somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

স্টুডেন্ট ভিসা : লন্ডন সপ্ন নয়....যেন দুঃসপ্ন

০৫ ই অক্টোবর, ২০০৯ দুপুর ১২:০৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ভিসা প্রাপ্তি তুলনামূলক সহজিকরন ও উন্নত দেশ হওয়ায় এখনকার ছাত্র -ছাত্রীদের প্রথম টার্গেটে পরিনত হয়েছে ইংলেন্ড। সবাই শুধু পড়া-শোনা করার জন্য যাচ্ছে তা নয়, উন্নত জীবন-জিবিকার মোহে অনেক মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তনরা ও পরবাসি জীবন বেছে নিচ্ছে। অপর্যাপ্ত/মিথ্যা তথ্য ও এক শ্রেণীর ভিসা কনসালটিং ফার্মের দৌড়াত্ব নবিন প্রণের রঙ্গিন সপ্লগুলোকে আজ দুঃসপ্নে পরিনত করেছে। যা নিয়ে নিত্ব-নতুন খবর বের হচ্ছে দেশী-বিদেশী প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায়।

http://www.youtube.com/watch?v=L2DuA0h80cE

মূলত নতুন ভিসা সিসটেম (পয়েন্ট বেজ সিসটেম) অনুযায়ি খুব সহজেই আপনি স্টুডেন্ট ভিসা পেতে পারেন। টায়ার-৪ অনুযায়ি আপনার পয়েন্ট ৪০ হলেই আপনি ভিসা পাবার যোগ্য। যেখানে

ইউনি/কলেজ এর ভিসা লেটার (একসেপটেন্ছ লেটার) - ৩০ পয়েন্ট
১ বছরের টিউসন ফি ও ৯ মাসের লিভিং কস্ট - ১০ পয়েন্ট

অর্থাত ইউনি/কলেজ এর ভিসা লেটার ও ব্যাংকে ১৫-২৫ লক্ষ টাকা দেখাতে পারলেই স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়া যাবে। ভিসা প্রক্রিয়া সহজিকরনের মূল উদ্দেশ্য হলো চলমান অর্থনৈতিক মন্দা মোকাবেলায় বিদেশী ছাত্র-ছাত্রীদের পাঠান বিপুল অর্থ। একজন ছাত্র মিনিমাম ১২-১৫ হাজার পাউন্ড খরচ করছে। শুধু এই সেপ্টেম্বর সেশনেই ঢাকা ভিসা সেন্টার থেকে এক মাসে ২৫০০ ভিসা ইসু করা হয়েছে। এরকম ভিসা সেন্টার রয়েছে সিলেট ও চট্রগ্রামে।

Click This Link

আর আমাদের দেশীয় ভিসা প্রসেসিং সেন্টারগুলো এই সুযোগে প্রচুর ছাত্র-ছাত্রী পাঠাচ্ছে নানা রকম সুযোগ-সুবিধরার কথা বলে। কোন কোন ক্ষেত্রে ১-৩ লক্ষ টাকায় ১৫-৩০ লক্ষ টাকার ব্যাংক সিকিউরিটিও ভাড়া পাওয়া যায়। ফলে মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানেরা ব্যাপক হারে পাড়ি যমাচ্ছে ইংলেন্ডে যাদের মূল লক্ষ হচ্ছে রাজধানী শহর লন্ডন।

আমাদের দেশের মতই অনেক নামসর্বস্য ইউনি/কলেজ রয়েছে ইংলেন্ডে যাদের মূল ব্যাবসাই হচ্ছে বিদেশী ছাত্রদের ভিসা নিশ্চত করা।

এখান থেকে যাওয়া বেশির ভাগ ছাত্রদের মূল লক্ষ থাকে পার্ট-টাইম/ফুল-টাইম জব করে লিভিং ও স্টাডি কস্ট যোগার করা এবং সম্ভব হলে দেশেও কিছু টাকা পয়সা পাঠান। পূর্বে নামসর্বস্য ইউনি/কলেজগুল তাদের ছাত্র-ছাত্রীদের এরকম সুযোগ দিলেও নতুন নিয়ম অনুযাযী কোন ছাত্র টানা ১০ দিন ক্লাসে অনুপস্থিত থাকলে ইউনি/কলেজ সে ব্যাপারে হোম-ডিপার্টমেন্টকে জানাতে বাদ্ধ। না জানালে তাদের লাইসেন্ছ বাতিল হতে পারে। আর হোম-ডিপার্টমেন্ট অফিসে বসেই বায়মেট্রিক সাইন চেক করে এক জন ছাত্রের এটেনডেন্ছ ও তাদের মুভমেন্ট পরখ করতে পারে। ফলে আগের যে কোন সময়ের চাইতে ছাত্ররা অনেক বেশী নজরদারির মধ্যে থাকছে।


