সৌদি রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে ২য় বিয়েতে অস্বীকৃতি, ৩০ দিনের কারাদণ্ড।
সম্প্রতি এক বিস্ময়কর ও মানবাধিকারের জন্য উদ্বেগজনক ঘটনায়, একজন নারীকে ১৯৭৪ সালের ডিটেনশন আইন অনুযায়ী ৩০ দিনের জন্য কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। ঘটনাটির পটভূমি আরও নাজুক ওই নারী সৌদি আরবের এক রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন।
মূল ঘটনা:
সংশ্লিষ্ট নারীকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল সৌদি রাষ্ট্রদূতের দ্বিতীয় স্ত্রী হওয়ার।তিনি সেই প্রস্তাবে সম্মতি না দিয়ে, নিজের মত প্রকাশের অধিকার প্রয়োগ করেন এবং বিয়েতে অসম্মতি জানান। পরবর্তীতে অভিযোগ ওঠে যে তার এই ‘অসযোগিতা’ রাষ্ট্রীয় মর্যাদাপূর্ণ সম্পর্ককে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। এর ভিত্তিতেই তাকে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের অধীনে 'রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে' এমন অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়। আদালত নির্দেশ দিয়েছেন, তাকে ৩০ দিনের জন্য কারাগারে আটকে রাখা হবে। আইনি ও মানবাধিকারগত উদ্বেগ:
১৯৭৪ সালের ডিটেনশন আইনটি বহুবার সমালোচনার মুখে পড়েছে, কারণ এটি বিচারপূর্ব আটককে সহজ করে দেয় এবং মৌলিক অধিকার হরণ করে। একজন নারীকে শুধু বিয়ে না করায় কারাগারে পাঠানো নারী স্বাধীনতা, মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও ব্যক্তিগত নিরাপত্তার প্রতি গুরুতর হুমকি সৃষ্টি করে। মানবাধিকার সংস্থাগুলো এই ঘটনাকে "একজন নারীর শরীর ও মতের উপর রাষ্ট্রীয় হস্তক্ষেপ" হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
প্রতিক্রিয়া:
মানবাধিকার কর্মীরা এই রায়কে ‘অসাংবিধানিক’ ও ‘লিঙ্গ বৈষম্যমূলক’ বলে নিন্দা জানিয়েছেন। সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে, অনেকেই নারীর অধিকারের পক্ষে সরব হয়েছেন। রাষ্ট্র এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ১২:০৩