১। বাতাসীর ভয়!
হাট থেকে বাড়ি ফিরছিল বটুক মাঝির মেয়ে বাতাসী। হঠাৎ দেখল তাদের পাশের বাড়ির ছেলে নিমাইও হাট থেকে ফিরে যাচ্ছে। বাতাসী — নিমাইদা, তােমার সঙ্গে বাড়ি ফিরি। আপত্তি নেই তো?
নিমাই — আপত্তি কি, চল।
সন্ধ্যা হয়ে গেছে। হাঁটতে হাঁটতে একটা নির্জন জঙ্গলে এসে বাতাসী বলল
বাতাসী — এখানে তােমাকে আমার ভয় হচ্ছে। তুমি যদি আমাকে একা পেয়ে জোড় করে কিছু করে বসে!
নিমাই — কি বােকার মতো কথা বলছিস তুই! দেখছিস না আমার দু্ইহাতই বন্ধ। এক হাতে শাবল, মুরগী, বালতি, অন্য হাতে ছাগলটা। কি করে কিছু করা সম্ভব?
বাতাসী — বা রে, আমি যেন ছেলেদের চিনি না। তুমি বুঝি ইচ্ছে করলে শাবলটা মাটিতে গেঁথে ছাগলটা তার সঙ্গে বাঁধতে পারো না, আর বালতিটা উল্টো করে তার নিচে মুরগীটাকে রাখতে পারো না? তােমাদের চালাকি আমি জানি না ভাবছো?
২। আমার কাছে যন্ত্র আছে।
রন্টির বাড়িতে সার্চ করে পুলিশ জাল নোট ছাপার মেশিন পেয়ে গেল । তাকে গ্রেফতার করতে গেলে রন্টি পুলিশকে বলল-
রন্টি - আমাকে গ্রেফতার করতে চান কেন? আমার কাছে তো একটাও জাল টাকার নোট পাননি।
পুলিশ - কিন্তু জাল নোট ছাপার যন্ত্রপাতি তো পেয়েছি।
রন্টি - তাহলে একটি মেয়েকে রেপ করার দায়েও আমাকে গ্রেফতার করুন।
পুলিশ - আপনি কি কোন মেয়েকে রেপ করেছেন?
রন্টি - না করিনি, তবে রেপ করার যন্ত্র আমার কাছে আছে!
৩। নোংরা ছবি
ডাক্তার পােশেন্টকে বললেন, আমি ছবি একে দেখাবো, আপনি ছবি দেখে কি মনে হয় জানাবেন আমাকে।
ডাক্তার একটা চক্র আঁকে বললেন, এটা কি?
পেশেন্ট : ছিঃ ছিঃ একটা ছেলে ও একটা মেয়ে যাতা করছে।
ডাক্তার এইবার একটা চতুভূজ আঁকে বললেন, এটা কি?
পেশেন্ট : মেয়েটা ছেলেটাকে জড়িয়ে ধরে যা তা করছে।
ডাক্তার এবার একটা স্বস্তিকা চিহ্ন আঁকে বললেন, এটা কি?
পেশেন্ট : দুটো ছেলে ও একটা মেয়ে যা তা করছে।
ডাক্তার এবার গম্ভীর কণ্ঠে বললেন, আপনার উপযুক্ত চিকিৎসার দরকার। আপনার মন খুবই নােংরা।
পেশেন্ট : আমার মন নোংরা? আপনি নিজে নােংরা-নােংরা অসভ্য ছবি আঁকছেন আর বলছেন কিনা আমার মন নাের?
৪। গান
রন্টির স্ত্রী - আমি যখন গান গাইতে শুরু করি তুমি বারান্দায় ছুটে যাও কেন?
রন্টি - যাতে প্রতিবেশীরা ভুল করে না ভেবে বসে যে আমি তােমাকে পেদাচ্ছি আর তুমি চেঁচাছো, সেজন্যে।
৫। একবার
গিয়াস নতুন বিয়ে করে বৌকে নিয়ে টাঙ্গায় করে গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছিল। ঘােড়াটা চলতে চলতে একবার হোঁচট খেলো।
গিয়াস বলল — একবার।
খানিকবাদে ঘােড়া আবার হোঁচট খেলো।
গিয়াস বলল - দু’বার।
গ্রামের রাস্তা খারাপ থাকায় ঘােড়াটা আবার হোঁচট খেলো।
গিয়াস বলল - তিনবার।
তিনবার বলেই পকেট থেকে রিভলবার বার করে দুম করে গুলী করে ঘােড়াটাকে মেরে ফেললো। স্বামীর নৃশংসতা দেখে নতুন বৌ রেগে চেঁচিয়ে উঠল - মেরে ফেললে ঘােড়াটাকে? তুমি এত নিষ্ঠুর, এত অমানুষ, জানােয়ারের অধম তুমি, তুমি একটা পিশাচ।
গিয়াস শুধু চোখ ঘুড়িয়ে স্ত্রীর দিকে তাকিয়ে বলল - একবার।
সাথে সাথে সব ঠান্ডা।
জোগাড় করা অল্প একটু দুষ্টু চুটকি - ০১
জোগাড় করা অল্প একটু দুষ্টু চুটকি - ০২
জোগাড় করা অল্প একটু দুষ্টু চুটকি - ০৩
জোগাড় করা অল্প একটু দুষ্টু চুটকি - ০৪
সূত্র: শচীন ভৌমিক এর লেখা থেকে সংগৃহীত।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৪:২৫