১। ছাতাটা কিন্তু আমার।
রন্টি গেছিলো বান্দরবান বেড়াতে। হোটেলের রুম ছেড়ে দিয়ে বাস কাউন্টারে আসার পরে মনে পরলো সে তার ছাতাটা হােটেল রুমে ভুলে ফেলে এসেছেন। বাস ছাড়তে এখনো বেশ কিছুটা দেড়ি আছে বলে রন্টি তার হোটেলে ফিরে গেলো ছাতাটা আনতে। নিজের রুমের কাছে এসে রন্টি শুনতে পেলো রুমটিতে ইতিমধ্যে কোন নব-দম্পতি উঠে গেছে। ওদের কথাবার্তা শােনা যাচ্ছিল বাইরে থেকে।
স্বামীর কণ্ঠ : এই রেশমের মতাে চুলগুলো কার ?
স্ত্রীর গদগদ কণ্ঠ : তােমার।
তারপরই একটা চুম্বনের শব্দ এবং স্বামীর কণ্ঠ : এই সুন্দর চোখ দুটো কার ?
স্ত্রীর কণ্ঠ : তােমার।
আবার চুমুর শব্দ এবং স্বামীর কণ্ঠ : এই লাল টুকটুকে ঠোট দুটো কার ?
স্ত্রীর কণ্ঠ : তােমার।
আবার একটা চুমুর শব্দ এবং স্বামীর কণ্ঠ : এই মােমের মতাে গলাটা কার ?
স্ত্রীর কণ্ঠ : তােমার ।
আবার চুমু।
এবার বাইরে থেকে রন্টি চেঁচিয়ে বললো, আপনি যদি একটা ছাতা পান সেটা কিন্তু আমার ।
২। গাধা-মানবী
একজন মহিলার আঠারাে থেকে বিশ বছর লাগে একটি ছেলেকে মানুষ করে তুলতে।
আবার একটি মেয়ের মাত্র বিশ সেকেণ্ড লাগে সে ছেলেটাকেই গাধা বানিয়ে ফেলতে ।
৩। শেষ দিন
একটি বারে বসে রন্টি খুব বিষন্ন মনে মদ খাচ্ছিলেন।
একজন এসে বলল, আপনার বুঝি খুব মন খারাপ?
রন্টি : হ্যা। আমার স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া হয়েছে আর স্ত্রী বলেছেন ত্রিশদিন আমার সঙ্গে কোন কথা বলবেন না।
দ্বিতীয় ব্যক্তি : সেটা তাে ভালােই!!
রন্টি : জানি, আজ সেই ত্রিশ দিন শেষ হয়ে যাবে।
৪। বেডরুমে চলো
আমাদের রন্টি একটি বাড়িতে রং মিস্ত্রীর কাজ নিয়েছে।
ঘরে নতুন রঙ করা হচ্ছিল। রাতে স্বামী ভদ্রলােক অসাবধানে বেডরুমের দেয়ালে হাত লাগিয়ে ফেলেন, ফলে দেয়ালের কাচা রঙে দাগ লেগে গেল ।
পরদিন সকালে স্বামী অফিসে চলে গেছেন।
সকাল দশটা নাগাদ রন্টি এসেছে রঙের বাকি কাজ করতে। তাকে দেখেই ভদ্রলোকের স্ত্রী এসে বললেন-
ওহে রংওয়ালা তুমি প্রথমে আমার বেডরুমে চল, কাল রাতে আমার স্বামী কোথায় হাত লাগিয়েছিল সে জায়গাটা তােমাকে দেখাবাে।
ভদ্রমহিলার কথা শুনে রন্টি ভিমরি খেয়ে পরে গেলো।
৫। আমি জানি তুমি কি করেছ
রন্টির ছোট্টো মেয়েটি বুড়ো আঙুল মুখে দিয়ে চোষবার অভ্যসা ছিল।
একদিন রন্টির স্ত্রী ধমক লাগালেন,- খবরদার, আঙুল চুষবে না। আঙুল চুষলে কি হয় জানাে? পেটটা ফুলে একেবার জয়ঢ়াক হয়ে যায়।
ভয়ে রন্টির মেয়ে আঙুল চোষা বন্ধ করলাে।
কিছুদিন পরে রন্টির স্ত্রী তার মেয়েকে নিয়ে বাসে করে কোথাও যাচ্ছিলেন। সে বাসে একজন সন্তান সম্ভবা মহিলা উঠলেন। তাকে দেখেই রন্টির মেয়ে চেঁচিয়ে উঠলে বলতে শুরু করলো — আমি জানি তুমি কি করেছ। বলবাে মা? বলবাে কেন ওঁর পেটটা ফুলে গেছে।
বাসের সবার চোখ কপালে উঠে গেলো। আর রন্টির স্ত্রী ভিমরি খেয়ে পরে গেলো।
জোগাড় করা অল্প একটু দুষ্টু চুটকি - ০১
জোগাড় করা অল্প একটু দুষ্টু চুটকি - ০২
জোগাড় করা অল্প একটু দুষ্টু চুটকি - ০৩
জোগাড় করা অল্প একটু দুষ্টু চুটকি - ০৪
জোগাড় করা অল্প একটু দুষ্টু চুটকি - ০৫
সূত্র: শচীন ভৌমিক এর লেখা থেকে সংগৃহীত।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ৮:০৪