আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা,
বর্তমান সময়ে কেউই ভালো থাকার কথা না, তারপরেও জিজ্ঞেস করছি - কেমন আছেন আপনারা? আমি আশা রাখি আলহামদুলিল্লাহ আপনারা সবাই আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন। যাইহোক আমি আমার লেখার মূল বিষয়ে চলে যাই।
আমাদের সমাজে প্রায়ই একটি বাক্য বলতে শুনা যায়, বা অনেক সাংবাদিক ভাইয়েরা জেনে অথবা না জেনে হয়তো এই বাক্যটি ব্যবহার করে থাকেন। বাক্যটি হলো - মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়া (নাউযুবিল্লাহ)
অসুস্থ ব্যক্তিরা যখন অনেকদিন ভীষণ অসুস্থ থেকে একসময় মারা যায়। তখন তাদের আত্বীয় স্বজনরা বলতে থাকে অমুক ব্যক্তি অনেকদিন পর্যন্ত মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে মারা গেছে। নাউযুবিল্লাহ
আবার অনেকে সড়ক দূর্ঘটনায় মারাত্মক আহত হয়ে, আগুনে পুড়ে, গাছ থেকে পড়ে অথবা যেকোন কঠিন অসুস্থতার দরূণ হাসপাতালের বেডে পড়ে যখন কাতরাতে থাকেন, তখন রোগীর স্বজনদের কে বলতে শোনা যায় যে, তিনি অনেকদিন যাবত হাসপাতালের বেডে থেকে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে যাচ্ছেন আসলে এই কথাটি সম্পূর্ণই ভূল।
এভাবে বলাটা আদৌ শুদ্ধ নয়। কেননা পাঞ্জা লড়ার বিষয়টি সাধারণত সমশক্তি সম্পন্নদের মাঝে হয়ে থাকে, যেখানে হার-জিত তথা জয় বা পরাজয় উভয়ের সম্ভাবনা থাকে।
কিন্তু মৃত্যুর ব্যাপারটি তদ্রুপ নয়। মৃত্যু সাথে একজন অতিশয় দুর্বল মানুষের পাঞ্জা লড়ার বিষয়টি অমূলক কোনো মুসলমান উনাদের জন্য এ ধরনের বিশ্বাস রাখা উচিত নয়। অসাবধানতার কারণে এ ধরনের কথা মুখে আসলেও তা পরিহার করা জরুরী।
আমাদের সবার মনে রাখা উচিত - মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ার মত শক্তি মানুষের নেই। একটু মাথা কাটিয়ে দেখুন - যার হায়াত শেষ হয়ে গেছে, তারপরও মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে তাদের কেউ কি জীবিত থাকতে পেরেছেন??? এমন কোন রেকর্ড আছে?? না নাই। মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ার ক্ষমতা কোন সুস্থ সবল মানুষের নেই। নেই কোন বিশাল দেহি চতুষ্পদ প্রানীর ও। মৃত্যুর সময় উপস্থিত হওয়া মাত্রই সকল প্রানীকূল কেই পৃথিবী ছেড়ে বিদায় নিতে হয়।
সম্মানিত পাঠক আমার লেখায় কোন প্রকার ভুল থাকলে ক্ষমা আমাকে ক্ষমা করে দিবেন।
আমি আশা করি আপনারা আমার লিখাটি পড়ে বুঝতে পেরেছেন আমি কি বুঝাতে চেয়েছি। তাই এমন কথা বলা এবং এমন উদ্ভট কথা বিশ্বাস করা থেকে নিজেকে দুরে রাখুন। কেননা এসব ফালতু বিশ্বাস ঈমানের জন্য অনেক ক্ষতিকারক
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা জুলাই, ২০২০ রাত ১২:৫৭