মারাকানার পাশে আরো একটি নাম
লেখা হয়ে গেল ,আর তা হল
বেলো হরিযন্তে।
আজকে জার্মানরা যা দেখালো তা মোটে অস্বাভাবিক
না।এমন আজ
যদি নেইমার ,সিলভা ওরাও
খেলতো ফলাফলটা মোটেও হেরফের
হত না।জার্মানি দলের এই
প্রতিপক্ষকে দুমরে মুচরে ফেলার
মনোভাবটাই আমার ভালো লাগে।
মাত্র ১২ বছরের ব্যবধানে মূদ্রার দুই
পীঠ ই দেখা হয়ে গেল দুদলের।আজ
যেমন ব্রাজিল
নেইমারকে হারিয়ে খেলতে নেমেছিল .২০০২
এর ফাইনালেও
তেমনি জার্মানরা নেমেছিল
মাইকেল বালাককে হারিয়ে।মাত্র
একযুগে তাদের গায়ের তকমাটাও
যেন অদল বদল হয়ে গেল।২০০২ এর
ফাইনালে নিরপেক্ষ দর্শক যারা ছিল
তারা কেউ ই জার্মানি জয় চায় নি।
কারন এক দিকে সুন্দর ফুটবলের ফুল
ফুটিয়ে ব্রাজিল
ফাইনালে উঠেছিল,অন্যদিকে
তৎকালিন পাওয়ার ফুটবলের জার্মান
রোবটরা।আর আজ ১যুগ পরে ব্রাজিলের
সুন্দর ফুটবলের জায়গায় এল পাওয়ার
ফুটবলের তকমা।আর আজ জার্মানদের
ফুটবলটাই যেন সৌন্দর্যের
প্রতিচ্ছবি হয়ে উঠলো।অথচ ২০০৬ এর
আগে জার্মান দলকে বরং সুন্দর
ফুটবলের
হত্যাকারি বললে বেশি মানান সই
হোতো।কারন সুন্দর ফুটবলের জয়গান
গেয়ে ফাইনালে উঠা ১৯৫৪ সালের
পুসকাসের হাঙ্গেরি ও ১৯৭৪ সালের
ইহোয়ান ক্রুইফের নেদারল্যান্ড
তো জার্মানদের হাতেই
হত্যা হয়েছিল।আজ
জার্মানরা প্রতিশোধ নিল ২০০২
ফাইনালে তাদের হৃদয়ের রক্তক্ষরনের।
ব্রাজিলের আজকের হারের অনেক
কারন অনেক ব্যাখা আছে।
তবে আমি মনে করি ব্রাজিল তাদের
মূল খেলার ধরনের ছন্দে তাল
মেলাতে পারছেনা।জার্মান
রা তাদের লক্ষের থেকে মাত্র ১
ধাপ দূরে আছে।ফাইনালে তাদের
প্রতিপক্ষ যেই হোক তাদের
মধ্যে প্রতিশোধ স্পৃহা ঠিক ই কাজ
করবে।কারন আর্জেন্টিনা ও হল্যান্ড
উভয়ের ই আছে জার্মানদের
স্বপ্নভঙ্গের ইতিহাস।
তবে জার্মানরা এভাবে খেলে গেলে তাদের
আটকানো কষ্টসাধ্য ই বটে।তবে আমার
শুভকামনা রইল।আমি চাই আজ ব্রাজিল হেরে আরজেন্টিনা ফ্যান রা যেরকম আনন্দ করছে,আজকের আরজেন্টিনা আর নেদারল্যান্ড এর খেলার সময় এও এই আনন্দ টা বজায় থাকুক।