প্রতিবাদ লিপি: প্রবাসীরা কি এই রাষ্ট্রের নাগরিক নয়?
---------------------------------------------------
আজ এয়ারপোর্টের একটি খবর দেখে বিবেক স্তব্ধ হয়ে গেছে। একজন প্রবাসী তার ব্যক্তিগত ব্যবহৃত পাঁচটি পুরোনো মোবাইল ফোন নিয়ে দেশে ফিরেছিলেন যার মধ্যে তিনটি ছিল বার্টন, স্বল্পমূল্যের ফিচার ফোন। কোনো বিলাসিতা নয়, কোনো চোরাচালান নয় শুধু নিজের ব্যবহৃত জিনিস। অথচ তাকে “অপরাধী” বানিয়ে জরিমানা করা হলো, তার হাতের মোবাইল দেখিয়ে ছবি তুলে পত্রিকা ও অনলাইন মিডিয়ায় প্রচার করা হলো। আর সেই প্রবাসী কাঁদছিল অসহায়ভাবে, অপমানে।
এই দৃশ্য শুধু একজন মানুষের অপমান নয়, এ দেশের কোটি কোটি প্রবাসীর অপমান।
যে প্রবাসীদের রক্ত–ঘামে পাঠানো রেমিটেন্সে দেশের অর্থনীতির চাকা ঘোরে, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ টিকে থাকে আজ সেই প্রবাসীদের কেউ দেখছে না। প্রতিদিন এয়ারপোর্টে তাদের ব্যাগ কেটে নেওয়া হচ্ছে, জিনিসপত্র গায়েব হচ্ছে, বিনা কারণে হয়রানি হচ্ছে। প্রশ্ন করলেই অপমান, প্রতিবাদ করলেই শাস্তি। কোনো প্রতিকার নেই, কোনো জবাবদিহি নেই। আর কাদের দ্বারা এসব হচ্ছে?
রাষ্ট্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কিছু দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা যাদের কাজ নাগরিককে সেবা দেওয়া, অথচ তারা প্রবাসীদের পকেট কাটাকেই নিয়ম বানিয়েছে।
পরিহাসের বিষয়, যে প্রবাসীরা একসময় রেমিটেন্স শাটডাউন দিয়ে ইউনূসকে রাষ্ট্রক্ষমতায় বসাতে ভূমিকা রেখেছিল, আজ সেই ইউনূসের শাসনে প্রবাসীদের দিকে তাকানোর কেউ নেই। ক্ষমতার জন্য প্রবাসীরা প্রয়োজন, আর ক্ষমতায় গেলে প্রবাসীরা অপ্রয়োজনীয়?
আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই।
প্রবাসীরা ভিক্ষুক নয়, করুণা চায় না। তারা সম্মান চায়, ন্যায্যতা চায়, একজন নাগরিক হিসেবে রাষ্ট্রীয় সুরক্ষা চায়।
অবিলম্বে এয়ারপোর্টে প্রবাসীদের হয়রানি বন্ধ করতে হবে।
দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।
ব্যক্তিগত ব্যবহৃত সামগ্রী নিয়ে দেশে ফিরলে সেটাকে অপরাধ বানানো বন্ধ করতে হবে,নইলে মনে রাখতে হবে।
যে রাষ্ট্র তার প্রবাসীদের অপমান করে, সেই রাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ কখনো নিরাপদ থাকে না।
প্রতিবাদী নাগরিক ও প্রবাসীদের পক্ষে
-- সালাউদ্দিন রাব্বী
সংখ্যালঘু বাচাও আন্দোলন বাংলাদেশ।

সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১০:২২

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



