somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অয়োময় – হুমায়ূন আহমেদ (কাহিনী সংক্ষেপ)

২৪ শে জুন, ২০২০ রাত ১:১৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
বইয়ের নাম : অয়োময়
লেখক : হুমায়ূন আহমেদ



পাঠকদের মনে রাখতে হবে আমার লেখা অন্যসব কাহিনী সংক্ষেপের মতো এই কাহিনী সংক্ষেপটিও স্পয়লার দোষে দুষ্ট। এই কাহিনী সংক্ষেপে সম্পূর্ণ উপন্যাসের মূল কাহিনীর ধারাবাহিক বর্ননা করা হয়েছে। প্রায় প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাই এখানে উল্লেখ আছে। যেহেতু আমার কাহিনী সংক্ষেপ স্পয়লার দোষে দুষ্ট হয়, তাই আমি সবসময় অনেক দিনের পুরনো বইয়ের কাহিনী সংক্ষেপ লিখি।
==========================================================================

অয়োময় বইটি প্রকাশ করা হয়েছে হুমায়ূন আহমেদের সাতটি ছোট গল্পের সংকলন হিসেবে। যে সাতটি ছোট গল্প আছে তা হচ্ছে-

১। অয়োময়
বদরুল আলম সাহেব তার গ্রামের বাড়ির বাংলাঘরে ইউনুস নামের এক অসুস্থ লোককে থাকতে দেন। ডাক্তার বলেছে ইউনুসের যে পচন রোগ তাতে সে দুই দিনের মধ্যে মারা যাবে। কিন্তু ১৩/১৪ দিনেও ইউনুস মারা যায় না। মাওলানা দিয়ে তওবা পড়ানো হয়, কিন্তু ইউনুস ঠিকমত তওবা পড়ে না, তার আরো বেঁচে থাকার ইচ্ছে। শেষে বদরুল আলমকে ইউনুস বলে সে মরতে চায় না। বদরুল আলম ইউনুসকে ময়মনসিংহ নিয়ে যান চিকিৎসার জন্য।


২। খাদক
মতি মিয়া নামের এক খাদক লোকে গল্প, সে আস্ত এক গরুর সমস্ত মাংস খেয়ে ফেলে।


৩। অচিন বৃক্ষ
লেখক গহিন গ্রামে যান অলস সময় কাটাতে, কিন্তু গ্রামের লোকের জোরাজুরিতে এক দুর্গম পাড়া গায়ে যেতে হয় একটি অচিনবৃক্ষ দেখতে। হাজার বছর আগে নাকি এক ডাইনি এই গাছে চড়ে যাচ্ছিলো। এখানে এসে তার পিপাসা পেলে গ্রামের মিঠাপানি পান করে সন্তুষ্ট হয়ে এই গাছটি দিয়ে যান। গাছের ফুল অনেক বছর পরে ফুটবে বলে যায় ডাইনি। সেই ফুল সর্ব রোগের ঔষধ। গ্রামের হেড মাস্টার সাহেব অপেক্ষা করে আছেন সেই ফুলের জন্য। কারণ কার কিশোরী স্ত্রী মৃত্যুর সাথে লড়ছে।


৪। পিঁপড়া
মকবুল নামে এক রোগী এসেছে ঢাকার বড় ডাক্তারের কাছে। তার সমস্যা হচ্ছে তাকে পিঁপড়ায় কামরায়। সে যেখানেই যান পিঁপড়া তার পিছু পিছু যায়। এমনকি নদীর মাঝ খানে নৌকাতেও তাকে রেহায় দেয় না।


৫। অপেক্ষা
চেয়ারম্যান সাহেবের বাড়িতে সেই ছোট বেলা থেকে কাজ করে কেরামত। এখন তার বয়স ৩৫। সে এসে চেয়ারম্যান সাহেবকে বলে বিয়ে করতে চায়। চেয়ারম্যান সাহেব বলেন তিনি নিজে ওর ঘর তুলে দিয়ে বিয়ে দিবেন। কিন্তু এর মধ্যে চেয়ারম্যানের দিন খারাপ হয়ে যায়। কেরামত ঘরও হয় না আর বিয়েও হয় না। কেরামত অপেক্ষা করতে থাকে।


