somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পাহাড়ি বিষকাটালি

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:১৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


বিষকাটালি অর্থ- যা বিষ বা আঘাত নষ্ট করে।

কয়েক বছর আগে বান্দরবানের পাহাড়ে বেড়াতে গিয়ে সেই চিম্বুক পাহাড়ে দেখতে পেলাম কিছু বিষকাটালি ফুল ফুটে আছে। গাছ দেখে সহজেই বুঝা যাচ্ছিলো এগুলি বিষকাটালি। তবে ঠিক সমতলের বিষকাটালি বলা যাবে না। ফুল আর গাছে বেশ কিছুটা পার্থক্য রয়েছে।

বিষকাটালি একটি বিরুৎ ঔষধি উদ্ভিদ। এই প্রজাতির অনেকগুলি উদ্ভিদ আমাদের দেশে দেখতে পাওয়া যায়। তাদের অনেকগুলির গাছ-পাতা ও ফুলে বেশ স্বাদৃশ্য রয়েছে।

বিষকাটালি নামে আমাদের দেশের বেশ কিছু গাছ পরিচিত। এ গাছগুলির কোন কোনটি একবর্ষজীবি আবার কোন কোনটি বহুবর্ষজীবি। এরা আকারে ছোট, এদের কাণ্ড নরম, সরল শাখাযুক্ত, অনেক শাখা-প্রশাখা বিশিষ্ট বিরুৎ উদ্ভিদ।



ডোবা বা জলাশয়ের ধারে, বাড়ির আশেপাশে, খাল বা নদীর আশেপাশে ভেজামাটিতে ঝোপের মতো জন্মে থাকে। একবার জন্মালে সহজে নির্মূল করা যায় না। এরা সকলেই সকলেই পার্সিকারিয়া (Persicaria) জেনাসের অনর্ভুক্ত। যেখানে জন্মে সেখানে খুব ঘন সন্নিবেশিতভাবে থাকে। বিষকাটালির পাতা একক, সম্পূর্ণ ও সুক্ষ্ণাগ্র। কান্ডের নিচের অংশ থেকে শিকড় বের হয়ে মাটির সাথে আকড়ে থাকে।



এদের অট্রিলিয়া, নিউজিল্যান্ড, ইউরোপ, এশিয়ার নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চল এবং উত্তর আমেরিকায় প্রচুর জন্মাতে দেখা যায়। তবে এর আদি বাসস্থান সম্ভবতো ভরতে।


বাংলা নাম : বিষকাটালি
Common name : Bearded Knotweed, water milkwort, Oriental Pepper, Prince's feather,Tall Persicaria
Scientific Name : Persicaria barbata বা Persicaria hydropiper

এরা প্রাকৃতিকভাবেই জন্মে থাকে। বিভিন্ন গাছে বিভিন্ন আকার ও রঙের ফুল ফোটে। নভেম্বর মাসে বীজ পরিপক্ক হয়ে মাটিতে ঝরে পরে। বীজের রং কালো। ঝরে পরা বীজের মাধ্যমেই পরিবর্তী সময়ে প্রকৃতিক ভাবেই বংশ বিস্তার হয়।



বিষকাটালির সম্পূর্ণ উদ্ভিদ, পাতা ও বীজ ঔষধী হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
বিষকাটালির পাতার রস রক্তপাত বন্ধ করে।
পাতার রস ১-২ চামচ খেলে রক্ত বমি ও আমাশয়ে উপকার পাওয়া যায়।
ফোঁড়া ফাটানোর জন্য এর ব্যবহার হয়ে থাকে।
পায়ের আঙ্গুলের চিপায় ঘা হলে এই গাছ বেটে লাগিয়ে দিলে অতি সহজেই আরোগ্য হয়।
গরুর শরীরে উকুন হলে শোয়ার জায়গায় বিষকাঁটালি বিছিয়ে দিলে উকুন দূরীভূত হয়।
তিন বছরের নীচের শিশুদের ও গর্ভবতী মায়েদের খাওয়া নিষেধ।

ছবি তোলার স্থান : চিম্বুক, বান্দরবান, বাংলাদেশ।
ছবি তোলার তারিখ : ২৭শে ফেব্রুয়ারি ২০২০ খ্রিষ্টাব্দ।
তথ্য সূত্র : বাংলাপিডিয়া, উইকিপিডিয়া, অন্তর্জাল।
ছবি ও বর্ণনা : নিজ।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:২০
৯টি মন্তব্য ৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(

লিখেছেন সোহানী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪



আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

×