উক্ত একাউন্টে ০৯ জুন ১৯৯১ সালে ইউনাইটেড সৌদি কমার্শিয়াল ব্যাংক থেকে ১২ লাখ ৫৫ হাজার ইউ,এস ডলারের ( বাংলাদেশী মুদ্রায় যার পরিমান ৪ কোটি ৪৪ লাখ ৮১ হাজার ২১৬ টাকা ) একটি ডিডি আসে যার নং ১৫৩৩৬৭৯৭০। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্মৃতি সংরক্ষনের উদ্দেশ্যে তৎকালীন কুয়েত সরকারের অনুদান হিসেবে এই টাকা আসে। ২ বছরের বেশী সময় এই টাকা একাউন্টে পড়ে থাকায় সুদে আসলে এর পরিমান বেড়ে দাঁড়ায় ৪৬৬৬৭০০০ টাকা।
১৯৯৩ সালে জিয়া অরফানেজ ট্রাষ্ট এবং জিয়া মেমোরিয়াল ট্রাষ্ট গঠনের পর প্রধানমন্ত্রীর এতিম তহবিলের সেই একাউন্ট থেকে পুরো টাকা ২৩৩৩৩৫০০ টাকা করে দুইটি সমান ভাগে ভাগ করে জমা দেয়া হয়।
১১৯৩ সালের ৪ ডিসেম্বর জিয়া অরফানেজ ট্রাষ্ট থেকে ৪ লক্ষ টাকা উত্তোলন করে বগুরার গাবতলীতে প্রায় ৩ একর জায়গা কিনা হয়। অবশিষ্ট ২ কোটি ২৯লক্ষ ৩৩হাজার ৫০০শত টাকা ১৪ বছর ব্যাংকে পড়েছিল, যা ২০০৬ সালে সুদে আসলে পরিনত হয় ৩ কোটি ৩৭ লক্ষ ৭ হাজার ২১৭ টাকায়।
২০০৬ এর ১৩ এপ্রিল হতে ৬ জুলাই পর্যন্ত তারেক রহমান এবং মোমিন উল্লাহর সাক্ষরিত ৫ টি চেকে ৩ কোটি ৩০ লাখ টাকা উত্তোলন করেন প্রাইম ব্যাংকের তৎকালীন চেয়ারম্যান কাজী সলিমুল্লাহ কামাল।
উত্তেলিত টাকার মাঝে ১ কোটি টাকা করে জিয়া অরফানেজ ট্রাষ্ট এর নামে একটি সলিমুল হক কামালের নামে একটি এবং সলিমুল হক কামাল ও সৈয়দ আহম্মেদ এর নামে মোট ৩ টি এফ,ডি,আর করা হয়। ৭ ফেব্রুয়ারি ২০০৭ সালে কাজী সলিমুল হক ২ কোটি টাকার এফ,ডি,আর ভাঙ্গিয়ে আশুলিয়ায় ট্রাষ্টের নামে জমি কিনার জন্য গিয়াস উদ্দীন নামক একজনের নামে ২ কোটি টাকার নতুন এফ,ডি,আর করেন। তখন এই টাকা সুদে আসলে হয়েছিল ২ কোটি ১০ লক্ষ ৭১ হাজার ৪৪৩ টাকা। গিয়াস উদ্দীন ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০০৭ সালে প্রাইম ব্যাংক নিউ ইস্কাটন শাখায় আশুলিয়ায় ৭৬ শতাংশ জমির বায়না স্বরুপ সরফুদ্দীন আহমেদের একাউন্টে পুরো টাকা জমা করে দেন।২৮ মার্চ ২০০৭ সালে সরফুদ্দীন আহমেদ উক্ত টাকা পুরোটায় উত্তোলন করেন। যা লোপাট হয়েছে বলে দুদক অভিযোগ করে মামলা দায়ের করেন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে তারেক রহমান জেলে থাকায় এবং পরবর্তীতে দেশের বাহিরে থাকায় উক্ত জমির রেজিষ্টেশন সম্পন্ন করা সম্ভব হয় নাই বিধায় বায়নার পুরো টাকাই দেওয়ানী মামলার মাধ্যমে ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে পুনরায় আরফানেজ ট্রাষ্টের একাউন্টে জমা দেয়া হয়। যার দললাদি কোর্টে জমাও দেয়া হয়েছিল।
উক্ত ট্রাষ্ট, ব্যাংক হিসেব কোথাও খালেদা জিয়ার কোন সংষ্টিলতাই নেই। তার অপরাধ যখন কুয়েতের আমীর শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের স্মৃতি সংরক্ষনের জন্য উক্ত টাকা অনুদান হিসেবে প্রদান করেন তখন তিনি প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৩:১৫