১৯৪৫ সালে জাপান সারেন্ডার করলেও রাশিয়া ও জাপানের দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ এখনো চলমান। ফলাফল জাপানের উত্তরের ৪ টি দ্বীপ এখনো রাশিয়ার কব্জায়। যুদ্ধ শেষ হলে হয়ত জাপান দ্বীপ গুলি ফেরত পাবে
ইউক্রেন রাশিয়ার যুদ্ধে রাশিয়ার এ পর্যন্ত অভিযান ইউক্রেনের পূর্বাংশেই সীমাবদ্ধ দুই একটি স্ট্রাটেজিক বিষয় ছাড়া। যেমন লাভিভ, খেরসন, ওডেসা, মিকোলাইভ ছাড়া সবই দ্বানিপার নদীর পূর্বাংশে। কিয়েভ দ্বানিপার নদীর দুই পাড়েই বিস্তৃত।
রাশিয়ার কর্মকান্ডে মনে হচ্ছে তারা দ্বানিপার নদীর পূর্ব পাড় পর্যন্ত দখলে নিতেই আগ্রহী এবং যুদ্ধ সমাপ্তির চেয়ে যুদ্ধ বিরতিতে তাদের আগ্রহ বেশি। এতে দখলিকৃত ভূমি তারা নিজেদের কব্জায় রাখার অযুহাত পাবে।
এতে লাভ কি?
ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চল শিল্প ও কৃষির জন্য বিক্ষাত। ইউক্রেনের ৭০% গ্যাস, তেল ও অন্যান্য খনিজ পূর্বাংশের মাটির নিচে মজুদ। এ ভূমির দখল রাখা মানে বিশ্বের খাদ্য ও জ্বালানি বাজারে রাশিয়ার প্রভাব আরো বিস্তৃত হওয়া।
এছাড়াও এ অঞ্চল দখলে থাকা মানে রাশিয়ার ডিফেন্স লাইন আরো কয়েকশত কিলোমিটার পশ্চিমে চলে আসা। দ্বানিপার নদী এ ডিফেন্স লাইনকে আরো সুসংহত করবে। রাশিয়ার ভবিষ্যতের ইউরোপের সাথে যুদ্ধ মস্কো থেকে আরো পশ্চিমে চলে যাবে, যা মস্কোর নিরাপত্তা বৃদ্ধি করবে।
ইউক্রেন অর্থনৈতিক ভাবে আরো দূর্বল হয়ে পড়বে ও জ্বালানির জন্য রাশিয়ার উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়বে।
আজকের বিশ্বে পুরো একটা দেশ হজম করা বেশ কঠিন। তার চেয়ে অর্ধেকটা দখল রাশিয়ার জন্য ঢের ভালো।
সুতরাং যুদ্ধ সমাপ্তির চেয়ে যুদ্ধ বিরতিই যেমন রাশিয়ার জন্য লাভজনক, তেমনি ইউরোপে অস্ত্র বিক্রিতে আমেরিকার জন্যও ভালো। ইউক্রেনিয়ানরা ইউরোপিয়ান সদস্য হয়েই সুখী থাকবে হয়তো।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে মার্চ, ২০২২ বিকাল ৪:২৮