দেশের মানুষের ওপর ফরমালিনের অপব্যবহার বন্ধ করুন
ফরমালিন মানব স্বাস্থ্যের জন্যে অত্যন্ত ক্ষতিকারক পদার্থ হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। প্রতিটি কীটনাশকের ক্রিয়া একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা পর্যন্ত থাকে। ফরমালিন ১৮৯৯ সাল হতে মৃত মানবদেহ সংরক্ষণের জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে। তবে মৃত দেহ সংরক্ষণে ফরমালিনের ব্যবহার ১ শতাংশেরও অনেক কম। ল্যাবরেটরীতে প্রিজারভেটিভ হিসেবে ফরমালিন ব্যবহৃত হয়। পৃথিবীর সমস্ত রাসায়নিক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণকারী এজেন্সি ফরমালিনকে কারসিনোজেনিক হিসাবে শ্রেনীভূক্ত করেছে। ফরমালিন সাধারণত জীববিজ্ঞানে নানান জাতীয় স্পেসিম্যান সংরক্ষণের জন্য ব্যবহার হয়। মনে রাখা দরকার, ফরমালিন জীবন রক্ষা করে না। ফরমালিন জীবনহীন বস্তুকে কিছুটা সময় তাজা রাখে।
ফরমালিনের ক্ষতিকর দিক-
মানুষ অন্ধ হয়ে যেতে পারে, পেটের পীড়া, হাঁচি, কাশি, শ্বাসকষ্ট, বদহজম, ডায়রিয়া, আলসার, চর্মরোগসহ বিভিন্ন রোগ হয়ে থাকে, হার্টকে দুর্বল করে দেয়, স্মৃতিশক্তি কমে যায়, পাকস্থলী, ফুসফুস ও শ্বাসনালিতে ক্যান্সার হতে পারে, ব্লাড ক্যান্সারও হতে পারে, ফরমালিন সব বয়সী মানুষের জন্যই ঝুঁকিপূর্ণ, কিডনি, লিভার ও বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নষ্ট, বিকলাঙ্গতা, সন্তান প্রসবের সময় জটিলতা, বাচ্চার জন্মগত দোষত্রুটি ইত্যাদি দেখা দিতে পারে, প্রতিবন্ধী শিশুর জন্ম হতে পারে।
কিভাবে ফল ও সবজি থেকে ফর্মালিনের দূর করবেন- খাওয়ার আগে এক ঘণ্টা বা তার চেয়ে একটু বেশী সময় ফলগুলো পানিতে ডুবিয়ে রাখতে হবে, সবজি রান্না করার আগে গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে ১০ মিনিট ডুবিয়ে রাখুন, ১ ঘন্টা মাছ ভিজিয়ে রাখলে ফর্মালিনের মাত্রা শতকরা ৬১ ভাগ কমে যায়,
গত এক সপ্তাহে ৩২ লাখ ৩১ হাজার ৪৬০ মণ ফল ধ্বংস করেছে পুলিশ। ব্যবসায়ীদের দাবি, ফলমূলে প্রাকৃতিকভাবেই ফরমালিন থাকে। বিজ্ঞান গবেষণাগার, খেলনা, আসবাবশিল্প, ট্যানারি ও মেডিকেল প্রভৃতি খাতে ব্যবহারের জন্য মোট ফরমালিনের চাহিদা ১০০ টন৷ অথচ এ দেশে মোট আমদানি করা হয় ৫০০ টন ফরমালিন৷ বাকি ৪০০ টন ফরমালিন কেন আমদানি করা হয়? সেগুলো কী কাজে ব্যবহার করা হয়? ফরমালিন মেশানোর পর শত শত টন আম জব্দ করে ধ্বংস করার মধ্যে কোনো বাহাদুরি নেই; আমে কিংবা যেকোনো খাদ্যদ্রব্যে মেশানোর জন্য ফরমালিন যেন কেউ কোনোভাবেই সংগ্রহ করতে না পারে, সেটা নিশ্চিত করাই এই মুহূর্তের সবচেয়ে জরুরি কাজ।
দেশের মানুষের ওপর ফরমালিনের অপব্যবহার বন্ধ করুন। নিজেরা ভালো থাকুন। দেশের মানুষকে শান্তিতে থাকতে দিন।
শোকের উচ্চারণ।
নিত্যদিনের জেগে উঠা ঢাকা - সমস্তরাত ভারী যানবাহন টানা কিছুটা ক্লান্ত রাজপথ, ফজরের আজান, বসবাস অযোগ্য শহরের তকমা পাওয়া প্রতিদিনের ভোর। এই শ্রাবণেও ময়লা ভেপে উঠা দুর্গন্ধ নিয়ে জেগে... ...বাকিটুকু পড়ুন
যা হচ্ছে বা হলো তা কি উপকারে লাগলো?
৫ হাজার মৃত্যু গুজব ছড়াচ্ছে কারা?
মানুষ মারা গিয়েছে বলা ভুল হবে হত্যা করা হয়েছে। করলো কারা? দেশে এখন দুই পক্ষ! একে অপর কে দোষ দিচ্ছে! কিন্তু... ...বাকিটুকু পড়ুন
আন্দোলনের নামে উগ্রতা কাম্য নয় | সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যবাদকে না বলুন
প্রথমেই বলে নেয়া প্রয়োজন "বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার সমস্ত অপচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে" ধীরে ধীরে দেশে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসছে। ছাত্রদের কোটা আন্দোলনের উপর ভর করে বা ছাত্রদের... ...বাকিটুকু পড়ুন
কোন প্রশ্নের কি উত্তর? আপনাদের মতামত।
এখানে মাত্র ৫টি প্রশ্ন রয়েছে আপনাদের নিকট। আপনারা মানে যত মুক্তিযোদ্ধা বা অতিজ্ঞানী, অতিবুদ্ধিমান ব্লগার রয়েছেন এই ব্লগে প্রশ্নটা তাদের নিকট-ই, যদি তারা এর উত্তর না দিতে পারেন, তবে সাধারণ... ...বাকিটুকু পড়ুন
চাকুরী সৃষ্টির ব্যাপারে আমাদের সরকার-প্রধানরা শুরু থেকেই অজ্ঞ ছিলেন
আমার বাবা চাষী ছিলেন; তখন(১৯৫৭-১৯৬৪ সাল ) চাষ করা খুবই কষ্টকর পেশা ছিলো; আমাদের এলাকাটি চট্টগ্রাম অন্চলের মাঝে মোটামুটি একটু নীচু এলাকা, বর্ষায় পানি জমে থাকতো... ...বাকিটুকু পড়ুন