মার্চের শেষ থেকে সেইন্টমার্টিনে লোক সমাগম একদমই থাকেনা। এখন এমন মানুষ বিহীন ছবি তুলতে অনেক বেগ পেতে হয়। ফাকা জায়গা পাওয়া যায়না। ছবি ব্লগ প্রতিযোগিতা আমায় খানিকটা উস্কে দিয়েছে ছবিগুলো পোস্ট করার জন্য। আমি শুধুই ক্লিক করেছি আনাড়ি হাতে। এভাবে ধরা পড়েছে মোবাইলের চোখে। অফ সিজনে সেন্টমার্টিন উপভোগ করার মতো। নিজেকে প্রকৃতির সন্তানের মতো মনে হয়। এখানে নিজেকে অবাঞ্ছিত লাগেনা। কিন্তু সভ্যতার মাঝে নিজেকে অনেকবারই মনে হয়েছে। তবে ভয়াবহ অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে গেলে বলতে পারি খুব ভোরে যখন সুর্যোদয় দেখতে গিয়েছি কুকুরের পাল আক্রমণ করেছিল। খুব ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। কুকুর আমার প্রিয় প্রাণী।কিন্তু সেদিনের কথা মনে হলে অন্য চিত্র মনে আসে।উলটো ধমকে বিদায় করেছি। সাথের এক ভ্রমণসঙ্গী কে সাবধান করার পরেও ঢেউয়ের কাছে যাওয়ায় আচড়ে দিয়েছিলো। স্থানীয় কয়েকজন বলেছিল এরা খাবারের অভাবে এমন হিংস্র হয়ে যাচ্ছে। এখন কেমন জানিনা। রোদ উঠার সাথে সাথে ঝিমিয়ে পড়ে এবং ছায়া খোজে ঘুমোতে যায়। সমুদ্রে আগের মতো খাবার বেড়ে দিতে পারছেনা। আবার এসময় লোক সমাগম কম থাকলে যাকেই দেখে এরা তেড়ে আসে। যাক ওদের কথা। পুরো সেইন্টমার্টিনে ঘুরে বেড়িয়েছিলাম রাজার মতো। কোথাও কেউ নেই।আহ, সুস্থ অতি প্রাকৃতিক অনুভুতি!!! কিছু কিছু ছবিতে প্লাস্টিকের উপস্থিতি থাকতে দেখেছি। খুব কস্টও পেয়েছি। তখন এতো নিখুঁত ভাবে খেয়াল করিনি।কিন্তু আমার মনে হয়েছে সবকিছু ব্যাতিরেকে এই দ্বীপ আমার মানব চক্ষুতে যেভাবে ধরা পড়েছে তার পুরোটা মোবাইলে আসেনি। কোথাও ঘুরতে গেলে আমিও মাঝে মাঝে প্লাস্টিক বর্জ্য ফেলি। এই জন্য অনুতপ্ত। কেন যে এমন কিছু থেকে বিরত থাকতে পারিনা তা বুঝতে পারিনা। তবে ঐদিন জাহাজে একজনকে ফেলতে দেখে ইশারা করতেই তিনি হাসিমুখে মাথা নাড়তে নাড়তে জাহাজের ডাস্টবিনে ফেললেন। ঐ স্মৃতিটুকু আমার মনে করতে খুব ভাল লাগছে। একটি তৃপ্তিকর অভিজ্ঞতা। যে ছিলেন এই লেখাটি জানিনা আপনার চোখে পড়বে কিনা। আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে। পাখিগুলোর দিকে তাকিয়ে ঐ দৃশ্যটি কি আপনারো মনে পড়ছে? আপনাকে শুধরে দেয়ার কয়েকদিন আগে থেকেই সজ্ঞানে এই ভুল করা বাদ দিতে চেস্টা করে চলেছি। ভয়ে, বুঝলেন। প্রকৃতি অসামঞ্জস্যতা পছন্দ করেনা। হুমায়ুন স্যার বলেছিলেন।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:০১