ইউনূস সরকারের ৯ মাসে দুর্নীতি ১ লাখ কোটি টাকার ঘরে: পাঠ্যবই ও শেয়ারবাজার লুটে ধস অর্থনীতিতে
========================================
ইউনূস সরকারের মাত্র ৯ মাসের শাসনামলেই দেশের শিক্ষা ও আর্থিক খাতে দুর্নীতির ভয়াবহ চিত্র উন্মোচিত হয়েছে। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) ও পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, এই স্বল্প সময়েই প্রায় ১ লাখ কোটি টাকারও বেশি দুর্নীতি সংঘটিত হয়েছে।
সবচেয়ে আলোচিত হয়ে উঠেছে চলতি শিক্ষাবর্ষে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের জন্য ৩৯ কোটি ৬০ লাখ বিনামূল্যের পাঠ্যবই ছাপানো ঘিরে দুর্নীতির কাহিনি। অনুসন্ধানে জানা গেছে, বই ছাপানোর কাজে অংশ নেওয়া দুটি বড় সিন্ডিকেট এই খাত থেকে লুট করেছে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা।
কীভাবে লুট হয়েছে এই অর্থ?
‘সিন্ডিকেট দর’ নির্ধারণ করে ছাপাখানাগুলো সরকারের কাছ থেকে আদায় করেছে অতিরিক্ত প্রায় ৮০০ কোটি টাকা।
কৃত্রিম সংকট তৈরি করে কাগজের দাম বাড়িয়ে কাগজ মিল মালিকরা হাতিয়ে নিয়েছেন ৩৪৫ কোটি টাকা।
সরকারি মানদণ্ড না মেনে নিম্নমানের কাগজে প্রায় ২০% বই ছাপিয়ে ছাপাখানাগুলো অর্জন করেছে আরও ৩৫৫ কোটি টাকা মুনাফা।
এই পুরো দুর্নীতিচক্র পরিচালিত হয়েছে এনসিটিবির কিছু অসাধু কর্মকর্তা এবং ছাপাখানা মালিকদের যোগসাজশে, যার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সরকারি অর্থ এবং সর্বোপরি কোমলমতি শিক্ষার্থীরা।
শেয়ারবাজারে উধাও ৯০ হাজার কোটি টাকা
এদিকে, দেশের পুঁজিবাজারে দেখা দিয়েছে আরও ভয়াবহ পরিস্থিতি। বাজার বিশ্লেষকদের মতে, সরকারের নিয়ন্ত্রণহীনতা ও কিছু সুবিধাভোগী গোষ্ঠীর হাত ধরে গত ৯ মাসে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে উধাও হয়ে গেছে প্রায় ৯০ হাজার কোটি টাকা। শেয়ার দর হঠাৎ কমে যাওয়া, ফান্ডামেন্টাল ছাড়া কোম্পানির দাম বাড়ানো, এবং সুশাসনের অভাব সব মিলিয়ে বাজারে নেমে এসেছে ভয়াবহ আস্থাহীনতা।
নীরব রাজনৈতিক মহল, প্রশ্নহীন প্রগতিশীল সমাজ
যেখানে শেখ হাসিনার সরকারের ১৬ বছরের শাসনকাল ঘিরে নানা সমালোচনা উঠে এসেছে, সেখানে এই বিশাল দুর্নীতির ঘটনাগুলো নিয়ে বিরোধীদলগুলো এবং কিছু তথাকথিত প্রগতিশীল গোষ্ঠীর নিরবতা এখন প্রশ্নের মুখে। পাকিস্তানপন্থী বুদ্ধিজীবী ও ‘নতুন চেতনার’ দলগুলো এখন আর মুখ খুলছে না এই এক লক্ষ কোটির দুর্নীতির বিরুদ্ধে।
শিক্ষা ও অর্থনীতির মতো দুটি মেরুদণ্ডে একসঙ্গে দুর্নীতির এমন ভয়াবহতা নিঃসন্দেহে দেশের ভবিষ্যতের জন্য অশনিসংকেত। এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে এখনই কঠোর ব্যবস্থা না নিলে আগামী দিনে এর পরিণতি হবে মারাত্মক। জনগণের অর্থ ও ভবিষ্যৎ এভাবে লুটপাট চলতে থাকলে রাষ্ট্রের মেরুদণ্ড ভেঙে পড়া সময়ের ব্যাপার মাত্র।
ইউনূস সরকারের ৯ মাসের শাসনে দুর্নীতির অঙ্ক ছাড়িয়েছে এক লক্ষ কোটি টাকা।
নিজের নামে থাকা ৬৬৬৬ কোটি টাকার দুর্নীতি মামলা মওকুফ করে রেকর্ড গড়েছেন তিনি। ঘনিষ্ঠদের হাজার হাজার কোটি টাকার লুটপাটে ডুবেছে রাষ্ট্রীয় অর্থনীতি। এখন পদত্যাগের নাটক সাজাচ্ছেন ইউনূস, মুখ রক্ষার অপচেষ্টায়। গুঞ্জন উঠেছে তিনি দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
: পাঠ্যবই ও শেয়ারবাজার লুটে ধস অর্থনীতিতে
========================================
ইউনূস সরকারের মাত্র ৯ মাসের শাসনামলেই দেশের শিক্ষা ও আর্থিক খাতে দুর্নীতির ভয়াবহ চিত্র উন্মোচিত হয়েছে। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) ও পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, এই স্বল্প সময়েই প্রায় ১ লাখ কোটি টাকারও বেশি দুর্নীতি সংঘটিত হয়েছে।
সবচেয়ে আলোচিত হয়ে উঠেছে চলতি শিক্ষাবর্ষে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের জন্য ৩৯ কোটি ৬০ লাখ বিনামূল্যের পাঠ্যবই ছাপানো ঘিরে দুর্নীতির কাহিনি। অনুসন্ধানে জানা গেছে, বই ছাপানোর কাজে অংশ নেওয়া দুটি বড় সিন্ডিকেট এই খাত থেকে লুট করেছে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা।
কীভাবে লুট হয়েছে এই অর্থ?
