তুমি পড়বে শাড়ী। নীল শাড়ী। আমার পছন্দের। আর আমি? আমি পড়ব সাদা পাঞ্জাবি। তোমার পছন্দের।
- কি তুমি! সাদা পাঞ্জাবি কেন পড়বে? তুমি কি বুড়ো? বুড়োরা সাদা পাঞ্জাবি পড়ে।
হুম আমি বুড়ো হব। তুমি হবে বুড়োর লাঠি। তবে না আমি তোমার হাত ধরে হাটতে পারব।
-যাও, হাত ধরতে দিব না।
কিউ?
-'কিউ' কি কথা? তুমি রাজাকারদের মত কেন হিন্দি বল?
রাজাকার তো হিন্দি বলে না, উর্দু বলে।
-একি কথা। এখন থেকে 'কেন' বলবে। আমার সাথে ঢং করবে না।
আচ্ছা ঠিক আছে। তাহলে বল কেন হাত ধরব না?
-যাও, আমার লজ্জা করে।
আচ্ছা ঠিক আছে ধরব না।
-কেন ধরবে না?
তুমি তো মানা করলে।
-এত গাধা কেন তুমি?!
তুমি আমার গাধী তাই। এই গাধী??
-কি?
আই লাভ ইউ।
- আই লাভ ইউ টু।
শুধু টু? আর কই?
- আর নাই খেয়ে ফেলেছি। হি হি।
বল না প্লিজ।
-আচ্ছা বাবা টু, থ্রি, ফোর, ফাইভ, টেন, হান্ড্রেড থাউজেন্ড, কোটি কোটি কোটি লাভ ইউ।
পরী নামের মেয়েরা আল্লাদি। তবে চালাক। তার একশোটা কথার ফাঁকে একটা আল্লাদ মিশিয়ে দিতে জানে। মেশানো আল্লাদি কথা রাতুল নামের ছেলেদের ১০০০ ভোল্টের ঝাঁকুনি দেয়। ঝাকুনি খাওয়া রাতুলেরা আকাশ দেখে, আকাশের পাখি দেখে, ঠান্ডায় জমে যাওয়া রাতের জোছনা দেখে।
রাতুল নামের ছেলেরা বোকা বোকা। বোকা বোকা ছেলেরা ভালবেসে উজার হয়ে যেতে জানে। প্রেমিকার আল্লাদি কথা রাতুলদের ঈদের চাঁদ রাতের কথা মনে পড়িয়ে দেয়। চাঁদের কলঙ্কে প্রিয়তমার চাঁদমুখ খোঁজে।
রাতুলেরা সারাজীবন বোকা বোকা থাকুক। পরীরা থাকুক চির আল্লাদি। রাত জেগে লক্ষ কোটি বার ভালবাসুক। বেঁচে থাকুক ভাললাগা। বেঁচে থাকুক ভালবাসা।