মা গো তোমার কথা, মনে পরেছে
এই কাঠফাটা বৈশাখে।

দাবদাহে পুড়ে যাচ্ছে
মা গো এই সময়ের ঘরে
তালপাতার পাখাটাও আজ ভিন্নসুর
খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×