কোরআন ও হাদীস বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে মতামত চাই!!!!!!
আমি ছোট বেলা থেকেই শুনে আসছি যে আমি ও আমার বংশধরেরা হযরত হানাফ (র
ওনারা মহাজ্ঞনী তাতে কোন সন্দেহ নাই। কারও এ নিয়া দ্বিমত নাই যে ওনারা জ্ঞানী ও সম্মানের দিকে দিয়ে সর্বাবস্থায় প্রিয়।
আমি প্রায় এক বছর হল ড.জাকির নায়েক এর লেকচার শুনছি। ওনিও কোরআন ও হাদিস সম্পর্কে অনেক জ্ঞান রাখেন তবে ওপরে উল্লেখিত ইমামদের সাথে তার তুলনা করা যাবে না। ড. জাকির নায়েক এর একটা লেকচার আমাকে অনেক ভাবিয়ে তুলেছে। লেকচারটির নাম হল “Unity of the Muslim Ummah” by D. Zakir Naik. আপনারা ইউটিউব থেকে ডাউনলোড করে শুনতে পারেন। আবার ইতোমধ্যে অনেকেই হয়তো শুনে থাকবেন। এ নিয়া আরও অনেক আলোচনা হয়েছে। তবে ওনার বক্তব্য সহ আমার কিছু ব্যক্তিগত মতামত এখানে যোগ করতে চাই। আশা করব আমার ক্ষুদ্র প্রচেষ্টাকে আপনারা স্বাগত জানাবেন এবং সাথে সাথে আমার ভুলগুলো সুধরে নিতে সাহায্য করবেন। আমি কোন বিশেষজ্ঞ নই। বলতে পারেন ড. জাকির নায়েক এর লেকচার শুনে আমি কোর্কআনের তাফসীর এবং হাদীস পড়ার আগ্রহ জন্মাতে পেরেছি। তবে এখন শুধু সহীহ বুখারী পড়তেছি। আল্লাহ চাইলে সব গুলো সহীহ হাদীসগুন্থগুলো পড়ার ইচ্ছা আছে।
আমি সহ আমাদের প্রচলিত প্রথার বাইরে অনেক হাদীস আছে যা আমরা মানতে চাই না। যার মধ্যে কিছু পয়েন্ট এখানে তুলে ধরার চেষ্টা করছি।
১- কোন মাযহাবের অনুসারী হয়ে কঠোর ভাবে নির্দিষ্ট ইমাম-এর ফতোয়া অনুযায়ী জীবন পরিচালনা করা যাবে না (যদি সেই ফতোয়া কোরআন ও সহীহ্ হাদীসের বিরুদ্ধে যায়)।
২- মাযহাব বিশ্বাসীগণ সেই সকল প্রচলিত প্রথা বা ফতোয়া বাতিল করবেন, যেই প্রথা বা ফতোয়া কোরআন ও সহীহ মতে দুর্বন ভাবে প্রমাণিত।
৩- কোন মাযহাব দিয়ে আমাদের পরিচয় হতে পারে না। আমাদের পরিচয় হওয়া উচিত শুধু মাত্র "মুসলিম" হিসেবে।
৪- হযরত শাফী (র)-এর মতে, কোন বেগানা নারী ইচ্ছাকৃত অবস্থায়ও যদি অন্য কোন পুরুষকে স্পর্ষ করে তবে উভয়ের উযু থাকবে না। কিন্তু আমরা উযুর ফরয জানি ৬/৮টি। যার মধ্যে শুধু নারী ও পুরুষের সঙ্গম-এর কথা উল্লেখ করা হয়েছে। হাত বা পায়ের স্পর্ষ নয়। সুতরাং তার এই ফতোয়া বাতিল বলে গন্য হবে।
৫- মসজিদের নির্ধারিত ইমাম যদি পায়ে আঘাত পান। এবং তিনি যদি দাঁড়িয়ে নামায পড়াতে অক্ষম হন এবং তিনিই যদি ইমামতি করেন এবং সেটা যদি হয় বসে তবে মুসুল্লিদের ও বসে নামায আদায় করতে হবে। (সহীহ্ বুখারী ২য় খন্ড, বিষয়: আযান, হাদীস নং ৬৯৬, ৬৯৭, ৬৯৮।
৬- প্রিয় নবী (স
৭- নামায ও নামায ব্যতীত যখনই তোমরা (গইরিল মাগদুবি আলাইহিম ওলাদ--ললিন) শুনবে, তখনই উচ্চস্বরে আমি পড়া উত্তম। কারণ তখন ফেরাস্তাগন আমিন বলেন এবং আমাদের আমিন বলা এবং ফেরাস্তাদের আমিন যদি এক সাথে হয় তবে আমাদের পিছনের সকল গুনাহ মাফ হয়ে যাবে। প্রিয় নবী (স
৮- সালাত আদায় করার সময় দুই হাত উঠানো। রুকুতে যাওয়ার আগে দুই হাত কাধ বরাবর উঠানো এবং রুকু থেকে উঠার পর হাত কাধ বরাবর উঠানো এবং বলতে হবে সামিয়াল্লাহুলিমান হামিদা+ রাব্বানালাকালহামদ্। কিন্তু সেজদার সময় এমনটি করা যাবে না।। সহীহ্ বুখারী: বিষয়: আযান, অনুচ্ছেদ-৪৭৫,৪৭৬,৪৭৭,৪৭৮ হাদীস নং ৬৯৯,৭০০,৭০১,৭০২,৭০৩।
৯- নবীজি (স) বলেছেন যে, ইহুদীরা ৭১টি দলে বিভক্ত রয়েছে, খ্রিষ্ট্রানরা ৭২টি দলে, কিন্তু মুসলমানরা ৭৩টি দলে বিভক্ত হবে। প্রত্যেক দল প্রত্যেক দলকে তাদের স্বীয় প্রথা জন্য অন্য দলকে তিরস্কার করবে এবং বলবে তোমারা সঠিক নও বরং আমরাই সঠিক। জেনে রাখো সব দলই জাহান্নামে যাবে শুধু একটি দল ছাড়া। আর তারা হল "মুসলিম"।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


