আজ দুপুরে আমার একটা দাওয়াত ছিল ধানমন্ডিতে।
শাহবাগ এসে দাওয়াতে যেতে আর ইচ্ছা করলো না। আমি বাস থেকে নেমে হাঁটতে হাঁটতে চলে আসি রমনা পার্কে। তখন সময় দুপুর দুইটা। প্রচন্ড ক্ষুধা লেগেছিল। পার্কের ভেতর খাওয়ার মতো কিছু পেলাম না। অনেক খোঁজা-খুঁজি করে একটা লোককে পেলাম সে ফ্ল্যাক্সে করে রঙ চা বিক্রি করছে আর লাঠি বিস্কুট। একটা লাঠি বিস্কুট খেলাম। কুৎসিত এক কাপ চা খেলাম। যে কাপে চা খেলাম সেই কাপ চায়ের চেয়ে বেশি কুৎসিত। পুরো রমনা পার্কটা দুই বার ঘুরলাম। আপনাদের জন্য ১৭ টা ছবি তুললাম। রমনা পার্কের সৌন্দর্য একেক সময় একেক রকম। এই পার্কে সব শ্রেনীর মানুষ আছে। বড় অদ্ভুত একটা পার্ক। তিনটা পয়তাল্লিশে বাসায় ফিরলাম। গপ-গপ করে ভাত খেলাম। সুরভি পালং শাক দিয়ে মেনি মাছ রান্না করেছে। আলু দিয়ে করলা ভাজি, বেগুন ভাজা, ডাল আর শিম ভর্তা। চমৎকার রান্না হয়েছে। খুব আরাম করে খেলাম।
১।
বন্ধু এসে এখনও পৌছায় নি। তাই সে একা একা অপেক্ষা করছে। মনে পড়ে গেল সুরভি একসময় আমার জন্য এইভাবে অপেক্ষা করতো।
২।
এসএলআর ক্যামেরা মনে হয় খুব সস্তা হয়ে গেছে। সবার হাতে হাতেই দেখা যায়। অবশ্য আজ থেকে তের বছর আগে আমিও এরকম ক্যামেরা নিয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরতাম। ছবি তুলতাম।
৩।
কাস্টমার নাই। ছেলেটা মন খারাপ করে বসে আছে। অবশ্য এই মধ্যদুপুরে কাস্টমার কম থাকাটাই স্বাভাবিক।
৪।
রমনা পার্কে অনেক কাঠবিড়ালী আছে। এদের খাবারের খুব অভাব।
৫।
চারুকলার ছেলে মেয়েরা ছবি আঁকছে। ছবি গুলো দেখেছি খুব সুন্দর।
৬।
হাঁটতে হাঁটতে কখন যে মোবাইলে টিপ লেগে গেছে কে জানে! আমার একটা পা দেখা যাচ্ছে। জুতোটা বেশ ময়লা হয়েছে, কালি করে নিলে ভালো হতো।
৭।
পার্কের কোনো উন্নয়ন তো চোখে পড়লো না। মনে হয় আমার চোখে সমস্যা।
৮।
এক পিচ্চি বাপ মার হাত ছেড়ে দিলো দৌড়।
৯।
পিচ্চি দোলনায় দুলছে। অথচ তার বাপ মাকে আশে পাশে কোথাও দেখলাম না।
১০।
বিশাল বৃক্ষ। কিন্তু মনে হচ্ছে বৃক্ষটা দুর্বল হয়ে গেছে।
১১।
পার্কে ফুলটি ফুটে আছে।
১২।
এই বয়সী ছেলে মেয়েদের দেখলে মনে হয় এই পার্ক শুধু প্রেম ভালোবাসা করার জন্য।
১৩।
চাচা কেন পার্কে বসে আছে ভরদুপুর বেলা? চাচী কই? চাচার কি কোনো ছেলে মেয়ে নেই? চাচা কি ঢাকা থাকে, না গ্রামে থাকে? দুপুরে কি চাচা খেয়েছে?
১৪।
স্কুলের পোলাপান স্কুল বাদ দিয়ে পার্কে এসে বদমাশি করছে। স্কুলের শিক্ষকরা কি জানেন? অথবা এই ছেলেদের বাপ মা?
১৫।
লোকটা মনে হয় দুপুরে খেয়ে ভাতঘুম দিচ্ছে। সে বোতলকে বানিয়েছে বালিশ। আহারে--- বড় মায়া লাগে এদের জন্য!
১৬।
কয়েক বন্ধু মিলে সেই রকম আড্ডা দিচ্ছে।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:০৪