ধরুন আপনি একজন মেয়ে। আপনাকে এক নরপশুর ভালো
লাগলো- তাই সে আপনাকে ধর্ষন করে দিলো।
এ ধর্ষনের অপরাধী কে জানেন? আপনি নিজেই!!!!!!
তথাকথিত সুশীল সমাজের মতে, আপনি মেয়েমানুষ। আপনি কেন নিজেকে বাঁচিয়ে চলতে পারলেন না?
আপনি কেন সারা শরীর আলকাত্রা
দিয়ে ঢেকে চললেন না?
কেন আপনি খোলা চুলে শাড়ির আঁচল উড়িয়ে রাস্তাঘাটে চলাফেরা করলেন?
তাই আপনাকে ধর্ষন করা তো পুরুষদের
জন্মগত অধিকার?
আচ্ছা- ধর্ষন করা যদি পুরুষদের জন্মগত অধিকার হয়,
তাহলে ব্যাংক ডাকাতি করা তো ডাকাতদেরো জন্মগত অধিকার!!!!!!!
ধরুন,
একটি কাচের দেয়ালের তৈরী
ট্রান্সপারেন্ট ব্যাংক। ব্যাংকের প্রতিটি দেয়াল স্বচ্ছ। রাস্তা থেকে দাড়িয়েই লকারের সব টাকা দেখা যাচ্ছে। তেমন একটা নিরাপত্তাও নাই। কি
করবেন তখন? কি আর করবেন- নগদে সেই ব্যাংক লুট
করবেন।
এটা তো আপনার জন্মগত অধিকার! দোষ তো
আর আপনার না।
দোষ হচ্ছে সেই ব্যাংক মালিকের,
যে কিনা ব্যাংকটাকে আলকাত্রা দিয়ে না ঢেকে উলঙ্গ করে রেখেছিলো। সুতরাং আসল অপরাধী
হচ্ছে ঐ ব্যাংক মালিক। আপনি হচ্ছেন সম্পূর্ন নির্দোষ! তাই না?
যদি কেউ উলঙ্গ থাকলে- সেটা
তাকে ধর্ষিত হবার জন্য প্রলুব্ধ করে, তাহলে
রাস্তাঘাটে যে এতো পাগল/ পাগলী ন্যাংটা হয়ে
চলাফেরা করে তাদের কেউ গনধর্ষন করে না কেন?
তখন তো দেখি উল্টা ঘটনা ঘটে। যারা পাগলদের
উলঙ্গ দেখে, তারাই
লজ্জা পেয়ে মাথা নামিয়ে চলে যায়। কিন্তু কেন?
আমরা এমন এক সমাজ
ব্যবস্থা তৈরী করেছি যেখানে নারীদের শুধু
ভোগের পণ্য হিসেবেই ব্যবহার করা হয়। শেভিং
ক্রিমের বিজ্ঞাপনে পর্যন্ত নারীরা ভোগের পণ্য!
আমাদের স্মৃতিশক্তি তো দেখা যায় গোল্ড ফিশের
চেয়েও দুর্বল। হতেই হবে- আমরা আবার শেলফিস
প্রজাতী কিনা!
আমরা পুরুষেরা খুব সহজেই ভুলে যাই যে, আমাদের
জন্ম হয়েছে কোন না কোন নারীর কাছ থেকেই।
আমরা বিয়েও করবো কোনো না কোনো নারীকে।
বোন হিসেবেও কিন্তু আমরা পাই সেই নারীকেই।
আমাদের সন্তান হলেও- সেখানে ৫০% সম্ভাবনা
আছে কন্যা সন্তানের পিতা হবার।
সুতরাং আমরা নারীদেরকে কেন তাদের প্রাপ্য
সম্মান দিবো না?
আমাদের নিজের মা-বোন-স্ত্রী-কন্যা কে কেউ যদি ধর্ষন/ইভ টিজিং করে
আমাদের কি রকম লাগবে?