৬। কৃষ্ণপক্ষ
হানিফ এসেছে রইসুদ্দিন নামের এক লোককে খুন করতে। খুনটা করতে পারলে ৫ হাজার টাকা পাবে। কৃষ্ণপক্ষের রাতে সে অপেক্ষা করে আছে রইসউদ্দিনের আসার।


৭। অংক শ্লোক
গ্রামের এক পাগলা মাস্টার ছাত্রদের অংক ভীতি দূর করার জন্য অংক শ্লোক লিখছেন, সেটি বই আকারে ছাপাতে চান। তার একমাত্র মৃত কন্যার ছিল প্রচণ্ড অংক ভীতি।


পর্যবেক্ষণ: বইটিতে একটি গল্পে বলা হয়েছে রোজার মাসের মাঝামাঝি এক অমাবস্যার রাতের কথা। কিন্তু রোজার মাস চলাকালীন মাসের মাঝামাঝিতে কখনোই অমাবস্যা হতে পারে না।


=========================
আমার লেখা অন্যান্য কাহিনী সংক্ষেপ সমূহ:
হুমায়ূন আহমেদ
১৯৭১
অচিনপুর
আজ আমি কোথাও যাব না
আজ চিত্রার বিয়ে
আজ দুপুরে তোমার নিমন্ত্রণ
গৌরীপুর জংশন
হরতন ইশকাপন

সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
ভয়ংকর সুন্দর
মিশর রহস্য
খালি জাহাজের রহস্য
ভূপাল রহস্য
পাহাড় চূড়ায় আতঙ্ক
সবুজ দ্বীপের রাজা

অন্যান্য
তিতাস একটি নদীর নাম - অদ্বৈত মল্লবর্মণ

অনুবাদ
ফার ফ্রম দ্য ম্যাডিং ক্রাউড - টমাজ হার্ডি
কালো বিড়াল - খসরু চৌধুরী
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে জুন, ২০২০ রাত ১:২২
৩টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মানুষের জন্য নিয়ম নয়, নিয়মের জন্য মানুষ?

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৫:৪৭



কুমিল্লা থেকে বাসযোগে (রূপান্তর পরিবহণ) ঢাকায় আসছিলাম। সাইনবোর্ড এলাকায় আসার পর ট্রাফিক পুলিশ গাড়ি আটকালেন। ঘটনা কী জানতে চাইলে বললেন, আপনাদের অন্য গাড়িতে তুলে দেওয়া হবে। আপনারা নামুন।

এটা তো... ...বাকিটুকু পড়ুন

একটা গাছ কাঠ হলো, কার কী তাতে আসে গেলো!

লিখেছেন নয়ন বড়ুয়া, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:০৬



ছবিঃ একটি ফেসবুক পেইজ থেকে

একটা গাছ আমাকে যতটা আগলে রাখতে চাই, ভালো রাখতে চাই, আমি ততটা সেই গাছের জন্য কিছুই করতে পারিনা...
তাকে কেউ হত্যা করতে চাইলে বাঁধাও দিতে পারিনা...
অথচ... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। কালবৈশাখী

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:২৪



গত পরশু এমনটি ঘটেছিল , আজও ঘটলো । ৩৮ / ৩৯ সে, গরমে পুড়ে বিকেলে হটাৎ কালবৈশাখী রুদ্র বেশে হানা দিল । খুশি হলাম বেদম । রূপনগর... ...বাকিটুকু পড়ুন

একজন খাঁটি ব্যবসায়ী ও তার গ্রাহক ভিক্ষুকের গল্প!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০৪


ভারতের রাজস্থানী ও মাড়ওয়ার সম্প্রদায়ের লোকজনকে মূলত মাড়ওয়ারি বলে আমরা জানি। এরা মূলত ভারতবর্ষের সবচাইতে সফল ব্যবসায়িক সম্প্রদায়- মাড়ওয়ারি ব্যবসায়ীরা ঐতিহাসিকভাবে অভ্যাসগতভাবে পরিযায়ী। বাংলাদেশ-ভারত নেপাল পাকিস্তান থেকে শুরু করে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×