তাইওয়ানে গিয়ে প্রথম যে খটকাটা লাগল তাহলো গাড়ীতে উঠতে গিয়ে; লেফট হ্যান্ড ড্রাইভিং। হোটেল থেকে মার্সিডিজ বেঞ্চ (চাঞ্ছে গাড়ীর নামটা বলে দিলাম!
![:P](https://s3.amazonaws.com/somewherein/assets/css/images/emot-slices_25.gif)
![:-/](https://s3.amazonaws.com/somewherein/assets/css/images/emot-slices_24.gif)
যাই হোক, গাড়ী শহরের মধ্যে ডুকেছে, একটা সিগনালে দাড়ালো, উল্টা দিকের দেখি ৫০/৬০ টি মটর সাইকেল আর তাঁর পিছনে ৫/৬ টা গাড়ী সিগ্নালে দাঁড়ানো। এত মটর সাইকেল দেখে ভয় পেয়ে গেলাম! মিছিল টিছিল এর সামনে পড়লাম না তো (যার যেমন চিন্তা আর কি!
![;)](https://s3.amazonaws.com/somewherein/assets/css/images/emot-slices_09.gif)
![:|](https://s3.amazonaws.com/somewherein/assets/css/images/emot-slices_18.gif)
এয়ারপোর্ট থেকে প্রায় ১ ঘন্টা লাগল হোটেলে পৌছুতে। ইতিমধ্যে ম্যাডাম ড্রাইভার কে বুকিং দিয়ে ফেলেছেন Jiufen যাওয়ার জন্য। ঠিক হলো গাড়ি বাইরে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকবে, আমরা হোটেলে ব্যাগ রেখে ২০ মিনিটের মধ্যে ফিরে এসে এই গাড়ীতেই করেই যাব কিন্তু এই কথা হোটেলে জানানো যাবে না, কারন হোটেলের মাধ্যেমে এই গাড়ী নিতে গেলে অতিরিক্ত টাকা দিতে হবে। সিস্টেমের সেই পুরানো গন্ধ পেলাম
![;)](https://s3.amazonaws.com/somewherein/assets/css/images/emot-slices_09.gif)
যাইহোক, রওনা হলাম Juifen এর পথে; Juifen হচ্ছে একটি পাহাড়ি প্রাচীন শহর; স্বর্ণ খনির জন্য এক সময় বিখ্যাত ছিল। এই স্বর্ণ খনি নিয়ে জাপান-চীন-তাইওয়ান এর মধ্যে অনেক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়েছে। জাপানী এনিমেশন মুভির জন্য এই জায়গাটা এখন ও বিখ্যাত। এখন মূলত এটা পর্যটনের জন্যই বিখ্যাত কি্ন্তু ড্রাইভারের ভাষ্যমতে এখনও নাকি অনেক সোনা লুকিয়ে আছে এই পাহাড় গুলোর পেটের ভিতর! একসময় তাইওয়ান ছিল জাপানিজদের দখলে, এখনও পর্যটকদের অধিকংশ জাপানীজ। জাপানীজ পর্যটকদের খাতির যত্ন ও এখানে বেশী; প্রায় প্রতিটি দোকানী জাপানী ভাষা জানে। এখানে একটা রেষ্টুরেন্টে চা খেলাম; গ্রিন টি। চা বানানোর সরঞ্জাম এবং সিস্টেম ভিন্ন রকমের; নিজ হাতে বানাতে হয়, একই চা পাতা তিন বার পানি দিয়ে বানালে তিন রকম স্বাধ-গন্ধ !
জায়গাটা আসলেই অনেক সুন্দর! পাহাড় – সমুদ্র –প্রাচীন শহর – দূরে আধুনিক শহর এর অপূর্ব সমন্নয়! একখান ছবি দেওয়ার লোভ সামলাতে পারলাম না ...
আজ এই পর্যন্তই; জীবনের প্রথম ভ্রমন কাহিনী লিখছি ... আর আগাতে সাহস পাচ্ছি না। আপনাদের ভাল লাগলে চলবে ... ... ... ভালো না লাগলে এখানেই খ্যান্ত !!
![:((](https://s3.amazonaws.com/somewherein/assets/css/images/emot-slices_16.gif)
![/:)](https://s3.amazonaws.com/somewherein/assets/css/images/emot-slices_51.gif)