বাহিরে মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে। বারান্দার গ্রিল ধরে বৃষ্টির ছাঁটে ভেজার চেষ্টা করছে নদী। বৃষ্টিতে ভিজলেই ঠান্ডা লেগে যায় তার। এই কারনে মা তাকে বৃষ্টিতে ভিজতে দেন না। বৃষ্টির ফোটা গ্রিলে পড়ে ছোট ছোট বিন্দু তৈরী হচ্ছে। তারপর আরও ফোটা পড়ে রুপালী বিন্দুগুলো বড় হয়ে ঝরে পড়ছে। ঝরে পড়ার আগ মুহূর্তে নদী বিন্দুগুলোকে আঙ্গুলের টোকা দিয়ে ভেঙ্গে দিচ্ছে। যতবার একটা করে বিন্দু ভাঙ্গছে নদীর মুখ হাসি হাসি হয়ে যাচ্ছে।
'আবার তুমি বৃষ্টিতে ভিজে ছেলেমানুষি খেলা শুরু করেছ?' বলতে বলতে পাশে এসে দাড়ায় অলি।
' ছেলেমানুষি না মেয়েমানুষি' বলে খিলখিল হাসিতে ভেঙ্গে পড়ে নদী।
'সবকিছু নিয়ে মজা করার স্বভাব গেল না তোমার আর, ঠান্ডা লাগলে কি হবে শুনি?'
'কিচ্ছু হবে না তুমি আছ না। '
বলে আবার রুপালী বিন্দুগুলোকে ভাঙ্গায় মন দেয় নদী।
'আবার তুই বৃষ্টিতে ভিজছিস! তাড়াতাড়ি ভিতরে আয়।' আম্মুর বকুনি শুনে কল্পনার জগৎ থেকে বাস্তবে ফিরে আসে নদী। আসে পাশে তাকিয়ে দিকভ্রান্তের মত অলিকে খুজার চেষ্টা করে। তারপর ধরা গলায় জবাব দেয়
'আসছি'...