somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

ডেড ম্যান ওয়াকিং
আমার সম্পর্কে আমি আর কি বলবো! আমার পরিচয় দেওয়ার মত তেমন কিছু নেই। আসলে নিজের সম্পর্কে কিছু বলা/লিখা অনেক কঠিন একটা কাজ, আমি মনে করি যে, পৃথিবীতে কোন মানুষই তার নিজের সম্পর্কে ১০০% সঠিক তথ্য দিতে পারবে না।

আমরা কেউই মরার আগে মরতে চাই না।

২২ শে জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



পরম করুনাময় এবং অশেষ দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি।
কিছুটা কপি পেস্ট করে লেখাটি সম্পূর্ণ করেছি, ভুল হলে ক্ষমার চোখে দেখবেন।
সম্পূর্ণ লেখাটি মনযোগ দিয়ে পড়ার অনুরোধ রইলো।

সবাই আমরা স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি চাই। অবশ্য এ চাওয়ায় কার কী আসে যায়। মৃত্যুর মিছিল তো থামে না। মিডিয়ায় চোখ রাখলেই মৃত্যুর খবর। মায়ের আহাজারি, বোনের কান্না, পিতার বুক চাপড়ানি যেন আমাদের ভেতর কোনো প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে না। অনুভূতিগুলো একেবারে ভোতা হয়ে গেছে। যখন বড় রকমের কোনো দুর্ঘটনা ঘটে কিংবা কোনো সেলিব্রেটি শিকার হন অপঘাত বা দুর্ঘটনার, তখনই কেবল আমাদের থিতিয়ে পড়া অনুভূতিতে খানিকটা তরঙ্গ সৃষ্টি হয়। মিডিয়া কিছুদিন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করে, সচেতন নাগরিকদের মুখে কিছুদিন আলোচনা চলে, তারপর আরেকটি নতুন ঘটনার ভিড়ে সেটি আড়ালে চলে যায়। অথচ ক্ষতির শিকার কিংবা স্বজন হারানো পরিবারের লোকদের বেদনার ক্ষত সারে না। দোষীদের বিচার চাইতে চাইতে এক সময় তারাও ছেড়ে দেন ‘ওপরওয়ালার’ হাতে

মাঝেমধ্যেই মনে প্রশ্ন জাগে, যারা খাদ্যে বিষ মেশায় কিংবা জনস্বাস্থ্যকে হুমকির মুখে ফেলে দেয় তারা কি এ সমাজের বাইরের কেউ? তাদের কি শিশু-স্বজন নেই? এতসব কান্না আর বেদনার দৃশ্য কি তাদের এতটুকু স্পর্শ করে না? তারা কি একবারও ভেবে দেখে না,যে খাদ খুড়ছি আমি সাময়িক মুনাফার আশায়, তা হতে পারে আমার জন্যও সর্বনাশা কুয়ো। আমি যদি খাদ্যে ভেজাল দেই, তাহলে আমার অসুখে ওষুধ যে নকল হবে না তার কী গ্যারান্টি? আর যে ভদ্রলোকেরা সাধুবেশে অসাধু কাজ করেন, তারা কি একবার ভাবেন না, প্রান্তিক অশিক্ষিত লোকেরাও তার জন্য ফরমালিনযুক্ত খাবারের পসরা সাজিয়ে রেখেছে!

বলাবাহুল্য, রাষ্ট্র এর দায় এড়াতে পারে না। তবে এও সত্য, রাষ্ট্রকে দুষেই বা লাভ কতটুকু।যে সর্ষে দিয়ে ভূত তাড়ানোর তদবীর করা হয় তাতে তো ভূত না থাকতে হবে। ভেজালবিরোধী অভিযানের মানুষগুলোকে তো ভেজালমুক্ত হতে হবে। এ দেশে টাকা থাকলে কোন অপরাধটাই না আছে, যা করে পার পাওয়া যায় না? তবে এও ঠিক, রাষ্ট্র ও সরকার পুরো প্রতিকার করতে পারবে না, যদি আমরা শপথ করে বসে থাকি নিজেকে না বদলানোর? রাষ্ট্র আর সরকার তো আমরা বা আমাদের বাদ দিয়ে কিছু নয়। আইন দিয়ে সাধু বানানো যায় না, ভালো মানুষ বানাতে চাইলে দ্বারস্থ হতে হবে ধর্মীয় শিক্ষার। একমাত্র আল্লাহর ভয় তথা তাকওয়াই পারে সমাজের এ চিত্র বদলে দিতে। যেমন সমস্যা সমাধানের ইঙ্গিত ও উত্তরণের উপায় খুঁজে পাই আমরা আল্লাহর বাণীতে :

‘যে আল্লাহকে ভয় করে, তিনি তার জন্য উত্তরণের পথ তৈরী করে দেন।’ {সূরা আত-তালাক, আয়াত : ২}

