somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অচিনপুর – হুমায়ূন আহমেদ (কাহিনী সংক্ষেপ)

১৮ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৪:২৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
বইয়ের নাম : অচিনপুর
লেখক : হুমায়ূন আহমেদ
লেখার ধরন : উপন্যাস
প্রকাশনা : অন্যপ্রকাশ
পৃষ্ঠা সংখ্যা : ৪৭



পাঠকদের মনে রাখতে হবে আমার লেখা অন্যসব কাহিনী সংক্ষেপের মতো এই কাহিনী সংক্ষেপটিও স্পয়লার দোষে দুষ্ট। এই কাহিনী সংক্ষেপে সম্পূর্ণ উপন্যাসের মূল কাহিনীর ধারাবাহিক বর্ননা করা হয়েছে। প্রায় প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাই এখানে উল্লেখ আছে। যেহেতু আমার কাহিনী সংক্ষেপ স্পয়লার দোষে দুষ্ট হয়, তাই আমি সবসময় অনেক দিনের পুরনো বইয়ের কাহিনী সংক্ষেপ লিখি।
==========================================


অচিনপুর - হুমায়ূন আহমেদ (কাহিনী সংক্ষেপ)

রঞ্জু আর লিলি দুই ভাই বোন থাকে নানা বাড়িতে, বিশাল বনেদি বাড়ি তাদের নানার। অনেক ধুম ধাম করে বিয়ে হয় তাদের মায়ের। বিয়ের কয়েক বছর পরে ৪ বছরের লিলি আর কোলের শিশু রঞ্জুকে নিয়ে ফিরে আসে সে বাবার বাড়িতে। তখন থকেই রঞ্জুরা আছে নানা বাড়িতে। লিলির বয়স বাড়লে একসময় বিয়ে হয়ে যায়।

তখন থেকে রঞ্জু আর তার ছোট মামা নবু থাকে একই ঘরে। পাশের ঘরে থাকে বড় মামা বাদশা ও তার স্ত্রী লাল মামী। বড় মামা আর মামীর মাঝে সম্পর্কটা একটু কেমন ছাড়া ছাড়া, বিয়ে হয়েছে অনেক দিন কিন্তু কোন ছেলেপুলে হয়নি।

চিররুগ্ন নবু মামা শরীর ভালো করার জন্য বাইরের শহরে স্কুলে গেল পড়তে। বেরাতে এসে নবু মামা রঞ্জুকে জানালো একবার তার লিলির সাথে দেখা হয়েছিলো। লিলিদের আর্থিক অবস্থা খুব খারাপ হয়ে গেছে। রঞ্জুর সাথে লিলির আর যোগাযোগ হয় না। এদিকে লিলির তার স্বামীর সাথে সম্পর্কটা আরও বেশী এলোমেলো হতে থাকে।

নবু মামা লাল মামীর প্রতি অদ্ভুত এক আকর্ষণ অনুভব করে। শহর থেকে যখনই গ্রামে বেড়াতে আসে তখন এমন কিছু করে যাতে লাল মামী খুশী হয়। মেট্রিক পরীক্ষার পরে নবু মামা বাড়িতে গ্রামোফোন এনে চমকে দেয়ে লাল মামীকে, সারা রাত গান শোনা চলে।

নবুকে বিয়ে দেয়ার জন্য মেয়ে দেখা শুরু করে সবাই, পছন্দও হয়ে যায়। অন্য দিকে লাল মামী রাগারাগি করে চলে যায় তার বাপের বাড়িতে।

রঞ্জুর বড় নানী মারা যাওয়ার আগে তার বিশাল সম্পত্তি লিখে দিয়ে যান লিলি আর রঞ্জুকে।
নবু প্রেসিডেন্সি কলেজে চলে যায় পড়ার কথা বলে কিন্তু বড় মামা যখন লাল মামীকে ফিরিয়ে আনতে যায় তখন জানতে পারে শ্বশুর বাড়ি যাচ্ছে বলে লাল বৌ আরও অনেক দিন আগেই নবুর সাথে চলে গেছে। এরপর থেকে বাদশার মাথা কিছুটা এলোমেলো হয়ে যায়।

রঞ্জুর নানাজান সব সম্পত্তি বাদশার নামে লিখে দিয়ে হজে চলে যায়। তার হজে যাওয়ার পরে তাদের অনেকগুলি সম্পত্তি বেহাত হয়ে যায়, অনেক সম্পত্তি পানির দামে বিক্রয় করে দেয় বাদশা মসজিদ তৈরি করার জন্য।

অনেক বছর পরে রঞ্জু তার বোনের কাছ থেকে চিঠি পায় চলে যাওয়ার জন্য, কিন্তু রঞ্জুর যাওয়া হয় না।
একদিন লাল মামী তার কোলে একটা শিশুকে নিয়ে এসে দাঁড়ায় তার শ্বশুর বাড়িতে। আধ পাগল বাদশা ছাড়া আর কেউ তাতে খুশী হতে পারে না। রঞ্জু বুঝতে পারে এবার তার এ বাড়ি ছেড়ে যাওয়ার সময় হয়েছে।
এভাবেই শেষ হয় অচিনপুরের গল্প।

=========================
আমার লেখা অন্যান্য কাহিনী সংক্ষেপ সমূহ:
হুমায়ূন আহমেদ
১৯৭১
আজ আমি কোথাও যাব না
আজ চিত্রার বিয়ে
আজ দুপুরে তোমার নিমন্ত্রণ
গৌরীপুর জংশন
হরতন ইশকাপন

সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
ভয়ংকর সুন্দর
মিশর রহস্য
খালি জাহাজের রহস্য
ভূপাল রহস্য
পাহাড় চূড়ায় আতঙ্ক
সবুজ দ্বীপের রাজা

অন্যান্য
তিতাস একটি নদীর নাম - অদ্বৈত মল্লবর্মণ

অনুবাদ
ফার ফ্রম দ্য ম্যাডিং ক্রাউড - টমাজ হার্ডি
কালো বিড়াল - খসরু চৌধুরী


=========================
আমার লেখা অন্যান্য এপিগ্রাম সমূহ:
হুমায়ূন আহমেদ
১৯৭১
অয়োময়
অদ্ভুত সব গল্প
আজ দুপুরে তোমার নিমন্ত্রণ
হিমু এবং একটি রাশিয়ান পরী

সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
ভয়ংকর সুন্দর
পাহাড় চূড়ায় আতঙ্ক

অনুবাদ
হেনরি রাইডার হ্যাগার্ড
ক্লিওপেট্রা
কালো বিড়াল - খসরু চৌধুরী

সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৪:৩৮
৩টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জেনে নিন আপনি স্বাভাবিক মানুষ নাকি সাইকো?

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:১৮


আপনার কি কারো ভালো সহ্য হয়না? আপনার পোস্ট কেউ পড়েনা কিন্তু আরিফ আর হুসাইন এর পোস্ট সবাই পড়ে তাই বলে আরিফ ভাইকে হিংসা হয়?কেউ একজন মানুষকে হাসাতে পারে, মানুষ তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×