হ্যাঁ হতেই পারে, আপনার
সামনের মানুষটি একজন চরিত্রহীন/চরিত্রহীনা।
তাই বলে আপনি চরিত্রহীন কেন হবেন? এটা
শুধুমাত্র কোনো নির্দিষ্ট দেশ নয়, বরং সমগ্র
বিশ্বের জন্য প্রযোজ্য! আর যারা কঠোর আইনের
দোহাই দিয়ে পার পেতে চান। তাদের জন্য
জেনে রাখা ভালো- আইনের হাত বিশাল লম্বা
হলেও। আইনের পা কিন্তু ব্যাপক ছোট। তাই আইন
কখনো সময়মত অপরাধস্থলে পৌছুতে পারে না।
সবচেয়ে বড় আদালত হচ্ছে, মানুষের বিবেক। সুতরাং
নিজের বিবেককে জাগ্রত করুন।।
{{ কিছু বলদ যারা লেখার মানে বুঝে নাই তাদের জন্য সংযোজিত }}
এক কথা বারে বারে বলতে বিরক্ত লাগতেসে!! দেশে যে প্রতিনিয়ত কত নিরীহ মেয়ে
ধর্ষন হইতেসে সে খবর রাখেন??
তারা আইসে ধর্ষনরে জাষ্টিফাই করতে- বলদগুলান..!!
সোজা প্রশ্ন, সোজা উত্তর দেন। কারো বিবেক
থাকলে কেউ ধর্ষন ও করতো তা আবার অশালীন
পোশাকও পরতো না।
মানুষের বিবেক জাগ্রত করতে এত সমস্যা কোথায়??
বলদ আর কারে কইসে? ধর্ষন করার যে কত শখ-
একেকটা বলদের কমেন্ট পড়লেই বোঝা যাইতেসে।
নিজের নিয়ত ভালো না, আইসে অন্যে কি পোষাক
পরবো সেইটা নিয়া পাক পাক করতেসে। ৩ বছরের
বাচ্চা যখন ধর্ষিত হয় তখন সেইটারে কি ব্যাখ্যা
দিবি রে বলদ??
ঘুমায়ে থাকলে তো জাগান যায়,
ঘুমের ভান করে পরে থাকলে তো আর জাগানো যায়
না..!!
সোজা কথা আমরা হজম করতারি না?? অন্যের
পোশাকরে সংযত করার পূর্বে, নিজের চোখরে
সংযত কর ভোদেক্স!! তোদের মুখে থু!
যারা এখনো মেয়েদের কাপড় নিয়া ত্যানা
পেচাইতেসেন, সবাইরে একসাথে গানা পাঠানো হবে। দেশটা গোয়ালঘর না যে বলদেরা ইচ্ছামতন নোংরা করবে। এখন আপনাদের হুঁশ
হইবোনা- নিজের বোন যেদিন ধর্ষিত হইবো- ঐদিন
ঠিকই হুঁশ হইবো। তখন আর মেয়েদের কাপড়
নিয়া ত্যানা পেচাইতে পারবেন তো না-ই, এখন
যেই ধর্ষকদের পক্ষে কথা বলতেসেন উল্টা ধর্ষকদের
খুন করতে চাইবেন তখন। আমরা বুঝই ঠিকই, তবে
নিজের স্বার্থে আঘাত লাগার পর। নিজের ৩ বছর
বয়সি বাচ্চাটা যদি ধর্ষিত হইতো, টের টা পাইতেন
কেমনটা লাগে...!!
আজ দেখলাম নৌকায় ধর্ষন হয়েছে, বাকি থাকলো রিক্সা / ভ্যান আর বিমান।
এই পোষ্টে আমার আর কিছুই বলার নাই। সবাই ভাল
থাকুন, নিজ বিবেককে জাগ্রত রাখুন, সব উত্তর পেয়ে যাবেন নিজেই।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে জুন, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৩