পরের আয়াতে আল্লাহ বলেন,

‘যে আল্লাহকে ভয় করে, তিনি তার জন্য তার কাজকে সহজ করে দেন।’ {সূরা আত-তালাক, আয়াত : ৫}

তাই দেখা যায় সমাজের মুষ্টিমেয় ভালো মানুষ তারাই যারা শত প্রতিকূলতার মধ্যেও হৃদয়ে আল্লাহর ভয় ও ভালোবাসার অক্সিজেন চালু রেখে নিজেদের জীবিত রেখেছেন। যাদের জন্য আল্লাহ এখনো আলো, বাতাস, পানি ও প্রকৃতি টিকে রেখেছেন। যার ইঙ্গিত মেলে হাদীসে রাসূলে চোখ রাখলে। আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

‘এমন একটি ব্যক্তি অবশিষ্ট থাকতেও কিয়ামত সংঘটিত হবে না যে আল্লাহ আল্লাহ বলে।’ [মুসলিম : ৩৯৩]

সত্যিকার অর্থে বাঁচতে চাইলে উদ্যোগ নিতে হবে নিজেদেরই। আমাদের শপথ নিতে হবে নিজেকে বদলানোর। আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে কুরআনের দেখানো সফলতার পথ মাড়াতে হবে।

শুধু খাদ্যে নয়, সবার সোচ্চার হতে হবে সব ধরনের ভেজাল ও অসাধুতার বিরুদ্ধে। সামাজিকভাবে আমাদের সম্মিলিত উদ্যোগ নিতে হবে আরও সুসংগঠিত ও কার্যকর উপায়ে। সবখানে জোর আওয়াজ তুলতে হবে ভেজালের বিরুদ্ধে। শুভ কাজে সবাইকে মিলিতকণ্ঠে এগিয়ে আসতে হবে কুরআনের নির্দেশনা মাফিক।

সর্বোপরি একজন দায়িত্বশীল মুসলিম হিসেবে আমাদের কারও ভুলে গেলে চলবে না যে ইসলামের দৃষ্টিতে ভেজাল পণ্যের উৎপাদন, বিপণন ও সংরক্ষণ সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ। ভেজাল মিশিয়ে পণ্য বিক্রিলবদ্ধ উপার্জনঅবৈধ।


সবশেষে প্রার্থনা, রাব্বুল আলামীন আমাদেরকে সব ধরনের ভেজাল ও অসাধুতা থেকে মুক্ত রাখুন এবং সব অসাধু ও ভেজাল কারবারির কবল থেকে রক্ষা করুন।

আমীন।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৫
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা ও পদ্মশ্রী পুরস্কার

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৫৬



এ বছরের পদ্মশ্রী (ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মাননা) পদকে ভূষিত করা হয়েছে, বাংলাদেশের রবীন্দ্র সংগীত এর কিংবদন্তি শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যাকে।

আমরা গর্বিত বন্যাকে নিয়ে । ...বাকিটুকু পড়ুন

কষ্ট থেকে আত্মরক্ষা করতে চাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৯



দেহটা মনের সাথে দৌড়ে পারে না
মন উড়ে চলে যায় বহু দূর স্থানে
ক্লান্ত দেহ পড়ে থাকে বিশ্রামে
একরাশ হতাশায় মন দেহে ফিরে।

সময়ের চাকা ঘুরতে থাকে অবিরত
কি অর্জন হলো হিসাব... ...বাকিটুকু পড়ুন

রম্য : মদ্যপান !

লিখেছেন গেছো দাদা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৩

প্রখ্যাত শায়র মীর্জা গালিব একদিন তাঁর বোতল নিয়ে মসজিদে বসে মদ্যপান করছিলেন। বেশ মৌতাতে রয়েছেন তিনি। এদিকে মুসল্লিদের নজরে পড়েছে এই ঘটনা। তখন মুসল্লীরা রে রে করে এসে তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

= নিরস জীবনের প্রতিচ্ছবি=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৪১



এখন সময় নেই আর ভালোবাসার
ব্যস্ততার ঘাড়ে পা ঝুলিয়ে নিথর বসেছি,
চাইলেও ফেরত আসা যাবে না এখানে
সময় অল্প, গুছাতে হবে জমে যাওয়া কাজ।

বাতাসে সময় কুঁড়িয়েছি মুঠো ভরে
অবসরের বুকে শুয়ে বসে... ...বাকিটুকু পড়ুন

Instrumentation & Control (INC) সাবজেক্ট বাংলাদেশে নেই

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৫




শিক্ষা ব্যবস্থার মান যে বাংলাদেশে এক্কেবারেই খারাপ তা বলার কোনো সুযোগ নেই। সারাদিন শিক্ষার মান নিয়ে চেঁচামেচি করলেও বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরাই বিশ্বের অনেক উন্নত দেশে সার্ভিস দিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×