আমার ব্লগ পরার অনুপ্রেরণা তুমি। আর তুমি আমাকে সবসময় ব্লগে লিখতে বলতে,কিন্তু আমি এতদিন সাহস পাইনি। কিন্তু এবার তোমাকে কিছু একটা স্পেশাল উপহার দিতে চাইছিলাম। আর তাই আমার ব্লগের প্রথম লিখা(এবং শেষ ও হতে পারে) তোমাকে নিয়ে এবং অবশ্যই তোমাকে উৎসর্গ করে। আর জেনে রেখো আমার এই লিখার প্রতিটি শব্দ আমার সমুদ্রকে চিৎকার করে বলছে তার কবিতার ভালবাসার কথা।
লিখব চিন্তা করার পর থেকেই ভাবছিলাম কি নিয়ে লিখা যায়,কিন্তু ভেবে কোন কূলকিনারা করতে পারছিলাম না। তাই শেষে হাল ছেড়ে দিয়ে ভাবলাম আমাদের পুরনো অথচ এখন ও রঙিন সময় গুলো নিয়ে লিখি। আমার জীবনে ঘটে যাওয়া দিনগুলোর মাঝে সেই দিন হয়ত কখনই হারিয়ে যাবেনা। ভাবলে এখনও আমি অনুভব করতে পারি কিভাবে আমি প্রতিদিন একটু একটু করে আমার সমুদ্রের মাঝে তলিয়ে যাচ্ছিলাম এবং একটা সময় পর আমি পুরোই ডুবে গেলাম।
আমার এখনও মনে পরে আমি যেদিন তোমাকে প্রথম দেখেছিলাম,তখন ও জানতাম না যে তুমিই সে যার জন্য অপেক্ষা করছিলাম। তুমি আমাকে বুঝতে দিলেনা,কিছু না বলেই সামনে দিয়ে চলে গেলে আমাকে পরীক্ষা করার জন্য। কিন্তু কোন এক অদ্ভুত কারণে মন বলছিল যে আমি তোমার প্রতীক্ষাতেই ছিলাম।তাই তো সাথে সাথেই ফোন করলাম এবং আমার মন সেদিন ভুল বলেনি।
আমরা কতটা সময় কোন বিষয় ছাড়াই গল্প করেছি কিন্তু এর মাঝেই জেনে নিয়েছিলাম যে এই সেই মানুষ যার সাথে আমার বাকি জীবনটা পার করে দিতে পারি। মনে আছে, একবার তোমার রেজাল্ট খুব ভাল হোল কিন্তু আমারটা খারাপ। আমি খুব কাঁদছিলাম,তুমি সেদিন কত চেষ্টা করেছিলে আমার মন ভাল করতে(সফল ও হয়েছিলে), সেদিন ই বুঝেছিলাম এর কাঁধেই মাথা রেখে আমি আমার কষ্টের দিনগুলো পার করে দিতে পারব। আর একদিন আমরা একসাথে চা খাচ্ছিলাম আর হঠাৎ তুমি বললে “আপনি খুব সুন্দর করে চা খান”। খুবই ছোট একটা কথা কিন্তু গভীরতা অনেক, সেদিন মনে হয়েছিল আমার এত ছোট বিষয় গুলো ও তুমি খেয়াল করো!!!!!!!!
তুমি জীবনে না এলে যেন ভালবাসা কি তাই বুঝতে পারতাম না। হয়ত কার ও জন্য শত শত চিঠি লেখা হতোনা, জীবনে হয়ত অনেক সুন্দর সুন্দর বই পড়া হতনা, প্রচণ্ড বৃষ্টিতে হাত ধরে বই খাতা সব ভিজিয়ে রাস্তায় হাঁটা হতোনা। হয়ত কোন এক ঝড়ের রাত শেষে ভোরবেলায় গ্লাডিওলা ফুল হাতে কোন প্রেমিক কে আমার বারান্দায় দাড়িয়ে দেখতে পেতাম না। আর এইসব এত ভালবাসা-বাসির মাঝে কখন যে আমরা একে অপরকে বুঝে দুজন দুজনার মত হয়ে গেলাম টের ই পেলাম না। তবে ঝগড়া যে আমাদের হয়নি সেটা বললেও মিথ্যা বলা হবে, কিন্তু ভাল টুকুই বেশি। এটুকু বলা, লিখাটাকে বাড়াবাড়ির হাত থেকে বাঁচানোর জন্য।
লিখাটা আর বাড়াবো না কারন আমাদের কথা লিখতে গেলে আর ফুরোবে না। তাই এখানেই ইতি টানছি।জানিনা আমার ভালবাসা আমি তোমাকে প্রকাশ করতে পেরেছি কিনা, তবে একটা কথা দিয়ে শেষ করব, তুমি আমার জীবনটা পূর্ণ করেছ। আর তোমাকে ভালবাসি যতটা তুমি কল্পনা করতে পারো তার চাইতেও বেশি।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


