somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বাহাত্তুরের সংবিধানে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন নেই : ফরহাদ মজহার

৩১ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ৯:৩৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

১৯৭২ এর সংবিধানের ক্রটির কথা কি বলবো ! যেহেতু এটিতে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন নেই , জনগণের সাথে আলাপ আলোচনার ভিত্তিতে এটি প্রণীত হয়নি সেহেতু এটিই প্রথম ভুল বা ক্রটি । নির্বাচনোত্তর কালে যাদেরকে সংবিধান প্রণয়ণের জন্যে পাঠানো হয়েছিল তারা স্বঘোষিতভাবে সংবিধান সভা শেষে সংবিধান তৈরী করেছে । অর্থাৎ কিভাবে একটি জাতিকে বিদেশী আধিপত্যের অধীন থেকে শাসন করতে হবে এটারই সমষ্টি হচ্ছে ১৯৭২ এর সংবিধান । আমি আবারও খুব স্পষ্টভাবে বলছি ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের জনগণ সংবিধান প্রণয়ন করেনি । ৭২ সালে তো সকল রাজনৈতিক দলকে নিয়ে নতুন করে কোনো সংবিধান সভা ডেকে সংবিধান করা হয়নি । আর তাহলে সংবিধান সম্পর্কে এই তথ্য বিকৃতি কেন করা হচ্ছে ? জনগণকে কেন মিথ্যা তথ্য দেয়া হচ্ছে । বাংলাদেশের সংবিধান সভা ডাকা হয়েছিল ৪ মার্চে । আর এটি করা হয়েছিল ভারতে বসে । এর পরের সরকার ছিল আওয়ামী লীগের সরকার । তারা ছিল ভারতের দালাল মার্কা সরকার । জনগণের সরকার তারা কখনই ছিল না । ফলে তাদের নির্মিত সংবিধান কিভাবে জনগণের সংবিধান হয় ! এটি ছিল আওয়ামী লীগের সংবিধান । আর বাংলাদেশে গত ৩৮ বছরের ইতিহাসের লড়াই কিন্তু সেটাই । সংবিধানের ক্রটির কথা জানতে চেয়েছেন - এক্ষেত্রে আমাদের গোড়াতেই তো গলদ রয়েছে । আর সেই শুরুর ভুল সংশোধন না করে আপনি সংবিধান সংশোধন করবেন- তা কি করে হয়। সংবিধানে অপশন রাখবেন দুই তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকলে সংবিধান সংশোধন বা পরিবর্তন করতে পারবেন , আবার একথাও থাকবে অস্ত্রের জোরে ক্ষমতা দখল করে পরে নতুন সংসদ ডেকে সেখানে বলা হবে এ পর্যন্ত যা কিছু আপনারা করেছেন সব কিছুকে বৈধ করা হলো। তো এভাবে কি রাষ্ট্র চলতে পারে ? আর এসব রাজনৈতিক দলকে কি রাজনৈতিক দল বলা যাবে ; নাকি সব চোর ডাকাত! এদেরকে রাজনৈতিক দল বলাটা তো অন্যায় ।জনগণের প্রতি কি এদের দরদ বা ভালোবাসা আছে ? গত প্রায় চল্লিশ বছরে এরা বাংলাদেশের জনগণের জন্যে কি করেছে ? এ দেশকে একটি উপনিবেশ বানানো ছাড়া ; এদেশের মানুষকে ঘরছাড়া করা ছাড়া ! বাংলাদেশের অসহায় দরিদ্র মানুষেরা মালয়েশিয়া, সৌদি আরবসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গিয়ে উপার্জন করে রেমিটেন্স পাঠাচ্ছে দেশে । সেই টাকার উপর ভর করে চলা ছাড়া সরকারগুলো কি করেছে ? সেই সব প্রবাসী গরিবদের লুন্ঠন করা ছাড়া তারা আর কি করেছে ?

