অনেক দিন ধরেই বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম বাংলাদেশি বিভিন্ন কোম্পানির পণ্যের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। গতকাল প্রাণের টমেটো সস নিয়ে একটা শিরোনাম ছিল এই রকম, “প্রাণের টমেটো সসে ভেজাল, বিপজ্জনক”
পুরো রিপোর্ট'টা পড়ার পর বুঝতে পারলাম এটা একটা অপপ্রচার। দেখুন, পুরো নিউজের কোথাও লিখা নাই কেন এটা বিপজ্জনক এবং খেলে কী ক্ষতি হবে? তাছাড়া প্রাণের টমেটো সস ভেজাল বলা হলেও রিপোর্টের মধ্যে লেখা আছে শুধু কিছু উপাদান কম-বেশি আছে।
এবার দেখুন অটবি নিয়ে একটা রিপোর্ট ---“নিতুন কুণ্ডুর স্বপ্নের অটবি এখন দাদা-দিদিতে বিভক্ত!”
এখানে “ভুয়া ডিসকাউন্ট, অতিরিক্ত দাম এবং নিম্নমানের পণ্যের” কথা বলা হলেও ডিসকাউন্ট কীভাবে এবং কেন ভুয়া এই বিষয়ে কিছুই লেখা নেই এবং “অতিরিক্ত দাম ও নিম্নমানের পণ্য” এই বিষয়েও বিস্তারিত কিছুই লেখা নেই।
এবার দেখুন ওয়ান ব্যাংক নিয়ে ধারাবাহিক কয়েকটি রিপোর্টঃ“ওয়ান ব্যাংকে যৌন কেলেঙ্কারি”
এই রিপোর্ট পড়ার পর আমি নিজে সামুতে “ওয়ান ব্যাংকের বিরুদ্ধে লেখালেখি করেছি। কিন্তু পরে খোঁজ-খবর নিয়ে জানতে পারি নারী কেলেঙ্কারি বিষয়টা ভুয়া। শুধু ওয়ান ব্যাংকের সুনাম নষ্ট করার জন্য তাঁরা ধারাবাহিক ভাবে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। সবচেয়ে বিস্ময়কর ব্যাপার হচ্ছে, ওয়ান ব্যাংকের এত বড় একটা নারী কেলেঙ্কারি ঘটনা ঘটেছে অথচ কোনো পত্রিকা বা টিভি চ্যানেল এই নিয়ে কোনো রিপোর্ট করেনি শুধু বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম ছাড়া।
ভূমিদস্যু হিসেবে খ্যাত বসুন্ধরা গ্রুপ সাধারণ মানুষের শুধু জমি(শেষ সম্বলটুকু) কেড়ে নিয়েই ক্ষান্ত হয়নি। জমি কেড়ে নেওয়া পর জমির মালিকদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলাও করেছে বসুন্ধরা গ্রুপ। শুধু তাই নয় বিভিন্ন জায়গায় সরকারি জমি দখল করে সেই জমি সাধারণ মানুষের কাছে বিক্রি করেছে। কিন্তু সরকারি জায়গা বলে রাজউক সেখানে বাড়ি করার অনুমতি দেয়নি। বসুন্ধরা গ্রুপে বিরুদ্ধে এই রকম হাজার হাজার অভিযোগ আছে কিন্তু অনেকের প্রিয়(?) সংবাদ মাধ্যম বিডিনিউজটোয়েন্টিফোর.কম কখনো "ইস্ট ওয়েস্ট প্রপার্টি ডেভেলপমেন্ট (প্রাঃ) লিমিটেড" এবং "বসুন্ধরা সিটি ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড" নিয়ে একটা রিপোর্টও প্রকাশ করেনি।
আপনারা যদি একটু লক্ষ্য করে থাকেন তাহলে দেখবেন যে কোম্পানিগুলো বসুন্ধরা গ্রুপের পত্রিকাগুলোতে বিজ্ঞাপন দেয় না শুধু সেই সব কোম্পানিগুলোর বিভিন্ন পণ্য নিয়ে বিডিনিউজটোয়েন্টিফোর.কম ধারাবাহিকভাবে রিপোর্ট করছে।
পরিশেষে বলতে চাই, বসুন্ধরা গ্রুপে পত্রিকা কালের কন্ঠ, বাংলাদেশ প্রতিদিন, ইংরেজি ডেইলি সান, অনলাইন ভিত্তিক পত্রিকা বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম এই পত্রিকাগুলো হলুদ সাংবাদিকতার সাথে জড়িত। আজ পর্যন্ত বিভিন্ন কোম্পানির বিরুদ্ধে যত অপপ্রচার তারা চালিয়েছে তার সব কিছুই তারা করেছে নিজেদের স্বার্থে । সংবাদপত্রের কোনো নীতিমালা তারা মানে না। নীতি বহির্ভূত সংবাদ প্রকাশ করাই হচ্ছে তাদের একমাত্র কাজ। তাই এই পত্রিকাগুলোকে অবিলম্বে নিষিদ্ধ করার জন্য সরকারের কাছে আকুল আবেদন জানাচ্ছি।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই জুলাই, ২০১২ রাত ১২:২২