চলমান অার্থিক মন্দা নতুন আসা ছাত্রদের আরও বেশী বিপদে ফেলেছে। আগে বাংলাদেশী রেস্টুরেন্টগুল যেখানে সপ্তাহে ৮০-১৪০ পাউন্ড দিত, তা বর্তমানে ৬০-৮০ পাউন্ডে নেমে এসেছে। তার পরেও জব সেন্টারগুল বেশীর ভাগ ছাত্রকেই কোন জব দিতে পারছে না। ফলে এক রকমা মানবেতর দিন-কাটাচ্ছে নতুন আসা ছাত্র-ছাত্রীরা।


যারা স্টুডেন্ট ভিসায় ইউকে যাচ্ছেন তারা ২য় বার ভাবুন, অড-জব করে খাকা-খাওয়ার খরচ যোগান সম্ভব হলেও কোন ভাবেই টিউশন ফি যোগার করা সম্ভব নয়। সুতরাং দেখে-শুনে / খোজ-খবর নিয়া ইংলেন্ডে যান।

আর আমাদের সরকার ও বাংলাদএশী দূতাবাসকেও এটা মনযোগ দিয়ে দেখতে হবে, কারন দিনে দিনে সমস্যা প্রকট হচ্ছে যা আমাদের দেশের ভাবমূর্তি ও নবিন ছাত্রদের জীবনকে কঠিন চেলেন্জের সম্মুখিন করে দিচ্ছে।


মডারেটরদের প্রতি আবেদন সম্ভব হলে পোস্টটি স্টিকি করা হোক যাতে সবার দৃষ্টি আকর্ষন করা সম্ভব হয়।


সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই অক্টোবর, ২০০৯ দুপুর ১:১১
৬টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ক্যারাভান-ই-গজল - তালাত আজিজ

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ১৬ ই জুন, ২০২৪ ভোর ৬:৩১


ভারতীয় অন্যতম গজল শিল্পীদের তালিকায় তালাত আজিজের নাম অবশ্যই থাকবে বলে আমার ধারনা। তার বেশ কিছু গান আমার শোনা হয়েছে অনেক আগেই। জগজিৎ সিং, পঙ্কজ উদাস ও গুলাম আলী সাহেবের... ...বাকিটুকু পড়ুন

ওহাবী-সালাফি-মওদুদীবাদ থেকে বাঁচতে আরেকজন নিজাম উদ্দীন আউলিয়া দরকার

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৬ ই জুন, ২০২৪ দুপুর ২:৩৩

১.০
ঐতিহাসিক জিয়া উদ্দীন বারানী তার তারিখ-ই-ফিরোজশাহী বইতে শায়েখ নিজাম উদ্দীনের প্রভাবে এই উপমহাদেশে জনজীবনে যে পরিবর্তন এসেছিল তা বর্ণনা করেছেন। তার আকর্ষণে মানুষ দলে দলে পাপ থেকে পূণ্যের পথে যোগ... ...বাকিটুকু পড়ুন

এই ৩০ জন ব্লগারের ভাবনার জগত ও লেখা নিয়ে মোটামুটি ধারণা হয়ে গেছে?

লিখেছেন সোনাগাজী, ১৬ ই জুন, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৯



গড়ে ৩০ জনের মতো ব্লগার এখন ব্লগে আসেন, এঁদের মাঝে কার পোষ্ট নিয়ে আপনার ধারণা নেই, কার কমেন্টের সুর, নম্রতা, রুক্ষতা, ভাবনা, গঠন ও আকার ইত্যাদি আপনার জন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

আর্তনাদ

লিখেছেন বিষাদ সময়, ১৬ ই জুন, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২১

গতকাল রাত থেকে চোখে ঘুম নাই। মাথার ব্যাথায় মনে হচ্ছে মাথার রগগুলো ছিঁড়ে যাবে। এমনিতেই ভাল ঘুম হয়না। তার উপর গতকাল রাত থেকে শুরু হয়েছে উচ্চস্বরে এক ছাগলের আর্তনাদ।... ...বাকিটুকু পড়ুন

মন তার আকাশের বলাকা || নিজের গলায় পুরোনো গান || সেই সাথে শায়মা আপুর আবদারে এ-আই আপুর কণ্ঠেও গানটি শুনতে পাবেন :)

লিখেছেন সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই, ১৬ ই জুন, ২০২৪ রাত ১০:০০

ব্লগার নিবর্হণ নির্ঘোষ একটা অসাধারণ গল্প লিখেছিলেন - সোনাবীজের গান এবং একটি অকেজো ম্যান্ডোলিন - এই শিরোনামে। গল্পে তিনি আমার 'মন তার আকাশের বলাকা' গানটির কথা উল্লেখ করেছেন। এবং এ... ...বাকিটুকু পড়ুন

×