দেখুন , আমি এখন গ্রামে আছি - সেই গ্রামসহ দেশের প্রতিটি গ্রামের দিকে তাকান - সেখানে কি দেখতে পাবেন ! সেখানে চলছে হাহাকার । মানুষের কাজ নেই , ঘরে খাবার নেই - এক বেলা খেলে পরে কি খাবে সেই সংগ্রামে লিপ্ত থাকতে হয় । দ্রব্যমূল্য মানুষের লাগামের বাইরে ; তো এভাবে মানুষ বাঁচবে কি করে । দেশের নদীর দিকে তাকান - পানি শুকিয়ে গেছে। ক্ষেতের দিকে তাকান ফসল নেই যেন বিরান ভূমি । যখন দেশের এই অবস্থা তখন গণমাধ্যম এবং সরকার বলছে সংবিধান সংশোধনের কথা । আসলে কি এটি কোনো ইস্যু ! মাত্র কদিন আগে দেশের গার্মেন্টস শ্রমিকদের ভেতন ভাতা নিয়ে যে ঘটনা ঘটলো - এদেশের গরীব মানুষদের প্রতি সরকারের, গণমাধ্যমের বা রাজনৈতিক দলগুলোর একটি ফোটা দরদ নেই । ফলে সরকারের এই সংবিধান দিয়ে দেশের মানুষ কি করবে ? এরপরও সরকার যদি সংবিধান সংশোধন করতে পারে করুক - দেখা যাক শেষ পর্যন্ত কি হয় ! সরকার যদি টিপাইমুখ বাঁধ দিতে দেয় ভারতকে , সরকার যদি জনগণের কথা দেশের স্বার্থের কথা না ভেবে বিভিন্ন দেশের সাথে নানারকম চুক্তি করতে পারে , তারা যদি দেশের ক্ষতি হয় জেনেও বিদেশী বহুজাতিক কোম্পানীগুলোকে দেশের গ্যাস ও খনিজ সম্পদ অনুসন্ধানের কাজ দেয় বা তেল গ্যাস সব তাদেরকে দিয়ে দেয় - তাহলে কে তাদেরকে ঠেকিয়ে রাখবে ! তারা রাজনৈতিক ক্ষমতায় আছে এবং তারাই দেশটাকে চালাচ্ছে । আর আমরা জনগণ একটা পরাধীন দেশে বাস করছি ; এটিই হচ্ছে বাস্তবতা ।

Click This Link
৮টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমি আর এমন কে

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:১৩


যখন আমি থাকব না কী হবে আর?
থামবে মুহূর্তকাল কিছু দুনিয়ার?
আলো-বাতাস থাকবে এখন যেমন
তুষ্ট করছে গৌরবে সকলের মন।
নদী বয়ে যাবে চিরদিনের মতন,
জোয়ার-ভাটা চলবে সময় যখন।
দিনে সূর্য, আর রাতের আকাশে চাঁদ-
জোছনা ভোলাবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

২০২৪ সালের জুলাই মাস থেকে যেই হত্যাকান্ড শুরু হয়েছে, ইহা কয়েক বছর চলবে।

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪৭



সামুর সামনের পাতায় এখন মহামতি ব্লগার শ্রাবনধারার ১ খানা পোষ্ট ঝুলছে; উহাতে তিনি "জুলাই বেপ্লবের" ১ জল্লাদ বেপ্লবীকে কে বা কাহারা গুলি করতে পারে, সেটার উপর উনার অনুসন্ধানী... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজাকার হিসাবেই গর্ববোধ করবেন মুক্তিযোদ্ধা আখতারুজ্জামান !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:১৮


একজন রাজাকার চিরকাল রাজাকার কিন্তু একবার মুক্তিযোদ্ধা আজীবন মুক্তিযোদ্ধা নয় - হুমায়ুন আজাদের ভবিষ্যৎ বাণী সত্যি হতে চলেছে। বিএনপি থেকে ৫ বার বহিস্কৃত নেতা মেজর আখতারুজ্জামান। আপাদমস্তক টাউট বাটপার একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

চাঁদগাজীর মত শিম্পাঞ্জিদের পোস্টে আটকে থাকবেন নাকি মাথাটা খাটাবেন?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৭


ধরুন ব্লগে ঢুকে আপনি দেখলেন, আপনার পোস্টে মন্তব্যকারীর নামের মধ্যে "জেন একাত্তর" ওরফে চাঁদগাজীর নাম দেখাচ্ছে। মুহূর্তেই আপনার দাঁত-মুখ শক্ত হয়ে গেল। তার মন্তব্য পড়ার আগেই আপনার মস্তিষ্ক সংকেত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টি দিল্লী থেকে।

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:১৫


((গত ১১ ডিসেম্বর ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টির ইতিবৃত্ত ১ শিরোনামে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম। সেটা নাকি ব্লগ রুলসের ধারা ৩ঘ. violation হয়েছে। ধারা ৩ঘ. এ বলা আছে "যেকোন ধরণের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×