‘সিন্ডিকেট দর’ নির্ধারণ করে ছাপাখানাগুলো সরকারের কাছ থেকে আদায় করেছে অতিরিক্ত প্রায় ৮০০ কোটি টাকা।
কৃত্রিম সংকট তৈরি করে কাগজের দাম বাড়িয়ে কাগজ মিল মালিকরা হাতিয়ে নিয়েছেন ৩৪৫ কোটি টাকা।
সরকারি মানদণ্ড না মেনে নিম্নমানের কাগজে প্রায় ২০% বই ছাপিয়ে ছাপাখানাগুলো অর্জন করেছে আরও ৩৫৫ কোটি টাকা মুনাফা।
এই পুরো দুর্নীতিচক্র পরিচালিত হয়েছে এনসিটিবির কিছু অসাধু কর্মকর্তা এবং ছাপাখানা মালিকদের যোগসাজশে, যার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সরকারি অর্থ এবং সর্বোপরি কোমলমতি শিক্ষার্থীরা।
শেয়ারবাজারে উধাও ৯০ হাজার কোটি টাকা
এদিকে, দেশের পুঁজিবাজারে দেখা দিয়েছে আরও ভয়াবহ পরিস্থিতি। বাজার বিশ্লেষকদের মতে, সরকারের নিয়ন্ত্রণহীনতা ও কিছু সুবিধাভোগী গোষ্ঠীর হাত ধরে গত ৯ মাসে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে উধাও হয়ে গেছে প্রায় ৯০ হাজার কোটি টাকা। শেয়ার দর হঠাৎ কমে যাওয়া, ফান্ডামেন্টাল ছাড়া কোম্পানির দাম বাড়ানো, এবং সুশাসনের অভাব সব মিলিয়ে বাজারে নেমে এসেছে ভয়াবহ আস্থাহীনতা।
নীরব রাজনৈতিক মহল, প্রশ্নহীন প্রগতিশীল সমাজ
যেখানে শেখ হাসিনার সরকারের ১৬ বছরের শাসনকাল ঘিরে নানা সমালোচনা উঠে এসেছে, সেখানে এই বিশাল দুর্নীতির ঘটনাগুলো নিয়ে বিরোধীদলগুলো এবং কিছু তথাকথিত প্রগতিশীল গোষ্ঠীর নিরবতা এখন প্রশ্নের মুখে। পাকিস্তানপন্থী বুদ্ধিজীবী ও ‘নতুন চেতনার’ দলগুলো এখন আর মুখ খুলছে না এই এক লক্ষ কোটির দুর্নীতির বিরুদ্ধে।
শিক্ষা ও অর্থনীতির মতো দুটি মেরুদণ্ডে একসঙ্গে দুর্নীতির এমন ভয়াবহতা নিঃসন্দেহে দেশের ভবিষ্যতের জন্য অশনিসংকেত। এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে এখনই কঠোর ব্যবস্থা না নিলে আগামী দিনে এর পরিণতি হবে মারাত্মক। জনগণের অর্থ ও ভবিষ্যৎ এভাবে লুটপাট চলতে থাকলে রাষ্ট্রের মেরুদণ্ড ভেঙে পড়া সময়ের ব্যাপার মাত্র।
ইউনূস সরকারের ৯ মাসের শাসনে দুর্নীতির অঙ্ক ছাড়িয়েছে এক লক্ষ কোটি টাকা।
নিজের নামে থাকা ৬৬৬৬ কোটি টাকার দুর্নীতি মামলা মওকুফ করে রেকর্ড গড়েছেন তিনি। ঘনিষ্ঠদের হাজার হাজার কোটি টাকার লুটপাটে ডুবেছে রাষ্ট্রীয় অর্থনীতি। এখন পদত্যাগের নাটক সাজাচ্ছেন ইউনূস, মুখ রক্ষার অপচেষ্টায়। গুঞ্জন উঠেছে তিনি দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে মে, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৫৩

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



