somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

শাফায়াত উল্লাহ রহমত
লেখালেখি হলো আমার জগত, আমার মানস ভ্রমণের অখন্ড মানচিত্র । কল্পনার চরিত্রগুলোকে আমি লেখার জগতে বাস্তবতার ন্যায় সদর্পে চারণ করাতে চাই। আমি তাদের হাসি কান্না সুখ দুঃখে তুলির আঁচড় ছুঁয়ে দিয়ে অপছন্দের আঁকগুলো ইরেজার দিয়ে ঘষে তুলে বসাতে চাই কল্পনার রঙ ।

ভবিষ্যৎ প্রজন্ম কি জানবে আমাদের শৈশবের আড্যভেঞ্জারের গল্প.. ???

১৫ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১:৩০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে পৃথিবীর ভূপৃষ্ঠের মত মানুষের মানসিকতার পরিবর্তন ঘটে প্রতিনিয়তই।
আজ বিকেল হতেই ভাবছিলাম আমাদের শৈশব, বর্তমান প্রজন্মের শৈশব এবং আগামী প্রজন্মের কথা...
স্কুল কলেজের যেই মধুময় সময়ের কথা ভেবে আমরা এখনো নষ্টালজিয়ায় ভুগি তা কি আগামি প্রজন্ম কখনো কল্পনা করতে পারবে...???
এক সময় কি তারা জানবে সিনেমা হলে মর্নিং শো নামের একটা শো হতো যেখানে এক টিকিটে দুই ছবি দেখানো হত এবং তা দেখার জন্য স্কুল ব্যাগে সিভিল কাপড় লুকিয়ে রেখে আমাদের প্রজন্মের স্কুল পালানোর আড্যভেঞ্চারের গল্প...??? যেই খানে তারা মোবাইল ফোনের ছোট স্ক্রিনেই সব খুজে পায়...
এক সময় কেউ কি জানবে শবে বরাতের রাতে ঢাকা শহর চষে বেড়ানোর সেই মজার অনুভূতি...??? তারা জানতেও পারবে না মুররা কি জিনিস ছিলো, তারা কল্পনাও করতে পারবে না ঘুড়ির সুতাই মাঞ্জা কি জিনিস... যে খানে আজ ঘুড়ির জায়গা দখলে নিয়েছে ড্রোন...
এক সময় কি তারা জানবে সন্ধ্যার পর কারেন্ট চলে গেলে বিনা নোটিশে আমাদের এক সাথে সবার জড়ো হবার গল্প, কিংবা নিজেদের হাতে তৈরি শহীদ মিনারে ফুল দেয়ার জন্য সারা রাত পড়া মহল্লার বাড়িতে বাড়িতে ফুল চুরির সেই আনন্দ উৎসব এর কথা...???
তারা কি বুঝবে শীতের রাতে ফেলে রাখা চার দেয়ালের মাঝে ব্যাড মিন্টন খেলার মজা কিংবা তারাবী নামাজ পড়ার কথা বলে বাবা মাকে ফাকি দিয়ে দল বেধে আড্ডা দেয়ার সেই মধুময় মুহুর্ত কি ছিল...??
এক সময় তারা জানবেও না দুই টাকা দিয়ে মাসুদ রানা কিংবা তিন গোয়েন্দা বই ভাড়া নিয়ে পড়তো তাদের পূর্ব প্রজন্ম...
এক সময় কেউ জানবেও না বাঁশের এন্টেনা ঘুড়িয়ে বিটিভি বা জিটিভি দেখার গল্প। সেই ইত্যাদি, ছায়াছন্দ, ম্যাগাইভার থাণ্ডার ক্যাটস, টারজান,সিন্দাবাদ, আলিফ লায়লা ফিলিপস টপ টেন অথবা রেসলিং দেখার আকুলতার গল্প।
এক সময় কেউ জানবেওনা গ্রীষ্মের ছুটিতে গ্রামে যাওয়ার আকুলতার গল্প। ভূতের ভয়ে টিনের ঘরে কুপি জ্বালিয়ে গুটি সুটি মেরে থাকার গল্প, এক বিছানায় এক বয়সী সব কাজিনদের সাথে লেপ মুড়ি দেয়ার গল্প!এক সময় তারা জানবেনা টুক পলান্তিস, ইচিং বিচিং, বরফ পানি, সাত চাড়া, গোল্লা ছুট, বৌঁছি নামের কোনো খেলা ছিলো। কেউ জানবেনা আমের আটি, লিচুর বিচি, মাটির মারবেল, গুলতি, ম্যাচের খোল, সিইগারেটের খোল, নামক কোনো খেলনা ছিলো।
এক সময় কেউ জানবেনা বিলের মাঝে কাদা মাখামাখি করে মাছ ধরা, খেজুরের ডাল দিয়ে ঘোড়া বানানো, সুপাড়ির ডাল দিয়ে টানা গাড়ী, বেয়ারিং গাড়ী, মালাই, কট কটি এই শব্দ গুলি।
যেখানে হাজার টাকার দামী খেলনা নিয়ে এখনকার পোলাপাইন মুখ ভার করে বসে থাকে সেখানে আমরা নিজেরা খেলা আবিষ্কার করতাম। মাটি দিয়ে মারবেল বানিয়ে গুলালি দিয়ে পাখি শিকার করা, কচি বাশের কঞ্চি দিইয়ে ডুল্লরী বানানো, লাটিম গাছের গুটা দিয়ে লিটিম বানানো, আমের সিজনে কাচা আম খাওয়ার জন্য লোহার পাত পাকায় ঘষে চাকু কিংবা ঝিনুক ঘষে কাটার তৈরি সহ আরও অনেক বিচিত্র খেলনা আবিষ্কার করে খেলা তা এ প্রজন্মের কাছে গল্পের মতো মনে হবে।
আইসিসির অভিধানেও বোধ এত নিয়ম নেই আমাদের প্রজন্ম যে হাজারো নিয়মে ক্রিকেট খেলতো।
প্রজন্মের পর প্রজন্ম আসবে, সময়ের সাথে সাথে তারা হয়ত সবাই আরো আধুনিক হবে অনেক বেশি চালাক হবে তবে আমাদের শৈশবের সেই এডভেঞ্চারাস লাইফের কাহিনী তাদের কাছে শুধু গল্পই মনে হবে
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১:৩০
৪টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(

লিখেছেন সোহানী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪



আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×